পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ , অ্যাপ্রেটিসের দিন \రీఫిలి লোক । শুধু যে এই কারখানায় পুরানে তাহা নয়, এই কাজেও তাহারা পুরানো। এই একই ধরণের কাজ তাহার হয়ত কত বৎসর ধরিয়া করিয়া চলিয়াছে—যাহার জন্য যেমন তাঁহাদের কাজের ফিনিশ তেমনই তাহণদের স্পীড । কোথায় কতটুকু ঘা দিবার প্রয়োজন, কোথায় কি তার কতটুকু বাকাইতে হইবে, কতটুকু কাটিতে হইবে, কতটুকু চাপ দেওয়া প্রয়োজন, সে সমস্তই তাঙ্গাদের নথদর্পণে। ইহা ভিন্ন সব চেয়ে যে জিনিষটি নৃপেনকে মুগ্ধ করে সে ইহাদের স্বাস্থ্য, ইহাদের দেহের গঠন। কাজের তালে তালে বাড়ের প্রতিটি মাংসপেশী তাহদের মাচিয়া নাচিয়া উঠিতেছে। হাত নয় তো, এক-একখানি যেন থাব, হাতের আঙ্গুল গুলি ঠিক যেন কলার মত, আর কি তাহাতে জোর । দেশে মিঞ্জিমহলে এমন স্বাস্থ্য একআধটি সে যে না দেখিয়াছে তাহা নয়—কিন্তু সে হয়ত দশটিতে একটি । এখানে যে মনে হয় দশটির সব কয়টিই সমান। অবশ্য এখানে হইবে নাই ব{ কেন, না আছে এখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, না আছে দারিদ্র্যের নিপেষণ ! অর্থা ভাবে উপবাস এদেশে রাজদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ আর তাহাদেব থাইতে পাওয়াটাই যে বার্থ-রাইট । নৃপেন তে। বিদেশী কি স্তু তাহাকে ও করিতে হইয়াছে বেকার ইন্‌সি ওপেন্স, হাসপাতাল, ৬াক্তার প্রভৃতির জন্য ইন্‌সি রেন্স--কাজ না থাকিলে সে পয়সা পাইবে, অসুখ হইলে বিনা পয়সায় সে ডাক্তার পাইবে, ওষুধ পাইবে, খাইবার জন্য পয়সা পাইবে । সাধে কি আর আজ ইংলণ্ড হইয়া উঠিয়াছে ওয়ার্কমানদের স্বগ ! তবু কিন্তু ইহাদের কান্নার মন্ত নাই, আরও দাও আরও চাই, এ বুলি ইহাদের থামিবে না । উহাদের মধ্যে এক জন তাহাকে জিনিষটি বেশ সুন্দর করিয়া বুঝাইয়। দিল, তাহার পর স্বরু করিল নানান কথা । প্রথমে অবশু সেই মামুলি প্রশ্ন, “এ দেশটা তোমার কেমন লাগছে ।” নৃপেন একটু ইত ত করিতেছে দেখিয়া বলিল, “বল, বল—ষা বলতে চাও খোলাখুলিই বল ।” নৃপেন হাসিয়া জবাব দেয়, “দেশ মন্দ লাগছে না, বিশেষ তার মানুষগুলোকে—কিন্তু দেশের বৃষ্টি আর মেঘকে কিছুতেই পছন্দ করতে পারছি নে।” লোকটি হাসিয়া 8 - 8 বলে, “তুমি তো স্বর্ঘ্যের দেশের মানুষ, তুমি পছন্দ করবে ন। তাতে আশ্চৰ্য্য হওয়ার কিছু নেই, আমরা এখানকার লোক—আমরাই পছন্দ করি না এখানকার ওয়েদার । তবে থাকে। এখানে কিছু দিন দেখবে সব সয়ে গেছে। তাছাড়া এখানকার গ্রীষ্মকালটা সত্যই খুব সুন্দর।” লোকটি নৃপেনের নাম জিজ্ঞাসা করিল। শুনিবার পর বারকয়েক চেষ্টা করিল সমাদার উচ্চারণ করিতে, কিছুতেই আয়ত্ত করিতে না পারিয়৷ শেষে বলিয়া উঠিল, “না ৪ নাম চলবে না, আমি তোমাকে “গ্যাণ্ডি” ব’লে ডাকব ।” গান্ধীকে ইহারা সকলেই জানে । চার্জহা ও আসিয়া নৃপেনকে নৃতম কাজ দিয়া গিয়াছে। কাজটি আগের মত অত খারাপ নয়, একটু হিসাব করিয়া করা প্রয়োজন । খুব মন দিয়া কাজটি সে করিতেছিল। সময়ের কোন খেয়ালই ছিল না। পাশের ছেলেটির ডাকে তাহার চমক ভাঙিল। তখন পাচট বাজিতে আর তিম মিনিট মাত্র বাকী । সকলের মুখেই তখন ছুটির আনন্দ ফুটিয়া উঠিয়াছে। কাজ বন্ধ করিয়া তখন তাহীদের যন্ত্রপাতি গুচাইতেছে । ভে পড়িবার সঙ্গে সঙ্গে আবার দাড়াইয়া গেল লম্বা কিউ, আবা । সেই ক্লকিং । পিছমে পিছনে দাড়াইয়া চলিতে চলিতে কত রকমের রহস্তের কথা হইতেছে। একে ল্যাঙ্গেশাম । উচ্চারণ, তাহার পর ঠাটা—নৃপেন তাহার অনেক কিছুই বুঝিতে পারে না। এত দিনে এইটুকু সে শুধু বুঝিয়াছে যে ইহার বাসকে বলে বুস্, নাম্বারকে বলে মুম্বর । "প দি গেব’ ‘অল ফর নওট’—এ সবের হদিস তখনও সে {{য় নাই । বাহিরে আসিয়া দেখিল রাত্রি হইয়া গিয়াছে, রাস্তায় গ্যাস জলিতেছে । আগলখোলা ভেড়ার পালের মত তখন গেট দিয়া লোক বাহির হইতেছে, শৃঙ্খলার কোন ধারই আর তখন তাহার ধরিতেছে না । অধিকাংশই ছুটিতেছে ট্রাম-বাসের উদ্দেশে । এক মিনিট আগে বাড়ী পৌছিলেও তাহারা যেন একটু বিশেষ আনন্দ পাইবে । ছুটিতেছে োশীর ভাগ মেয়েরাই । নৃপেনের সম্মুখে ছুটিতে ছুটিতে একটি মেয়ে পায়ে কি বাপিয়া এড়াগ করিয়া পড়িয়া গেল। নিশ্চয়ই বেশ ভাল