কাৰ্ত্তিক বিষয়, কারণ বৌদ্ধশিল্পের মূলগত ধ্যানের ভাব ভা শিল্পী ছাড়া আর কাহারও হাতে তেমন ফুটি নাই । প্রথমতঃ ভারতবর্ষে যখন বৌদ্ধশিল্প আবিভূর্ণ তখন দেখা গেল বুদ্ধের জাতক কাহিনীগুলির লোকের ঝোক বেশী । বুদ্ধের নিজের কোন মু গড়িতে চায় নাই বা গড়িতে সাহস করে নাই । তখন রূপাতীত বলিয়া কল্পনা করা হইয়াছিল । এমন কিংবদন্তী অাছে সে, বুদ্ধ জীবিত থাকি.ে উদয়ন বা প্রসেনজিং বুদ্ধের মূৰ্ত্তি করাইয়াছিলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় মানুষের মত করিয়া তা গড়িবার পক্ষে তথন বাধা ছিল । বুদ্ধহীন এই ৈ এক বিচিত্র ব্যাপার । রূপশিল্পীর পক্ষে ই অভাবনীয় ঘটনা যে তাহাকে রূপ দিতে হইবে অথ বুঝাইতে মানুষের আকার দেওয়া চলিবে না। রূপ রূপায়িত করিতে গিয়া তখন তাহণকে বাধ্য হইয়া আশ্রয় লইতে হইয়াছিল । এই জন্ত আমরা দেখি আদিযুগে যেখানে যেখানে বুদ্ধের অবস্থান বুঝাম হইয়াছে সেখানে বুদ্ধের কোনই মূৰ্ত্তি নাই, তাহার কতকগুলি প্রতীক মাত্র ব্যবহার করা হইয়াছে বোধিবৃক্ষ, ধৰ্ম্মচক্র, চক্রযুক্ত স্তম্ভ, পদ্ম, স্ত,প কোথাও কোথাও চরণ-চিহ্ন দেখান হইয়াছে। কোথাও চক্রের উপর ত্ৰিশূলের মত চিহ্ন বসান অনেকে এই চিহ্নকে বৌদ্ধ ত্রি-রত্বের প্রতীক মনে শুধু যে ভাস্কর্য্যে ও মুদ্রায় আমরা এই ত্রিদেখিতে পাই তাহা নয়, সেকালের অলঙ্কারেও আ রূপ নকশা পাইয়া থাকি । কোন কোন জায়গায় ত্রি মাত্র দেখিতে পf ওয়া যfয় । কেহ কেহ বলেন, ধারণা এই যে, বুদ্ধ যখন ধ্যানে উপবিষ্ট তখন র্তাহ দেখিলে এই রূপ একটি ত্রিভুজ বলিয়া মনে হয় । কোন কোন ক্ষেত্রে শুধু --- (তিনটি বিন্দু) অথবা - শূন্য ) দ্বারা বুদ্ধ বা ত্রি-রত্বের একটা ধারণা দে কোন কোন স্থানে বুদ্ধের আসন মাত্র দেওয় কিন্তু সে আসন খালি পড়িয়া আছে । এ বুদ্ধের মূৰ্ত্তি বাদ দিয়া ভারতবর্ষে বৌদ্ধ শিল্প
পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯
অবয়ব