পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

డిమాg eवंबांश्रौ * ويتانج لا কর্তৃক পঠিত হয় । ২৮শে নবেম্বর ষখন পালেমেণ্টের অধিবেশন আবার আরম্ভ হয়, তখন ইংলণ্ডেশ্বর স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া বক্তৃত করেন। প্রথমোক্ত বক্তৃতা এবং পরবর্তী বক্তৃত হইতে দুটি বাক্য উদ্ধৃত করিতেছি। “The spontaneous decision of our Dominions to participate in the conflict and the valuable help which they are giving and are about to give to the common cause is an encouragement to me.” “My Dominions overseas are participating wholeheartedly and with the most gratifying effectiveness.” ভাৎপর্য । “বিরোধে যোগ দিতে আমাদের ডোমীনিয়ন গুলির স্বেচ্ছাকৃত সিদ্ধাস্তু এবং সাধারণ উদেশ্ব সিদ্ধির জন্য তাহারা যে মূল্যবান সাহায্য দিতেছে এবং শীঘ্রই দিবে, তাহ আমার পক্ষে উৎসাহজনক হইয়াছে।" “সাগর-পারের আমার ডোমানিয়নগুলি সৰ্ব্বাস্তঃকরণে এবং অধিকতম সস্তোষজনক ভাবে । যুদ্ধে } অংশ হইতেছে।” ইংলণ্ডেশ্বর তাহার বক্তৃতা দুটিতে ভারতবর্ষের কোন উল্লেখ করেন নাই । ডোমীনিয়নগুলি সম্বন্ধে তিনি যাহা বলিয়াছেন, ভারতবর্ষ সম্বন্ধেও তাহা বলিতে পারিলেই জগদ্বাসীর সমক্ষে ভারত সম্পর্কে বলিবার মত কথা বলা হইত। কিন্তু সেরূপ বলিলে সত্য কথা বলা হইত না । এই জন্য, তিনি ভারতবর্ষ সম্বন্ধে নিৰ্ব্বাক থাকিয়া যে সত্যভাষিতার পরিচয় দিয়াছেন, ভারতবর্ষ তাহার গুণগ্রাহী । ব্রিটেন আগে ইয়োরোপ ঠিক করিতে চান গত ২৮শে নবেম্বর পালেমেণ্টের হাউস অব কমন্সে যে বিতর্ক হয়, সেই উপলক্ষ্যে প্রধান মন্ত্রী চেম্বারলেন সাহেব বলেন : “We have not entered this war with a windictive purpose and we do not, therefore, intend to impose a vindictive peace. What we say is that first of all we must pul an end to this menace, under which Europe has lain for so many years. If we can really do that, if confidence can be established throughout Europe, then, whils! I am not excluding the necessity of dealing with other parts of the world, still I feel that Europe is the key to the situation and if Europe can be settled the rest of the world would not prove so difficult a problem.” তাৎপর্য । “প্রতিহিংসামূলক উদ্দেশ্বে আমরা এই যুদ্ধে প্রবৃত্ত হই নাই ; অতএব প্রতিহিংসাপূর্ণ শান্তি-সত কাহারও উপর চাপাইবার `x অভিপ্রায় আমাদের নাই । আমরা যাহা বলি তাহ। এই ষে, যে বিপদভয় এত বৎসর ইয়োরোপের মাথার উপর ঝুলিতেছে সর্বপ্রথমে আমাদিগকে তাহার উচ্ছেদ করিতে হইবে । পুথিবীর অন্যান্য অংশ সম্বন্ধে ব্যবস্থা করার আবশ্যকত। আমি বাদ দিতেছি ম, তথাপি আমি অনুভব করিতেছি যে সমস্যাসস্কুল পরিস্থিতির কেন্দ্র ইয়োরোপ । যদি আমরা ইয়োরোপের ভয়ের উচ্ছেদ বাস্তবিক করিতে পারি, যদি ইয়োরোপময় নিঃশঙ্কতায় বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করা যায়, যদি ইয়োরোপ ঠিক করা যায়, তাহা হইলে পৃথিবীর অবশিষ্ট অংশ এত কঠিন সমস্ত রূপে দেখা দিবে না।” ইয়োরোপের বর্তমান সঙ্কট অবস্থার উদ্ভব কেমন করিয়া হইল, তাহা বিশদ ভাবে বর্ণনা করিতে গেলে একখান! ছোটখাট ইতিহাস ফাদিতে হয় । তাহ! এখানে করা চলিবে না। অতীতে বেশী দূর না গিয়া এবং অনেকগুলা কারণের উল্লেখ না করিয়া জামেনীর অশাস্ততা ও দুরন্ততার একটা কারণ বলি । জামেনী ঐশ্বৰ্য্য চায়, ধনদৌলত চায় । বিস্তৃত উপনিবেশ হইতে কাচা মাল সংগ্ৰহ করিয়া কারখানায় তাহা হইতে পণ্য প্রস্তুত করিতে না পারিলে এবং বড় একটা সাম্রাজ্যে তাহার কারখানাজাত জিনিষপত্র বেচিতে ন। পারিলে জামেনী মনোমত ঐশ্বৰ্য্যশালী হইতে পারে না । কিন্তু উপনিবেশ ও সাম্রাজ্যস্থাপন প্রবল পরাক্রমের ব্যাপার। তাই জামেনী আশপাশের প্রতিবেশী দেশ যতগুলি পারিতেছে গ্রাস করিয়া বলা হইতে চাহিতেছে ; তাহার পর সে উপনিবেশ দাবী ও সাম্রাজ্য বিস্তার চেষ্টা ফলপ্রদভাবে করিতে পারিবে । চেম্বারলেন সাহেব আগে ইয়োরোপ ঠিক করিতে চান, পৃথিবীর অবশিষ্ট অংশ পরে ব্রিটেনের মনোযোগ পাইবে । কিন্তু ইয়োরোপ ঠিক করিতে হইলে, যাহাকে লইয়া বৰ্ত্তমান হাঙ্গামার স্বষ্টি সেই জামেনীকে ঠাণ্ডা করিতে হইবে । তাহাকে ঠাণ্ডা করিবার উপায় দু-রকম—তাহাকে পরাস্ত ও জব্দ করা, কিংবা সে যাহা চায় তাই তাহাকে দেওয়া। কিন্তু চেম্বারলেন সাহেব নিজেই ত বলিয়াছেন, প্রতিহিংসা চরিতার্থ হয় এরূপ শাস্তিসত তাহার ঘাড়ে চাপাইবার ইচ্ছা ব্রিটেনের নাই—এবং জামে নীকে এক বার পরাস্ত ও জবা করিয়া তাহারা ত দেখিয়াছেন কাহাকেও চিরতরে অধঃপাতিত রাখা যায় না । সুতরাং দ্বিতীয় উপায় অবলম্বন করা যায় কি না ভাবিতে