পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6.68 শিল্পী জু পেয়ব অ’াকা নিজ প্রতিকৃতি এ রকম যোগাযোগ যে চীনে বিরল নয়, সেটা আমাদের জানা আছে। ১৯১৩ সালে যখন পিতা পরলোক গমন করেন, তখন জু পেয় বালক মাত্র, অথচ পিতার মত গুরু মিলেছিল ব’লে সেই বয়সেই চিত্রশিল্পে তার হাত উঠেছিল পেকে। সেই সময়ের ছবি দেখে প্রসিদ্ধ মনীষী কাঙ, জু-ওয়ে (Kang Ju-wei ) ( ইনি পণ্ডিতপ্রবর waato fore, B-5ts (Liang Chi-chao)-53 পরামর্শদাতা) জু পেয়াকে উৎসাহ দেন এবং কাও চি-ফেঙ, { Kao Chi-feng ) কতকগুলি ছবি প্রকাশিত করে শিল্পীসমাজে তার প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন। জু পেয়র আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। কয়েক বৎসর কঠিন সংগ্রামের পর ১৯১৮ সালে সরকারী বৃত্তি পেয়ে তিনি ইউরোপ যাত্রা করেন। প্রথমে প্যারিসের আকাদেমী ūsfossi (Academie Julien) এবং পরে একল নাসিওনাল দে বোজার (Ecole National des Beaux Arts) q cqfsfsfR ș’tz off"5f5J প্রবাসী Sరిgు চিত্রকলার সাধনায় নামেন। তখন প্রসিদ্ধ শিল্পী আলব্যের বেনার (Albert Besuard) ভারত ভ্ৰমণ ক’রে ভারতের অনেক ছবি নিয়ে ফিরেছেন এবং অগুস্ত রদ (Auguste Rodin) নটরাজের ধানমূৰ্ত্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে ভারতীয় ভাস্কর্য্যের স্তব গানে মুখর। প্যারিসের এক জন পাকা ওস্তাদ দাঞ্চনা বৃত্রে ( Dagnan Bouveret ) făzzia și cei a fapt, এবং তাকে নিয়ে শীঘ্রই শিক্ষকমহলে সাড়া পড়ে গেল । তার প্রমাণ পাওয়া যায় প্যারিসে এই নবীন চীন শিল্পীর ১৯২৩-২৭ সালের অনেকগুলি প্রদর্শনীতে । ১৯২১ সালে জ্য পেয় বার্লিনে আসেন এবং হেয়ার কাম্ফ ( Herr Kampf)-এর মত প্রসিদ্ধ ওস্তাদের সঙ্গ পেয়ে জাৰ্ম্মান-রীতিরও আভাস পান । কাম্ফ-এর প্রসিদ্ধ ভিত্তি-চিত্রে (frescoe) শ্রমিক জীবনের ছবি বলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখে জু পেয়ু নূতন প্রেরণা পান এবং সাধারণ নরনারীর মুথে যে অসীম রহস্য প্রচ্ছন্ন আছে সেটি প্রতিকৃতি-চিত্রের ভিতর দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেন । ১৯২৭ সালে স্বদেশে ফিরে দুই বৎসর তিনি নানকিঙ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রকলার অধ্যাপকৰূপে কাজ করেন । ১৯২৯ সালে বেলজিয়মের রাজধানী ব্রাসেলস্ শহরে তার প্রদর্শনী হয় এবং তার পর কিছুদিন তিনি নান্‌কিঙেই কাজ করেন । ইতিমধ্যে বাধে জাপান ও চীনে সংঘর্ষ, কত অমূল্য শিল্পরত্ব যায় ধ্বংস হয়ে । বিষম দুদিনের মধ্যেই চীনের নবজীবনের উন্মেষ জু পেয় অনুভব করেন, তার মনে প্রশ্ন জাগে চীনের চিরন্তন দান কোনখানে ? চীন-জাতির সেই বিষম অগ্নিপরীক্ষার মধ্যেই তিনি অনুভব করেন নবজাগরণের দিন এসেছে—ঝরে পড়ে গেল নকলনবীশ শিল্পীদের প্রাণহীন স্বদেশী কায়দাকামুন, উড়ে গেল যত ধার-করা বিদেশী রীতিনীতি । শিল্পজগতে চীনের শাশ্বত দান কি—এই প্রশ্ন যেন গর্জে উঠল জু পেয়র তুলিকায় ; নির্ভয়ে তিনি ঘোষণা করলেন—“স্বঙ (Sung) চিত্রীরা ফুটিয়ে তুলেছেন তাদের যুগ...আমরা চাই আমাদের যুগকে আঁকতে।” এই সময়ে (১৯৩২) প্রাচ্য শিল্পের সমজদার Dagny Carter-এর সঙ্গে তার দেখা হয়