পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাবুলের চিঠি শ্ৰীঅমিয় চক্রবর্তী বসস্তকালের নাম এখানে বাহার, ফুলের ধ্যানে রুক্ষ পাহাড় ছেয়ে যায়। এসেছি তামুজ, অর্থাৎ গ্রীষ্মের মুখে ; গৃহস্বামিনীর পরিচর্য্যায় আমাদের কাবুলের কোণটিতে এখনো বসোরার গোলাপ এবং পশ্চিমী ফুল ধরে আছে। চলেছি হিমস্ত বামিয়ানের পথে, উচু নীচু পাহাড়ের নানা ঋতু দ্রুত অতিক্রম করতে হয় মোটরযাত্রীকে । চরিখর । কাবুলের পর প্রথম এই শহর মজার-ই-সরিফের বড়ো রাস্তায়। কোকিস্তানের গবর্ণর এখানে থাকেন, পুরোনো কপিশরাজ্যের ভগ্নচিহ্ন কাছেই বেগ্রাম পল্লীতে। সেখানে গিয়েছিলাম ফ সী প্রত্নতাত্ত্বিক মস্যিয় এবং মাদাম আর্ক্যা-র নিমন্ত্রণে । র্তার প্রতিবৎসর এসে খননকাজে প্রবৃত্ত হন, বহু প্রাচীন মূৰ্ত্তি, মুদ্রা, কুশান-স্মৃতিফলক আবিষ্কার করেছেন। ঘোরবন্দ, এবং পানশির নদীর সঙ্গমে হিন্দুকুশপাদবত্তী প্রাচীন ভারতসভ্যতার ছবি মনে জাগল ; যার এই ছবিকে উদ্ধার করবার কাজে আত্মনিয়োগ করছেন র্তাদের তপ:কৰ্ম্মকে শ্রদ্ধা জানাই। তুতের অরণ্য আঙুর-ক্ষেত পাশে রেখে আবার ঢুকলাম চরিখরের বাজারে ; মার্কিন এক সহযাত্রী কোথা হ’তে উৎকৃষ্ট সবুজ চা নিয়ে এলেন, ছোট ছোট নীল পাত্রে আমরা পান করলাম। সামোভার, জাপানী খেলনা, রুশীয় চিনির পিরামিঙে দোকান ভঞ্জি ; চারদিকে মুসাফিরের স্রোত বইছে । পাহাড়ের পালা। শিবরূ-পাল তুষার ছড়ানো ; দশ হাজার ফুট উঠে রেডিয়েটর জম্বার উপক্রম। খানিক বাদেই কঙ্কালকঠিন তৃণতরুহীন দগ্ধ পাথরের সারি। জলপ্রপাত, কাবুল