পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

یا سانا প্রবাসী 'ల్సి ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবসম্বন্ধে গান্ধীজীর বিলাতে তার লগুন, ৮ই ফেব্রুয়াস্ত্রী ভেলী হোন্ডের নিকট নিজের দস্তখত এর তীরে গান্ধী > . বুলিয়াছেন,বড়লাট সতুি উছার আলোচনা ইঁতে দেখা গেল যে ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট এবং স্বাঞ্জাতিক ভারতের মধ্যে এখনও বিষ্কৃত ব্যবধান विनाथांन । दांश डि*ि* जब्रकांग्र रिङ कोन, लांश &कृउ श्वांशेौनष्ठ भरङ् । . গান্ধীজী লিখিয়াছেন, “বাস্তবের দাবী এই যে, ভারতবৰ্ষই তাহার নিজের প্রয়োজন নিৰ্দ্ধারণ করিযে, ব্রিটেন নয় । অবিলম্বে ভারতের স্বাধীনতা স্বীকার করিবার সঙ্কল্প ঘোষণা করিতে হইলে ব্রিটেনের পক্ষে স্বায়পরায়ণ হওয়া প্রয়োজন। ইহার অর্থ এই যে, গণপরিষদ বা উহার সমতুল্য কোন প্রতিষ্ঠান দ্বার। যথাসম্ভব শীঘ্ৰ ভারতীয় শাসনতন্ত্র রচিত হওয়া উচিত। ডোমীনিয়নগুলি ও ভারতের মধ্যে কোন সাদৃপ্ত নাই । ভারতের ব্যাপার সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এবং দেই ভাবেই তাহার সম্বন্ধে ব্যবস্থ৷ করিতে হইবে । এ কথা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়া রাখা উচিত যে, প্রত্যেকটি সমস্ত ব্রিটেনের নিজের সৃষ্টি ।” উপসংহারে গান্ধীজী বলিয়াছেন, “ব্রিটেন যখন একটা প্রবল চেষ্টায় ভারতবর্ষের উপর তাহার নীতিবিগর্হিত আধিপত্য ত্যাগ করিবে, তখন ব্রিটেনের নৈতিক জয় নিশ্চিত হইবে ; দিনের পর যেমন রাত্রি আসে, তেমনি ভাবে জয় আসিবে ; কারণ, সমগ্র জগতের বিবেক-বুদ্ধি তখন তাহার পক্ষে থাকিবে। এখন যেরূপ প্রস্তাব করা হইয়াছে, সেরূপ কোন সামরিক ব্যবস্থা দ্বারা ভারতবর্ষের হৃদয়ে বা বিশ্বের বিবেকে সাড়া জাগান যাইবে না।” “ - --রয়স্টার গান্ধীজী অল্প কথায় ভারতীয় স্বাঞ্জাতিকদিগের বক্তব্য বিশদভাবে বলিয়াছেন । ট্যুদিকে লইয়া বিমানবাহিনী গঠন নয়াদিল্লী, ৮ই ফেব্রুয়ারী "ستعم ভারতের বৃহত্ত্ব জনসংখ্যা ও প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ রাখিয়া ভারতের বিমান-বহর শক্তিশালী করার উদ্দেষ্ঠে ভারতীয় বৈমানিকের কার্যে উপযুক্ত ভাবে শিক্ষণ দান ও ভারতীয়গণ কত্ত্বক_পরিচালিত একটি অকজিলিয়ারী ( সহায়ক ) এয়ার ফোস গঠনের জন্ত সত্বর বাবস্থ৷ অবলম্বন করিতে অনুরোধ করিয়া স্তর রেজা আলীর উত্থাপিত একটি প্রস্তাব অদ্য কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা-পরিষদে বিনা ডিভিজনে গৃহীত হয়। স্তর রেজা আলী বলিয়াছিলেন যে, প্রস্তাব সম্বন্ধে ডিভিজন দাবী করা হইলে গবৰ্ণমেণ্ট পক্ষের নিরপেক্ষ থাকিয়া প্রস্তাবের উদ্দেষ্ঠের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা উচিত। দেশরক্ষ-বিভাগের সেক্রেটারী মি: ওগিলক্তি ইহাতে সম্মতি প্রকাশ করিয়াছিলেন । প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্য এবং গৃহীত হইয়াছেও। কিন্তু উহার সম্বন্ধে তর্কবিতর্কের সময় মিঃ ওগিলভি সহানুভূতি প্রকাশ করিলেও আর্থিক অনটনের কথা তুলিয়াছিলেন وهي সুতরাং বিমানবাহিনী গঠিত হওয়া অপেক্ষা না ক্ত সম্ভাবনাই অধিক মনে হইতেছে। পোল্যাণ্ডে নাৎসী নিষ্ঠুরতা পোল্যাও নাৎসী জামানদের নিষ্ঠুরতার বৃত্তান্ত দৈনিক কাগার মধ্যে মধ্যে বাহির হইতেছে । পাঠকেরা তাহা পড়িয়াছেন। পুনরাবৃত্তি অনাবশ্বক। অন্ধ বালিকার কৃতিত্ব শ্ৰীমতী ধাবিত্রী রায় চৌধুরাণী নামী একটি অন্ধ বালিকা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটিকুলেশ্বন পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়াছেন। অন্ধ বালিকাদের মধ্যে বঙ্গে বোধ হয় তিনিই প্রথমে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেন। অন্ধ বালক সম্প্রতি এবং আগেও কেহ কেহ এই পরীক্ষায় ও উচ্চতর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন। এক জন এমএ পাস করিয়া কলেজের অধ্যাপকতা এবং অন্য এক জন বালিক-বিদ্যালয়ের হেডমাস্টারি করিতেছেন । অনেক অন্ধ নানাবিধ কাম-কাৰ্য্য ও ব্যবসা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন, কেহ কেহ সঙ্গীতপটুতা দ্বারা স্বাবলম্বী। অন্ধ হইলেই অসহায় ও পরমুখাপেক্ষী হইতে হইবে, এমন নয়। তবে, তাহারা শিক্ষা না পাইলে স্বাবলম্বী হইতে পারে না। তাহাদের শিক্ষার যথেষ্ট ব্যবস্থা বন্ধে নাই। বেহালার বিদ্যালয়টি বেশ ভাল । কিন্তু বঙ্গে শিক্ষার্থী অন্ধ বালকবালিকা যত আছে, ইহাতে তাহাদের স্থান হয় না, হইতে পারে না। শ্ৰীনিকেতনের পল্লীসেবার উদ্যম ঐনিকেতনের গত বার্ষিক উৎসবের দ্বিতীয় দিনে স্বাস্থ্যসমিতির বাষিক সম্মেলন অতুষ্ঠিত হয়। বীরভূমের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রায় বাহাদুর বিনোদবিহারী সরকার মহাশয় সভাপতির আসন গ্রহণ করেন । প্রথমে ঐনিকেতনের পল্লীসেবা-বিভাগের অধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত কালীমোহন ঘোষ বাধিক কাৰ্য্যবিবরণ পাঠ করেন । বীরভূমের মত দরিদ্র জেলাতেও কাজ যেরূপ হইয়াছে, তাহা সমৃদ্ধতর ও বৃহত্তর জেলাগুলির অমুকরণীয়।