পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بنا نه లిgఆ নিখিল-ব্রহ্ম বঙ্গসাহিত্য সম্মিলনের মূল সভাপতি, বিভাগীয় সভাপতিগণ ও কৰ্ম্মীবৃন্দ রাখি যে এই পরিষদ অচিরেই বাংলা ভাষার প্রসিদ্ধ প্রাচীন ও নূতন পুস্তক সমূহকে ব্ৰহ্মভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা করিবেন। বর্তমানে এই আস্তুর্জাতিক বিবাদ ও প্রতিষোগিতার দিনে জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বের পথ হইতেছে পরস্পরকে বিশিষ্ট রূপে জান এবং পরস্পরের সংস্কৃতির সম্যক্ উপলব্ধি করা। আমরা ব্ৰহ্মদেশে বাংলা সাহিত্য ও শিল্পের প্রতি সৰ্ব্বদাই বিশেষ অস্তুরাগী—কারণ বাংলা বে ভৌগোলিক হিসাবেই ব্ৰহ্মদেশের প্রতিবেশী তাঁহা নয়, ইহাদের মধ্যে আধ্যাত্মিক সম্বন্ধও অতি নিকট । আমি ও আমার স্ত্রী ভারতে সুখময় প্রবাসকালে বিশেষ ভাবে অনুভব করিয়াছি যে ভাষা ও পরিচ্ছদে বাহিরের পার্থক্য থাকিলেও সংস্কৃতি ও ভাবধারায় বাংলার সহিত ত্রহ্মের সম্বন্ধ অতি নিকট । ব্রহ্মবাসী আমরা সৰ্ব্বদাই বাংলা ভাষার প্রতি বিশেষ অনুরাগী, কারণ এই ভাষা সেই পালি অথবা মাগধী ভাষার সাক্ষাৎ সম্ভান যে ভাষাতে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মগ্রন্থসমূহ রচিত হইয়াছে। বাংলা ভাষার সহিত আমার সাক্ষাৎ পরিচয় অত্যস্ত অকিঞ্চিংকর হইলেও আমি এ-কথা বলিব যে এই ভাষার সহিত আমার যে পরোক্ষ পরিচয় আছে তাঁহাতে আমাকে এই ভাষার প্রতি অনুরাগী করিয়া তুলিয়াছে। যদি বাংলা ভাষা অধ্যয়নের সুযোগ থাকিত তবে সেই ভাষায় বঙ্কিমচন্দ্রের উপঙ্গাসাবলী পড়িয়া আমি পুরস্তুত মনে করিতাম । स्रशाभक ब्रभाथगान कीभूौ भशभक जैशिग्न प्रांशङ অভিভাষণে সাহিত্য ও জাতীয় সমস্ত্যা সম্বন্ধে সুচিস্তিত আলোচনা করেন । ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী তাহার অভিভাষণে বলেন, প্রবাসী বাঙালীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আছে, পাশ্চাতা বিদ্যার প্রভাবে ভারতের নানা প্রদেশে আমরা ইংরেজ আমলে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলাম, কিন্তু সেই সমস্ত প্রদেশের সংস্কৃতির সহযোগে নূতন স্বষ্টির দিকে কথনও বত্ববান হই নাই। বাংলা সাহিত্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ হইলেও ষে অঙ্গাঙ্গ প্রাদেশিক সাহিত্যে উচ্চাঙ্গের কোন স্বষ্টি হইতেছে না ইহা মনে করা অসঙ্গত । ব্ৰহ্মদেশও ভারতীয় সংস্কৃতির একটি ধারা গ্রহণ ও য়ুক্ষা করিতেছে । খ্ৰীষ্টীয় প্রথম শতকের পূৰ্ব্বেই ভারতীয় ঔপনিযেশিকের সমুদ্রপথে মালয়, ইন্দোচীন, জাভা প্রভৃতি স্থানে বসবাস আরম্ভ করেন। এই যুগে যে ভারতের সঙ্গে এই প্রদেশের দৃঢ় যোগসূত্র স্থাপিত হইয়াছিল তাহার বহু প্রমাণ পাওয়া যায় । এ প্রদেশের প্রাচীন বৌদ্ধধৰ্ম্ম ছিল উত্তর-ভারতীয় । ব্রাহ্মণ্য ধর্মেরও প্রচলন ছিল ; তাহা তাহার প্রাচীন মন্দির ও শিলালিপি হইতে প্রমাণিত হয় । বৌদ্ধ সংস্কৃতিকে অবলম্বন করিয়া এই দেশের অধিবাসীরা একটি বিরাট সংস্কৃতি গড়িয়া তোলেন। অভিধৰ্ম্মের আলোচনায় তাহার এক সময়ে বৌদ্ধজগতে এমন খ্যাতি অর্জন করেন যে বহুকাল ধরিয়া নানাদেশ হইতে বৌদ্ধ পণ্ডিতেরা অভিধৰ্ম্ম আলোচনার জন্য এই দেশে আসিতেন। এই দেশের রাজাদের