পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Շ5* গ্রশ্নোত্তর সিন্ধুপারে চলছে হোথায় উলটপালট কাণ্ড, হাড় গুড়িয়ে বানিয়ে দিলে নতুন কী ব্ৰহ্মাণ্ড । সত্য সেথায় দারুণ সত্য, মিথ্যে ভীষণ মিথ্যে, ভালোয় মন্দে মুরাসুরের ধাক্কা লাগায় চিত্তে । পা ফেলতে না ফেলতেই হতেছে ক্রোশ পার । দেখতে দেখতে কখন যে হয় এসপার ওসপার ॥ प्लेलब्रुन Sఅ|38e প্রশ্নোত্তর দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর { আশ্চৰ্য্য পুথিবীর সম্মুখে দাড়িয়ে তরুণ মন অভিভূত হয় অথচ নবোধগত বিচারশক্তি জাগিয়ে রাখে। প্রশ্ন ঠিক তৈরি হয় নি, জানবার বেদনাক্লিষ্ট আলোড়ন দেখা দিয়েছে এ রকম অবস্থায় কাকে জিজ্ঞাসা করা যায় কোথায় আছি ? নিজেকে এবং সমস্তের প্রচ্ছন্ন আধারকে । মনস্বী যার জ্ঞানে বিজ্ঞানে দুর্গমপথিক বলে খ্যাত র্তাদের দিকেও মনের টান আছে ; স্কুলের ছেলে স্বষ্টিজোড় ধাধার উত্তরে তাদের স্বাক্ষর চেয়েছিল । মানস খাতায় অটোগ্রাফ সংগ্রহের বৃত্তি এর মধ্যে আছে কিন্তু তারও মূলে দেখি সাধারণ মান্থবেৰ যৌগিক দাবী শ্রেষ্ঠ মান্বযের কাছে, স্বীকৃতির চেষ্টায়। নিভৃত গ্রামের দিগন্তে আমরা কল্পনায় দেখতাম রবীন্দ্রনাথকে, জগদীশচন্দ্র এবং দ্বিজেন্দ্রনাথকে ; রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর নামও উজ্জ্বল ছিল। পাড়াগায়ের মাঠ পেরিয়ে তাদের কাছে চিঠিতে উপস্থিত হয়েছি এবং অস্তরের উদ্বেগে সমুদ্রপরেও বিশেষজ্ঞদের দ্বারে ধাক্কা দিয়েছি। বহু বৎসর কেটে গেছে কিন্তু প্রশ্নগুলি চিরন্তন এবং উত্তরের মধ্যে উপলব্ধির মূল্যও তাই। দ্বিজেন্দ্রনাথের জন্ম-শতবার্ষিকীতে র্তার একখানি পুরোনো চিঠি উপস্থিত করলাম এই ব্যক্তিগত ভূমিকা দিয়ে কেননা শুধু জ্ঞানের নয়, এর মধ্যে করুণার মাধুৰ্য আছে। যে-কোনো পত্র-লেখককে সতীর্থ জেনে সংশয়েব দিনে তার পাশে এসে দাড়ানো মহাপুরুষের সাধ্য। প্রশ্নগুলির স্বরূপ উত্তরের মধ্যেই নিহিত —শ্ৰীঅমিয় চক্রবর্তী ] শাস্তিনিকেতন 1 July, 1916 সাদর নিবেদন আপনার ২৯শে জুন তারিখের পত্র পাইলাম। আপনি যাহা জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, তাহার সকল কথার সবিস্তরে উত্তর দিতে আজ পর্য্যন্ত কেহ পারিয়াছেন কিনা তাহা আমি জানি না। আমি তাহার সম্বন্ধে যাহা সার বুঝি তাহাই সংক্ষেপে বলি ;–বোধ করি তাঁহাতে আপনার আকাজক্ষা কতকটা মিটিতে পারিবে । (>) ভিন্ন ভিন্ন মন্থয্যের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা । (R) র্যাহার যে অবস্থা, তাহা কতক পরিমাণে র্তাহার অমুকুল, কতক পরিমাণে প্রতিকূল । (o) এইরূপ অমুকুল এবং প্রতিকুল অবস্থার মধ্য দিয়া মনুষ্য নিতাস্ত পশুবৎ অসভ্য অবস্থা হইতে সভ্য হইতে সভ্যতর অবস্থায় ক্রমাগতই অগ্রসর হইয়াছে এবং এখনো অগ্রসর হইতেছে।