পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:ன ஜீ' খোকা গেল মাছ ধরতে ক্ষীর নদীর কূলে, ছিপ নিয়ে গেল কোলা বেড়ে, মাছ নিয়ে গেল চিলে, খোকা বলে পাধিটি কোন বিলে চরে, * . খোঙ্ক ৰ'লে ডাক দিলে উড়ে এসে পড়ে। এ স্বপ্নরূপ বানানো সহজ নয়। সব অসম্ভৰ ছবি, কিন্তু ছবি। বোধ করি অসম্ভব বলেই উজ্জল হয়ে চোখে ঝলক মারে-অর্থসংগতির দরকার নেই। পাখি হয়ে খোকা বিলে চরে বেড়াচ্ছে, তার মাছ ধরবার অন্যায় বাধা ঘটাচ্ছে স্কুটো প্রাণী—চোখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, এইটেতেই ওর রস । এই অবচেতনী কল্পনার অসংলগ্নতার আঙ্গিক কাব্যে ব্যবহার করা চলতে পারে যদি ঠিকমতো তার ব্যবহার হয়। যদি এই প্রণালীতে বিশেষ একটা ছবি ফুটে ওঠে, বিশেষ একটা রস জাগে মনে । কাব্যের সেই বিশেষত্বকে উপেক্ষ করা চলবে না । 御 ফ্রয়েডের মনস্তত্ত্ব প্রচার হওয়ার পর পাশ্চাত্য জগতে অবচেতনের যেন একটা খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। সাহিত্যে এর বেগ আর রোধ করা যায় না । এই অপ্রকাশ ভূগর্তের জিনিসকে নানারকম প্রকাশের ষ্যবহারে লাগানো চলছে। ইতিপূবে কাব্যে অবচেতনী কল্পনার প্রভাব ছিল না যে তা নয় কিন্তু সে ছিল যেন নেপথ্য থেকে । এখন সে এসেছে প্রকাশ্ব রঙ্গমঞ্চে। আধুনিক সাহিত্যে ও আটে তার এই প্রকাশ্বতার বিশেষ একটা কাজ বিশেষ একটা দান আছে বলে ধরে নিতে হবে নইলে বলতে হবে তার আবির্ভাব একটা উপদ্রব ; বত মান যুগের বিরুদ্ধে এত বড়ো একটা অভিযোগ আনতে সাহস হয় না । বতমান সাহিত্যে আমার অনভিজ্ঞতা আমি কবুল করি। তাই আমি খুজি এমন কোনো পথচারীকে যিনি এ পথের পথিকদের ঘনিষ্ঠভাবে জানেন, আধুনিক সাহিত্যে যার পরিচয় বই-পড়া পরিচয় নয়, যিনি কাছের থেকে নবীন কবিদের মনের সঙ্গে মন মিলিয়ে নেবার স্বযোগ পেয়েছেন। সদ্যহুষ্টির শিল্পবিকাশের আবহাওয়ায় যার চিত্তে আপন মজার ভিতর থেকে প্রকাশের চেষ্টা সহজ হয়ে দেখা দিয়েছে তার কাছ থেকে এই নতুন সৰযুগের কাব্য Assà, ঋতুর ফুল-ফসলের সত্য খবর পাবার আশা করা যায়। অর্থাৎ এটা জানা চাই তার মধ্যে যে প্রজাৰ এসেছে সেটা অব্যবহিত, সেটা দূরের থেকে নকলের উচ্চম नग्न ! अभिब ककवउँौंद्र “थनफ़ा” यद२ "uक ऋ*ा” बड़े দুটি পড়তে বসেছি এই বিশ্বাস মনে নিয়ে । ইংলণ্ডে যারা এই নূতন সাহিত্যের কর্ণধার অমিয় আজ অনেক দিন ধরে তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গ পেয়ে এসেছেন। নূতন কালের কোন প্রেরণা কোন বেদন এই সব কবিদের স্বষ্টিকে প্রাণবান করেছে কাছে থেকে তিনি তা জেনেছেন, এবং তার প্রবত না তার নিজের মনের মধ্যে এসে কাজ করেছে। এই প্রবত নায় যদি তাকে রচনার ক্ষেত্রে নিয়ে আসে তবে সে তাকে কেবল বাইরের আঙ্গিক গড়িয়ে ছাড়বে না, তার ভিতরের কথা এই রূপের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করবে। এই জন্যে আর্টের যে বিকাশ আমার অপরিচিত র্তার কবিতার মধ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে তার অমুসরণ করেছি। কিছুকাল আগে আমি যখন মংপু পাহাড়ে ছিলুম, অমিয়র “চেতন স্তাকরা” কবিতাটি হঠাৎ আমার চোখে পড়ল। আমার দৃষ্টিশক্তি এখন ক্ষীণ এবং শরীর ক্লাস্ত এই জন্যে ধারাবাহিক বই পড়া আমার পক্ষে দুঃসাধ্য হয়েছে। তাই পথচলতি পথিকের খাপছাড়া দৃষ্টিতে আমার কাছে নূতন অভিজ্ঞতার বিষয় বিচিত্র স্বাদ এনে দেয় অকস্মাৎ । এ অবস্থায় টুকরো থেকে সমগ্রের পরিচয় আমাকে নিতে হয়—খুব যে ভুল করি তা বোধ श्ध्न न] । এই কবিতাটি পড়ে অমিয়কে যে চিঠি লিখেছিলুম সেটা এখানে উদ্ধৃত করলে আমার বক্তব্য বিষয় স্পষ্ট হবে । “তোমার এই লেখাটি আধুনিক কাব্যের একটি সেরা নিদর্শনৰূপে দেখা দিয়েছে । কবিতা রচনায় যথেচ্ছ শৈথিল্যের ভঙ্গীতে যাকে সহজ দেখতে হয় সে আবর্জনা, কিন্তু যথার্থ যা সহজ তাই দুঃসাধ্য। তোমার এই লেখায় সেই দুরূহ সহজ আপন অনায়াসের প্রতীতি নিয়ে দেখা দিয়েছে।