পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| लिं 諸 শ্রীতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ૨૭ শীত-জর্জর শেষ-হেমস্তের প্রভাতটি কুয়াশায় ও ধোয়ায় অস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে । চরটার কিছুই দেখা যায় না। শেষরাত্রি হইতেই গাঢ় কুয়াশা আসিয়াছে। তাহার উপর লক্ষ লক্ষ ইট পুড়িতেছে—সেই সব ভাটার ধোয়া ঘন বায়ুস্তরের চাপে অবনমিত হইয়া সাদা কুয়াশার মধ্যেই কালো কুগুলী পাকাইয়া বিস্তৃত হইয়া রহিয়াছে। বিপুলবিস্তার দুধে-ধেীয়া পাতলা একখানি চাদরের উপর কে যেন খানিকট কালি ফেলিয়া দিয়াছে । তীক্ষু শীতল কুয়াশার কণাগুলি মামুষের মুখে, চোখের পাতায়, চুলের উপর আসিয়া লাগিতেছে, তাহার সঙ্গে কয়লার গন্ধ এবং কয়লার কুচি। * ইহার মধ্যেই বিমলবাবু, কলিকাতার কলওয়ালা মহাজন, চরের উপর একটি বাংলো তৈয়ারী করিয়া বাস গাড়িয়া বসিয়াছেন। কল-তৈয়ারী আরম্ভ হইয়া গিয়াছে। কাজ খুব দ্রুতবেগে চলিতেছে। এখানকার লোকে কাজের গতি দেখিয়া বিস্ময়ে হতবাক হইয়া পড়িয়াছে। এমন ধারা দ্রুতগতিতে যে কাজ হইতে পারে এ ধারণাই তাহারা করিতে পারে না। এ যেন বিশ্বকৰ্ম্মার কাও,এক রাত্রে প্রাস্তরের উপর প্রকাও নগর গড়িয়া ওঠার মত ব্যাপার! বিমলবাবু বাংলোর বারান্দায় একখানা ইজি-চেয়ারের উপর বসিয়া চা পাম করিতেছিলেন এবং কুয়াশার দিকে চাহিয়া ছিলেন । কুয়াশার মধ্যে কোথা হইতে বাম্পের জোরে বাজানো বয়লারের বঁাশী ভো-ভেী শব্দে বাজিয়া উঠিল। একটা ভার্টিকাল বয়লারও ইহার মধ্যেই বসানো হইয়াছে ; বয়লারের জোরে নদীর গর্তে একটা পাম্প চালাইতেছে। সেই জল হইতে ইট তৈয়ারীর কাজে এবং বাড়ী-ভৈয়ারী কাজে প্রয়োজন মত জল সরবরাহ হইতেছে। পাইপ বিমলবাবুর বাংলোয় ష c =s 6t চলিয়া আসিয়াছে, এবং প্রয়োজনমত এখানে ওখানে কলের মুখ লাগাইয়া যখন যেখানে ইচ্ছা জল লইবার ব্যবস্থা করা হইয়াছে। বাংলোর সম্মুখেই একটা পাক৷ ইন্দারাও হইয়া গিয়াছে। ইন্দারার চারি পাশে বাগানে নানা রকমের মরহুমী ফুল ও তরিতরকারি গাছ। বারান্দার ধারেই একটা জলের কলের মুখ—সেখানে একটি প্রশস্ত সান-বাধানে চাতাল ও একটি চৌবাচ্চা । সেই চাতালে বসিয়া সারী, সাওতালদের সেই দীর্ঘfঙ্গী মেয়েটি, বসিয়া বাসন মাজিতেছে। বিমলবাবুর বাসায় সারী ঝিয়ের কাজ করে। কুয়াশা এত ঘন যে বিমলবাবু সারীকেও স্পষ্ট দেখিতে পাইতেছেন না । মনে হয় কুয়াশার একটা পুঞ্জ যেন ওখানে জমিয়া আছে। এই কুয়াশার মধ্যে কোথাও শূন্তমার্গে অবিরাম কৰ্ণির ও ইটের ঠুং ঠাং শঙ্ক উঠিতেছে । আর উঠতেছে লোহার উপর লোহার প্রচণ্ড আঘাতের শব্দ-চারি দিকের মুক্ত প্রাস্তর বাহিয়৷ শকটা সম্পন শব্দে ছুটিয়া চলিয়া দিগন্তে বিপুল শব্দে প্রতিধ্বনিত হইয়া ফিরিয়া আসিতেছে। বেলা বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা ধীরে ধীরে কাটিতেছিল। কয়লার ধোয়া মাটির বুক হইতে শূন্ত মণ্ডলে ভাসিতে আরম্ভ করিল। বিমলবাবু সারীর দিকে চাহিয়৷ ঈষৎ হাসিলেন, সারীর মাথায় মরস্বমী ফুলের সারি, ইহারই মধ্যে সে কখন ফুল তুলিয়া চুলে পরিয়াছে। বিমলবাবু রাগের ছলনা করিয়া বলিলেন–জাবার তুই ফুল তুলেছিল ? সারী শঙ্কিত মুখে বিমলবাবুর মুখের দিকে চাহিয়া রছিল। সারীর মত উচ্ছল চঞ্চল বর্বরাও বিমলবাবুৰে ভয় করে—অজগরের মুখের অদূরবর্তী জীবের মত যেন अनाज़ श्ब्र याब्र। ७३ छद्र शानिघ्न दिभूण ४श्वर অতিকায় কৰ্ম্মসমাবেশের সমগ্রটাই ধেন বিমলৰাৰুর মূঢ়