পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮১২ རྒན་ཆ༤ ། ། ●यंबांजौ ש8פאל বাস্তবতা ও তুচ্ছতার সীমা ছাড়াইয়া উঠে-সেগুলি রূপক হইয়া যায়। জটা, চোখ, সাপ, হাড়ের মাল), ডমরু, অগ্নি, পাশ প্রভৃতি সব কিছু স্বধু ভাব ফুটাইবার উপকরণ । তাহার পায়ের নীচে দলিত দেহ, তাহার বাহন, মূৰ্ত্তি থিরিয়া যে প্রভামণ্ডল, সব কিছুই ভাবপূর্ণ। শিবের রুদ্র-মূৰ্ত্তির সংহার-কার্ধ্যের স্থানে দার্শনিকেরা পঞ্চকুত্য অর্থাৎ স্বষ্টি, স্থিতি, সংহার, তিরোভাব ও অনুগ্রহের সমাবেশ করিয়াছেন। মানুষের চিত্তরূপ ভারত-চিত্তের এমন একটি শক্তি আছে যাহাতে উহ দুইটি সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করিতে পারে। তাই আমরা দেখিতে পাই নটরাজে যোগ ও নৃত্যের সামঞ্জস্ত ঘটিয়াছে। এই দুই ভাবের দ্বন্দ্ব তাহাকে ব্যাহত করিতে পারে নাই। অনেক জাতি স্থষ্টির মূলে দ্বন্দ্ব দেখিয়াছে, যেমন ইরাণে ও প্যালেস্টাইনে, কিন্তু ভারতের কাছে এই দ্বন্দ্বই ছন্দ হইয়া উঠিয়াছে—নটরাজের নৃত্যলীলা তাহার প্রকাশ । ভারতের শিল্পীই দর্শনকে আকাশে তিনি এই সব লীলা করেন। রূপে ফুটাইতে পারিয়াছে।

  • . , - *o-o

○ ঠিকুজি - - " - " ممسيسبيري 9 -৯ ঐকামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমের সমাধিমন্দিরে খঞ্জ পঙ্গু কতদিন সোনার মুকুটে যারা গেথেছিল পাখীর পালক বিস্মৃতির রচেছে পাহাড়, চলে গেল কোন পথে তারা ? সোনার সুৰ্য্যেরা আর রূপার চাদেরা গেল অতীতের খোলে নি তো দ্বার। শেষ ক’রে দাও তবে গান, শেয ক’রে দাও। সন্ধ্যার গভীর গুহা সৰ্ব্বভূক রাক্ষসের অনস্ত ক্ষুধাতে জলস্ত যৌবন যদি দিগস্তের জলস্ত শিখায় বিভীষিকাময়, পায় তার চরম স্বাক্ষর : ষে-জীবনে উল্লাসের অনন্ত আহবান ছিল তবে শেষ ক’রে দাও । পেয়েছে তা স্তৱতার ভয় । মহাকাল জটিল জটায় যে ঠিকুজি করেছে রচনা - সহজ ভীষণ, এ দেহখানি সমাধিমন্দির বেদুইন ཁྭ་ཏྭ་ཨཱཿ ཨཱཿ ཨ་ཀ་ পার্থীর পালকে কত স্থত দিন-রাত-প্রহরের ভগ্নস্তুপে ভরা, মুহূর্ভের মৃত্যু দিয়ে যে-জীবন করেছি সুন্দর আমাদের নীল শিরা, স্বায়ু-ঘেরা এ জীবন এক দিন গ্রাসিবে তা জরা । জটার জটিলে অরণ্যের দীর্ঘশ্বাসে উৰ্ব্বর হারাবে তো পথ ; বনের শ্রোত আকাশের গঙ্গা নিয়ে পৃথিবীতে উত্তেজিত হৃদয়-স্পন্দন, কোনো দিন আসিবে না সায়াহ্নের শালবনে স্বমধুর ক্লাস্তির মৌনতা সেই ভগীরথ । জ্যোৎস্নার কুমারী বন্ধন । মরণ-সমুদ্রকুলে জীবনের অস্তরবি কম্পমান সোনালি সন্ধ্যায়, নবীন দক্ষিণ-ঝড়ে ভারাক্রাস্ত হৃদয়ের ' হে সূৰ্য্য, সোনার সূর্য্য, হীরার আকাশ সীমার স্তব্ধতা আর রূপার চাদের ভাসাবার মন্ত্র কে শিখাবে ? বিদায় বিদায় । চেতনার রুদ্ধারে অতিথি মৃত্যুর ডাকে বাজিছে শিকল ; সহজ উীষণ এই কৃষ্ণ আকাশে দেখি ছায়াঢাকা পথ খুজে পাবে ? আমাদের ঠিকুজি রচনা। সভ্যতার ওঠাপড়, সমূত্রের ওঠাপড়, শালবনে আজিকার গানগুলি বৈশাখের ক্ষুব্ধ ঝড়ে মধুর ইসারা কোনোদিন যাবে না তো চেনা !