পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

પ્રન્ટરે প্রবাসী با 8 هند কাজের ভার তাহার হাতে আর থাকিবে না, এই আদেশ দেন। ধীরেন্দ্রবাৰু তাহাতে ঐ কাগজের সংশ্ৰবই ত্যাগ করিয়াছেন–ঠিকৃই করিয়াছেন। ংবাদপত্রের কতৃপক্ষের ও সম্পাদকের অধিকার কি কি, সে বিষয়ে আমরা এক্ষেত্রে কোন আলোচনা করা আবশুক মনে করি না। আমরা দেখিতেছি, ধীরেন্দ্রবাবু যে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করিয়াছিলেন, তাহা তাহার সম্পাদিত হিন্দুস্থান স্টাণ্ডার্ডের সম্পাদকীয় লেখা নহে। সেই কাগজে তিনি ষাহ লিখিবেন, যদি ইহা মানিয়া লণ্ডয়া হয় যে তাহা উহার কতৃপক্ষের সম্পূর্ণ মনোমত হওয়া উচিত, তাহা হইলেও ইহা মানিয়া লওয়া ষায় না যে, উহার সম্পাদক অন্যত্র অন্ত উপায়ে নিজের স্বাধীন মত প্রকাশ করিতে পারিবেন না। এই কারণে আমরা হিন্দুস্থান স্টাণ্ডার্ডের কতৃপক্ষের আদেশের সমর্থন করি না। শান্তিনিকেতনে গান্ধীজী শাস্তিনিকেতনে গান্ধীজী বিশ্রাম করিতে গিয়াছিলেন । কিছু দেখাশুনার কাজও করিয়াছিলেন। সে বিষয়ে অনেক সংবাদ খবরের কাগজে বাহির হইয়াছে ; যাহা হয় নাই ও তাহার মধ্যে আমরা যাহা জানি তাহা প্রকাশ করিবার কোন প্রয়োজন দেখিতেছি না,—যদিও প্রকাশ করিলে গান্ধীজীর বা অন্য কাহারও অগৌরব বা ক্ষতি হইত না । গান্ধীজীর বয়স ৭-এর উপর। কিন্তু, দেখিলাম, তিনি চলাফিরা করেন দ্রুত, কাজ করেন দ্রুত। কাজ করেনও অনেক । এই শক্তি কোথা হইতে আসে । তিনি মিতাহারী, সংযমী, দৈহিক ও মানসিক অপচয় ও ক্ষয় যাহাতে না-হয় তাহার সর্ববিধ উপায় তিনি অবলম্বন করিয়া থাকেন। ভগবানে বিশ্বাস তাহাকে চিত্তবিক্ষোভ ও অবসাদ হইতে রক্ষা করে। তিনি আগেকার মতই পরিহাসরসিক আছেন। বোলপুর স্টেশনে তাহার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ব্যর্থ চেষ্টা কয়েক জন লোক করিয়াছিল, কিন্তু সর্বসাধারণ নানা প্রকারে তাহাকে সম্মান দেখাইয়াছিল। যাহারা তাহার সহিত একমত নহেন, যাহারা তাহার মতকে দেশের পক্ষে অনিষ্টকর মনে করেন, তাহাদের এইরূপ বিশ্বাস বৈধ ও ভদ্র উপায়ে প্রকাশ করিবার অধিকার তাহাদের নিশ্চয়ই আছে । কিন্তু অভদ্র আচরণ সৰ্বথা ও সর্বদা নিন্দনীয় ও পরিহার্য। শত্রুর প্রতিও অভূত্র আচরণ গৰ্হিত। - অার একটা কথা মনে রাখিতে হইবে যে, র্যাহারা ༄༽ཟ་གི (public men), তাহারা যত্র তত্র সর্বত্র \ سيذ সার্বজনিক কর্মী নহেন। সুতরাং তাহাজের বিরুদ্ধে যদি “বিক্ষোভ প্রদর্শন” করিতে হয়, তাহা হইলে তাহার যখন সার্বজনিক কম করিতে যাইবেন ও করিবেন, তখন তাহা করাই সঙ্গত। গান্ধীজী এরূপ কোন কাজে শাস্তিনিকেতন যান নাই—রাজনৈতিক কাজ বা আলোচনাতে ত নহেই। সুতরাং সেই উপলক্ষ্যে “বিক্ষোভ প্রদর্শনে”র ব্যর্থ চেষ্টাটা দেশকালোচিত ত হয়ই নাই, বস্তুতঃ মাঠে মারা গিয়াছে । মালিকান্দার পথে ও মালিকান্দায় মালিকান্দায় এবার গান্ধী-সেবাসংঘের সম্মেলন বা মন্ত্রণাসভা হইয়া গিয়াছে। মালিকানা যাত্রার পথে ও সেই গ্রামে “বিক্ষোভ প্রদর্শন"টা খুবই হইয়াছে –এবং অভদ্র ও গৰ্হিত রকমের হইয়াছে। কংগ্রেসীরা অনেকে শিয়ালদহ স্টেশনে ও মালিকান্দ যাতায়াতের পথে মারপিট করিয়াছিল । আমরা এসব লজ্জাকর ব্যাপারের প্রত্যক্ষদশী নহি । উভয় পক্ষের কাগজ পড়িয়া আমাদের এইরূপ ধারণা হইয়াছে যে, গুগুমি বামপন্থী দক্ষিণপন্থী উভয়েই করিয়াছিল। কোন-পক্ষীয় গুণ্ডার সংখ্যায় বেশী বা “go () ww.nitz” (“in order of merit” (?)) of: ছিল বলিতে পারি না। কোন দলেরই নহেন আমাদের বিশ্বাসভাজন এমন এক জন কংগ্রেসী লিথিয়াছেন যে, গান্ধীজীর তথাকথিত অমুচর অনেক হিন্দুস্থানী যে অনেক বাঙালীকে মারিয়াছিল, তাহা গান্ধীজীকে জানান হইয়াছে । মালিকান্দায় “বিক্ষোভ প্রদর্শন” অত্যন্ত লজ্জাকর ও দুঃখকর রূপও ধারণ করে। যথা, ঘরে আগুন লাগান, ছোরা মারা । এই প্রকার বিক্ষোভকেরা অহিংস স্বরাজসংগ্রাম চালাইবার যোগ্য কি প্রকারে বিবেচিত হইতে পারে, জানি না । ইহা নিশ্চয়, যে-কারণেই হউক বাংল। দেশে গান্ধীবিরোধিতা আছে। তাহা অনুগ্র ও উগ্র দুই রকমেরই । বিরোধিতা প্রকাশ করিবার অধিকার গান্ধীজী মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন, এবং তাহার প্রকাশ হইতে তিনি শিক্ষণীয় যাহা তাহা উপলব্ধিও করিয়া থাকিবেন। মালিকান্দায় গান্ধী-বিরোধিত যেমন প্রকাশ পায়, গান্ধীজীর অঙ্কুবর্তিতাও সেইরূপ প্রকাশ পাইয়াছিল। গান্ধী-সেবাসংঘ-সম্মেলনের নিমিত্ত ত্রিশ হাজার টাকা সংগৃহীত হইয়াছিল। ব্যয় বাদে আঠার হাজার টাকা সংশ্বের কাজের জন্য গান্ধীজীর হাতে দেওয়া হইয়াছে । ত্রিশ চল্লিশ মাইল দূর হইতে র্তাহার দর্শনপ্রাণী বহু লোক