পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 be
প্রবাসী -আষাঢ়, ১৩৩৬
[ ২৯ ভাগ, ১ম খণ্ড
Wawr
1
অনুবাদ
মেহেদী হয়েছে বােরা মাসব দেশে,
গুজরাটে রঙ তার এসেছে ভেসে
—লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
আদুরে দেওর, তুমি দেরীতে এলে,
এত মেহেদীর পাতা কোথায় পেলে ?”
-লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
“বেটে-ঘুটে দেখ বাটা এনেছি ভরে,
বৌদি, নাও না হাত রঙীন করে।”
-লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
“মেহেদীর রাঙা রঙ যে ভালবেসে
দেখি আমার হাতে, গেছে বিদেশে।”
-লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর ।
লাখটাকা রােক আমি দিব তাহারে,
আজ যদি যায় কেহ সাগর-পারে।”
লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর ।
“সতীন-পতিরে মাের বলিবে গিয়ে,
ঘরে ফিরে এসো, তব বােনের বিয়ে।”
-লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
বিয়ে যদি-হয় হােক ধুম করি,
পার যদি ‘বরিয়াতে’ রেখাে ধরিয়া।”
লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
“সতীন-পতিরে মাের বলিবে গিয়ে,
‘ঘরে ফিরে এসে, ছোট ভাইয়ের বিয়ে।
-লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
(8)
মূল
[ প্রাচীন গরব ]
ই তাে ভূল। বাবা গতী রে। রাজল মারবাড়ী।
কাটো বাগ্যো রে। রাঙ্গল মারবাড়ী ॥ ১ |
মহারা সসৱানে তেড়াবো রে। রাজল মারবাড়ী ।
মুহার সলর বৈদ তেড়াবে রে। রাঙ্গল মারবাড়ী। ২।
নৈ জাব,কেৰীয়া লাল, কাটো যেৰী ছে ।।
মার। জেঠনে তেড়াবে। রে। লাগ-ভাগ সোপী দই।
মারে জেঠ বৈদ তেড়াবে রে। রাজল মরবাড়ী।
নৈজার, কেসরীয়া ল'ল। কাটোবেরী ছে । ৪ |
মারী মানে তেড়াবো রে। ধরবার সোপী দই |
মারী সাহু বৈদ তেড়াবে রে। রাঙ্গল মারবাড়ী।
নৈ জাউ, কেসৱীয়া লাল। কাটো ফেরী ছে॥
মারা শােকানে তেড়াবে। রে। পরণে সোপী দউ ।
মারা শােক্য বৈদ্য তেড়াবে ৱে। রাজলু মারবাড়ী।
নৈ ছাই, কেশরীয়া লাল। কাটো কেরী ছে। ৬।
মারা পণ্যানে তেড়াবাে রে। ছোকরা সোপী দউ |
মার পরণ্যো বৈ তেড়াবে রে। কাটো ঝেরী ছে॥ ৭।
মারা পরণ্যানাে বৈদ সাচে রে। কাটো কাঢ়ে। ছে।
জীবী জীবী, কেসরীয়। লাল কাটো কাঢ়ে ছে | ৮||
হার জেঠনে পাছ। বালো রে। লাগ ভাগ মাগী গঙ।
জীবী জীবী, কেসরীয়। লাল। কাটো কাঢ়ো ছে ॥ ৯।
হারী সানে তেড়াবো রে। ঘর-বার মারছে।
জীবী জীবী, কেসরীয়া লাল। কাটো কাঢ়ো ছে ।১০ |
মারী শােক্যনে তেড়াবাে রে। সায়ব পাছে লউ।
জীবী জীবী, কেসরীয় লাল। সারবে মারছে। ১১ |
অনুরাগ
বিয়ে যদি হ হ ম করিয়া,
যাক সে বনেদী বরযাত্রী নিয়া।
-লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
সতীন-পতিরে মাের একথা বোলে,
‘মরিছে জননী তব, ঘরেতে চলো?”
—লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
“মরেন মা যদি কেবা রাখিতে পারে।
কুলগাছ তলে যেন পুড়িও তারে।”
-লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেণীর।
সতীন-পতিরে বলে। একথা খুলে,
কেঁদে প্রেয়সীর চোখ গিয়েছে ফুলে।
—লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেধীর।
“চলই সেপাই সব, বাধ হাতিয়ার,
সময় হয়েছে ঘরে ফিরি এইবার।
-লেগেছে মেহেদী রঙ, রঙ মেহেদীর।
ফুল চয়নে গিয়েছিলেম প্রাতে,
রাজল মারবাড়ী।
বিষের কাটা ফুটুল আমার হাতে,
রাজল মারবাড়ী।
শরকে মাের ডাক আমার কাছে,
জল মারবাড়ী।
শুর চলেন বৈদ্য যেথায় আছে,
রাজল মারবাড়ী।
বৈদ্য কহে যাবো না আমি, বাবু,
কাটার বিষে চাহি না হ’তে কাবু।
। খুব সম্ভবত প্রাচীন কোনও গান হইতে গৃহীত, এবং এই
গানের পক্ষে সম্পূর্ণরূপে নিরর্থক শব্দ, গানের পদ পূর্ণ করিবার জন্য