পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] পায় পকেট হইতে নস্যের শামুক বাহির করিয়া এক টিপ নাকে গুজিয়া দেয়, তারপর নাকের বাহিরের নস্য ঝাড়িয়া হাতখানা জামার উপর ঘসিয়া সাফ করিয়া আরম্ভ করে— শেষ হ’ল ? ফের দিচ্ছি আর গোটা-অাষ্টেক— এমনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা । লোকের মুখে পশু মাষ্টারের এত নামডাক শুধু শুধু হয় নাই, সে ভিলাৰ্দ্ধ ফাকি দেয় .না ! চারিট। ক্লাস পড়াইবার পর টিফিনের ঘণ্ট। বাজিলে , পশুপতি বাহির হইয়া আসিল। তখন নন্ত ও খড়ির গুড়ায় জামার নীল রঙ ধূসর হইয়া গিয়াছে । সিড়ির নীচে জানালাহীন ঘরখানিতে ক্লাল বসান যায় না । ইনস্পেক্টর মান করিয়া গিয়াছে, সেখানে বসিলে ছেলেদের স্বাস্থা খারাপ্ত হইয়া যাইবে । সেইটি মাষ্টারদের বসিবার ঘর। ইতিমধ্যেই সকল্পে আসিয়া জুটিয়াছেন । হু ক গোটা পাচ সাত্ত—কোনটার গলায় কড়িবাধ, কোনটায় কেবলমাত্র রাঙামৃত, একটির নলচের উপয় আবার ছুরি দিয়া গৰ্ত্ত করিয়া লেখা হইয়াছে —’মা’ অর্থাৎ মাহিয্যের হুকা । নিজ নিজ জাতি বিবেচনা করিয়া মাষ্ট:রের উহার এক একটি তুলিয়৷ লইলেন । যাহাঁদের ভাগ্যে হুকা জুটে নাই তাহার অম্বুকল্পে বিড়ি ধরাইলেন । ধোয়ায় ধোয়ায় ছোট ঘরখানি অন্ধকার । রসালাপ ও প্রচণ্ড হাসি ক্রমশঃ জমিয়া জাসিল । ক্ষণে ক্ষণে আশঙ্কা হয়, বুঝি-বা অত আনন্দের ধাক্কা সহিতে না পারিয়৷ বহুকালের পুরানো ছাদ ভাঙিয়াচুরির সকলের ঘাড়ে আসিয়া পড়িবে। কিন্তু স্কুলের জন্মকাল হইতে এমনি আটত্রিশ বছর .চলিয়া আসিতেছে, ছাদ ভাঙিয়া পড়ে নাট । উহারই মধ্যে একটা ৰোণে বলিয়৷ পশুপতি খামখানা খুলিগ । খুলিতেই আসল চিঠিখান ছাড়া আর এক "টুকুর। কাগজ উড়িা মেঝে গিয়া পড়িল । তুলিয়৷ cनtश-बबांक कां७ ! हेश हट्टेल कि कब्रिञ्च ? এই সেদিন মাত্র সে খোকাকে ধরিয়া ধরিয়া অ-জ। লেখাইয়া বাড়ি হইতে আসিয়াছে, এরই মধ্যে ছেলে নিজের হাতে পত্র লিখিয়াছে। কাহাকে দিয়া কাগজের উপর পেন্সিলের দাগ কাটিয়া লইয়াছে, সেই ফাকের মধ্যে २फ़ बफ़ कब्रिध्न लिथिब्राटश्-बाबा, चांधि श्रक्लिाउ ७ ফাষ্টবুক ও চিত্রাঙ্গদা

  • নাই ।

እፃ» লিখিতে শিখিয়াছি ছবির বই আনিবে । ইতি— কমল ৷ একবার, দুইবার, তিনবার সে পড়িল । লেখা যেমনই হউক, অক্ষরের ছাদ কিন্তু বেশ—বড় হইলে খোকার হাতের লেখা ভারী সুন্দর হুইবে । পশুপতি একট। দীর্ঘশ্বাস ফেলিল । এই ছেলে আবার বড় হুইবে, তাহার দুঃখ ঘূচাইবে, বিশ্বাস ত হয় না ; পরপর আরও তিনটি এমনি বয়সে ফাকি দিয়া চলিয়া গিয়াছে ৷ ভাবিতে ভাবিতে সে কেমন যেন একটু উন্মনা হইয়া পড়িল । পরক্ষণে খোকার চিঠি খামে পুরিয়া বাহির করিল। প্রভাসিনী যে-খানি লিপিয়াছে। ছোট ছোট অক্ষরের সারি চলিয়াছে যেন সারবন্দী পিপীলিকা ৷ বিস্তর দরকারী কথা—সাংসারিক অনটন, ধানচালের বাজার দর, গোয়ালের ফুট চাল দিয়া জল পড়িতেছে, তারিণী মুখুয্যে বাস্তুভিটার খাজনার জন্ত রোজ একবার তাগাদ করিয়া যায়,—ইত্যাদি সমাপ্ত হইরা শেষকালে আসিয়া ঠেকিয়াছে কয়েকটি অত্যাবশুক জিনিষের ফৰ্দ্ধ-ছুটিতে । বাড়ি যাইবায় মুখে খুলন। হইতে অডি অবশু অবশু সেগুলি কিনিয়া লঙ্গয়া যাইতে হুইবে, ভুল না হয় । পশুপতি ফৰ্দ্দখানির উপর আর একবার চোখ বুলাইল, তারপর পকেট হইতে পেন্সিল লইয়া পাশে পাশে দাম ধরিতে লাগিল । কি ভাগ্য যে এতক্ষণ এদিকে কাহারও নজর পড়ে এইবার রসিক পণ্ডিত দেখিতে পাইল এবং ইসারা করিয়া সকলকে কাণ্ডটা দেখাইল । তারপর হঠাৎ ভারী ব্যস্ত হইয়া বলিতে লাগিল,—পশুভায়া, করেছ কি ? হাটের মধ্যে প্রেমপত্তোর বার করতে হয় ? ঢাকো—শিগগির ঢাকো-সব দেখে নিলে— পশুপতি আপনার মনে ছিল, তাড়াতাড়ি চিঠি চাপ৷ निब्रा भूथ छूजिण । হাসি চাপিষ্ঠ অত্যন্ত ভাল মাছুষের মত রসিক কহিল —ঐ নকুড়চন্দোর বাবুর কাও, আড়চোখে দেখছিলেন। নকুড়চন্দ্র বসিয়াছিলেন ঘরের বিপরীত কোণে। বুড়ামামুখ, কাহারও স্ত্রীর চিঠি চুরি করিয়া দেখিবার বয়স ।