পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪থ সংখ্যা । স্ববর্ণদওধর প্রতিহার পরিবৃত রুচিপতি ও ভক্রিল নগর হইতে প্রাসাদে ফিরিতেছিল, সম্মুখে জনতা দেখিয়া রুচিপতি নগর ঘোষকের মত উচ্চকণ্ঠে বলিতে আরম্ভ করিল, "নাগরিকগণ, তোমাদের সনিৰ্ব্বন্ধ আকুরোধে মহারাজা রামগুপ্ত অত্যন্ত ব্যথিতচিত্ত হলেও শকরাজার অনুরোধে পট্টমহাদেবী ধ্রুবদেবীকে মথুরায় পাঠাতে সন্মত হয়েছেন। স্বতরাং তোমরা নিশ্চিস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যাও, আর যুদ্ধের সম্ভাবনা নেই ।” রৰিগুপ্ত ক্ষিপ্ত হইয়া রুচিপতির গ্রীবা ধারণ করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “কি বললি নরাধম ?" রুচিপতি দেবগুপ্ত ও রবিগুপ্তকে ভাল করিয়াই চিনিত এবং বিষম জনতার মধ্যে র্তাহাদিগকে দেখিয়া অভ্যস্ত ভীতও হইয়াছিল। সে অতিধীরে বুদ্ধের হাত ছাড়াইয়া অতি নম্রভাবে বলিল, “ভদ্র, রাজ আদেশ নাগরিকদের জ্ঞাপন করছি মাত্র । আপনি কে তা জানি না, তবে আপনি বয়সে বড়, স্বতরাং আপনার কটু সম্ভাষণ অামার পক্ষে আশীৰ্ব্বাদ । আমি রাঙ্গভূত্য মাত্র, রাজ আদেশে এই আনন্দ-সংবাদ নগরের পথে পথে জ্ঞাপন করে বেড়াচ্ছি । পাটলিপুত্রের নাগরিকেরা শকরাঞ্জের সঙ্গে যুদ্ধ বাধবার সম্ভাবনা দেখে অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়েছিল সেইজন্ম তাদের সনিৰ্ব্বন্ধ অন্তরোধ উপেক্ষা করতে না পেরে, মহারাজাধিরাজ রামগুপ্ত র্তার প্রাণ অপেক্ষ প্রিয়তমা মহিষী ধ্রুবদেবীকে মথুরায় প্রেরণ করতে সম্মত इं८श्वट्झन ॥* রুচিপত্তির কথা শেষ হইবার পূৰ্ব্বেষ্ট নাগরিকগণের মধ্যে ভীষণ কলরৰ উঠিল, একজন বলিয়া উঠিল, "মিথ্য झषां," चाब्र ७कछन बलिब्रl खेट्ठेिल, “८क व८ल श्रृंfüलिপুত্রের নাগরিক যুদ্ধে কাতর ?” তৃতীয় জন বলিল, “মহারাজের কাছে কে অকুরোধ করতে গিয়েছিল ?” জয়নাগ জিজ্ঞাসা করিল, “সমুদ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর পাটলিপুত্রের কোনো পল্লীর কোনো নাগরিক প্রাসাদে নূতন মহারাঞ্জের নিকট আবেদন করতে গিয়েছিল।” কেহ কোনো উত্তর দিল না। পশ্চাৎ হটতে একজন नांशंब्रिक रुजिब्रा खेटेिज, “हाग्न, हांब्र, ७भन नभञ्च भूवब्रांख চন্দ্রগুপ্ত কোথায় ?” ধ্ৰুব ¢8ፃ ইন্দ্রদ্ধ্যতি তাহাকে বলিল, “তিনি এইমাত্র রুচিপতির সন্ধানে প্রাসাদে এসেছিলেন ।” রুচিপতি ভঞ্জিলের দিকে চাহিয়া জনাস্তিকে বলিল, "ঠিক সময় বেড়িয়ে পড়া গিয়েছে হে ।” তাহার পর সামলাইয়া লইয়া নাগরিকদিগের দিকে চাহিয়া বলিল, “বাপ সকল, আমার কথায় বিশ্বাস না হয়, বিশ্বাস ক’রো না । আমি রাজতৃতা, মহারাজাধিরাজের আদেশ তোমাদের জানিয়ে গেলাম ; এস হে ভপ্রিল ।" রুচিপতি ও ভূদ্রিল জোরণের ভিতরে গিয়া নিঃশ্বাস ফেলিয়া বাচিল । তখন দেবগুপ্ত বাহিরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এই কি রুচিপতি ?” জয়নাগ উত্তর দিল্ল, “ই প্রভু, ইনিই মাপনার উত্তরাধিকারী মহানায়ক মহামাত । রুচিপতি শৰ্ম্ম৷ ” রবিগুপ্ত—চল দেবগুপ্ত, দূতদেবীর সন্ধানে যাই ।” উ মুনাগ— প্ৰভু, বলে দিন এ অবস্থায় আমরা কি করব ? রবি-নৃত্তন সম্রাটের মতিচ্ছন্ন ধরেছে, নগরশ্রেষ্ঠ। প্রতি পল্লীতে নাগরিকগণকে প্রস্তুত হয়ে থাকতে ৰল, গুপ্ত-সাম্রাজ্যের এত বড় বিপদ অনেক দিন হয় নি । জয়-প্রভূ, যে-দিন রামগুপ্ত ধীবkাজ্যে অভিষিক্ত হন, সেই দিন থেকে এই দুদিনের আশঙ্কায় কেবল পাটলিপুত্রের পল্লীতে পল্লীতে নয়, সাম্রাজ্যের প্রতি নগরে প্রতি গ্রামে সকলে দিবারাত্রি প্রস্তুত আছে । আজ কিন্তু দেশে নেতার অভাব । মনে কংেছ কি ধারা তোমার অধীনে অস্ত্র ধরেছে, তারা রুচিপতি, আর চন্দনার ভ্রাত ভদ্রিলের অধীনে যুদ্ধ করবে ? রবি—fচম্ভ ক’রে না বুদ্ধ জয়নাগ, ভগবান আছেন । কুমার চন্দ্রগুপ্তের কাছে যাও । আবশুক হলে বুদ্ধ রবিগুপ্তও ধৰ্ম্মযুদ্ধে অস্ত্ৰধারণে পরাস্মথ হবে না।” নাগরিকগণ চন্দ্রগুপ্তের জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল । নগরশ্ৰেষ্ঠ জয়নাগ আবার কহিল, “প্ৰভু, পৌরসঙ্ঘ, স্বর্গগত মহারাজের মৃত্যুর পরেই যুবরাজ চন্দ্রগুপ্তকে সিংহাসনে বরণ করেছিল, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ।" রবি-জয়নাগ, সমুত্রগুপ্তের পুত্র পিতার আদেশ