পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বউ মরিয়া গেলেও তিনি ডাক্তার ডাকিবেন না তখন তরঙ্গিণী উৎকণ্ঠায় আকুল হইয়া ছুটিয়া আসিয়া উপস্থিত হইল। জমিদারবাড়ির বউকে খাতির করিয়া বৃদ্ধ মুখ বদ্ধ করিতে বাধ্য হইলেন। তরঙ্গিণী নিজে টাকা দিয়া ডাক্তার, নল" প্রভৃতি আনাইল, এবং অচেতন সধীর মাথার কাছে তগিনীক্ষেহে তাহাকে আগলাইয়া বসিয়া রহিল। দুই তিনদিন নরক-যন্ত্রন ভোগ করিয়া লীলা একটি কন্যা প্রসব করিল। তরঙ্কিণী বাড়ি ফিরিয়া বকুনি খোটা বেশ প্রচুর পরিমাণে উপভোগ করিল, কিন্তু লীলার প্রাণরক্ষা করিতে পারিয়াছে, সেই আনন্দ্ৰে সব-কিছু সে উপেক্ষ করিয়া গেল। লীলা অনেক দিন ধরিয়া ভুগিল, তারপর আস্তে আস্তে সারিয়া উঠিল। শিশুটি অযত্বে পাছে মারা যায়, সেই ভয়ে লীলার মা তাহাকে নিজের কাছে লইয়া গেলেন । মায়ের চেয়ে দিদিমার কোলই তাহার প্রিয় হইয়া উঠিল। লীলা ছেলের মা হইয়াও অনেকটা ঝাড় হাত পা লইয়াই দিন কাটাইতে লাগিল । কালের চক্ৰ ঘুরিতে ঘুরিতে নানারকম পরিবর্তন দেখা দিল । তরঙ্গিণী বিদায় হইল। যাইবার সময় লীলার হাত ধরিয়া বলিয়া গেল, "চললাম ভাই, শীগগিরই বউভাতের নেমন্তল্পের ঘটা দেগবি হয় ত।" লীলা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলিল, “বউয়ের মুখে আমি জুমড়ে ঠেলে দেব। কিছু মনে কোরো না দিদি, কিন্তু তোমার স্বামীর গায়ে মানুষের চামড়া নেই।” তরঙ্গিণী আর ফিরিল না। জমিদার-বাড়িতে বছর না-ঘুরিতেই বিবাহ বউভাতের ধূম লাগিল বটে, তবে লীলার অবশ্য তাহাতে নিমন্ত্রণ হইল না। লীলা নিজের ছোট খোলার ঘরে রুদ্ধ আক্রোশে গৰ্জ্জন করিতে লাগিল। শাশুড়ী তাহাকে তাড়া দিয়া বলিলেন, “তুই बTांछब्र बTायब्र कब्रक्लिन् ८कन लां ? ' ब्रांख-ब्रांछप्लांब्र घब्र, হযেই ত ! ওরা কি ভিখ, মেণ্ডে খায় যে, একটার বেশী ছুটে বউ পুষতে পারবে না?” এ হেন যুক্তি শুনিয়া লীলা নীরব হইয়া গেল । জমিদার-বাড়ির নূতন বউ স্বম্বোরাণীর নাম স্থধারাণী। দেখিতে বিশেষ ষে কিছু একটা রূপবতী তাহা নয়,. छ्षभ। (Iరి - ---------------------------- ----------------- বড়লোকের মেয়েও নয়, কিন্তু তাহাকে ঘিরিয়া যে আদর সোহাগের আবৰ্ত্ত হুষ্ট হইল, তাহ দেখিয়া পাড়ার লোকের তাক লাগিয়া গেল। শোনা গেল বধূর কোষ্ঠীতে এবং হাতে আছে সে অতি ভাগ্যবতী এবং বহু সস্তানবতী । ভাল ভাল জ্যোতিৰ ডাকিয়া তাহার গুণাবলী যাচাই করিয়! তবে তাহাকে এ-ঘরে স্থান দেওয়া হইয়াছে । কাজিচন্দ্রের রূপের তৃষ্ণ ছিল না ধে তাহ নয়, তবে সে-তুষ্ণা মিটাইবার নানা রকম স্থযোগ ছিল । স্বধারাণী সুন্দরী না হওয়াতেও বড় একটা কিছু আসিয়া গেল না। তরঙ্গিণীর কথা লোকে ক্রমে ভুলিতে স্বরু করিল। চোখের সামনে না থাকিলে আত্মীয়-স্বজনেই বা কটা মাকুযকে মনে রাখে, তা পাড়াপ্রতিবেশীর কথা ছাড়িয়াই দাও। শুধু লীলার মনের ক্রোধের আগুন কিছুতেই নিবিল না। স্থধারাণীকে জানলা দরজার ফাকে দেখিলেই সে এমন অগ্নিময় দৃষ্টিতে তাকাইত যে, নূতন বউ বেচারী ভ্যাবাচাকা থাইয়া সুরিয়া যাইত। লীলার নিজের সংসারেও নানা রকম পরিবর্তন, ভাঙাগড়া চলিতেছিল। খুকী এখনও বেশীর ভাগ সময় দিদিমার কাছেই থাকে। কাজেই লীলার সাঙ্গহীনভার দুঃখ আর ধোচে নাই। এমন দিনে তাহার प्रां भैौe इ*ा९ वह मूब cमान कोख लहेब कलिब cश्रण । দেশে তাহার ছোটভাই থাকিত, সে সম্প্রতি মারা গিয়াছে । রাখিয়া গিয়াছে বিধবা স্ত্রী এবং তিন চারটি ছেলেমেয়ে। সকলের ভার পড়িল গণেশশঙ্করের উপর, পচিশ টাকা মাহিনায় আর কোনো মতেই কুলাইল না। তৰু কপাল ভাল যে স্থদুর আসামে এক ধনী মাড়োয়ারীর বাড়ীতে ছেলেদের সংস্কৃত পড়াইবার একটা কাজ তাহার জুটিয়া গেল। মাহিনা পচাত্তর টাকা, থাকিবার ঘর মিলিবে । এমন স্বযোগ সে ছাড়িতে পারিল না । औरक नांनां कथांब्र दूवाहेब्र, ब्रुक यां८ब्रव्र उांब्र डांशंद्र হাতে সপিয়া দিরা বিষন্ন মুখে গণেশশঙ্কর যাত্রা করিল। বৎসরে একবার মাত্র পূজার সমর সে দিন পনেরো ছুটি পাইবে, তাহারই আশায় তাহার মাতা, পত্নী সকলে দিন গুণিতে লাগিল।