পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ ভাগ ] शंखl ৭৬৭ জন্য নিৰ্ভয়ে গৃহের বাহির হইতে পারিয়াছেন, এরূপ রমণীর দৃষ্টান্তও জগতে স্থলভ নহে। তাই মনে হয়, “নিত্যন্মরণীয়া পঞ্চকন্যা”র অন্যতম লোকশ্রুতা তারাকে “প্রখলষ্ঠী, মদবিহবলাক্ষী, প্ৰলম্বকাঞ্চীগুণহেমকুত্ৰ, পানধোগাচ্চ নিবৃত্তলজ্জা”—এই সকল বিশেষণে বিশেষিত করিয়া হেয় করিবার কোনও প্রয়োজন ছিল না । যে কবি উত্তরকাণ্ডে লিখিয়াছেন ( ৪২৷১৮, ১৯ )— “ইন্দ্র যেমন শচীকে মদ্য পান করান, তেমনি রাম সীতাকে বাম বাহুদ্বারা বেষ্টন করিয়া পবিত্র মৈরেয়ক মদ পান করাইলেন” (সীতামাদায় হস্তেন মধু মৈরেয়কং শুচি। পায়য়ামাস কাকুৎস্থ শচীমিব পুরন্দর ॥ )—ইহা কি তাহারই কীৰ্ত্তি ?

  • i-sa-తతోs

যাত্রা ক্রমাণিক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশাখের সপ্তমী তিথিতেই এ বাড়িতে আজ বিজয়৷ আসিয়াছে। চারিদিকে বিচ্ছেদ-বেদনার একটি করুণ ছায়াপাত হইয়াছে। কারণটা সম্ভবতঃ এই যে, সকলেই অল্পাধিক প্রান্তু । অথচ উৎসরের জের এখনও মেটে নাই। বাড়ি এখনও আত্মীয়-স্বজনে ভরিয়া আছে, ছেলেমেয়েদের কলরব কালকের চেয়ে আজ কোন অংশেই কম নয় । অকেজো লোকের অকারণ চলাফেরা, কাজের লোকের অসহিষ্ণু ব্যস্ততা, খাওয়া খাওয়ানো, মাছ কাট, তরকারী কোট, হলুদ বাট ও রান্নার সমারোহ সবই পুরাদমে চলিতেছে। উঠানের কোণে নিম আর আম গাছের মেশানো ছায়ায় পাতা চৌকিতে বয়স্ক প্রতিবেশীদের ছক টানার বিরাম নাই। তা, ইহা স্বাভাবিক বই কি। এতগুলি মাহুষের মধ্যে ধরিতে গেলে কয়জনেরই বা বুকের ভিতরটা আজ ভারি হইয়া উঠিয়াছে, চোখের আড়ালে অশ্র জমিয়াছে ? দৈনন্দিন জীবনটা নিরুৎসব সকলেরই, সে জীবন পিছনে ফেলিয়া উৎসবের নিমন্ত্রণ রাখিতে আসিয়াছে আজ যাহার, দাবি তাহাদের আনন্দ আর বৈচিত্রা, বরকনে-বিদায় ব্যাপারটা তাহাদের কাছে दिनांद्र-फे९णय च्छि चांब्र किङ्करे नष्ठ, भः e cभन्छब्र कांबांकांछि पठांझांब्रहे थांकृशविक बकृ*ांन भांबि । • তবু বেশ বুঝিতে পারা যায়, সমস্ত বাড়িটাই কেমন যেন ঝিমাইয়া পড়িয়াছে ; আছে সবই কেমন যেন বেমানান হইয়া আছে। খানিক আগে কুড়াইয়া পাওয়া মালকোষকে ঠিকমত আয়ত্ত করিতে না পারিয়া শানাই এখন, এই বেলা এগারটার সময়, সহসা পূরবী ধরিয়া ফেলিয়াছে ; অনাবশ্বক দীর্ঘ টানগুলির মধ্যে পূরবীত্ব কিছু কম থাকিলেও বিলাপ আছে প্রচুর। সদর দরজার দুইপাশে কলাগাছ দুটি পাত এলাইয়া নিস্তেজ হইয়া পড়িয়াছে, একটি মঙ্গল কলসের আম্রপল্লব কাল বোধ হয় ছাগলেই অৰ্দ্ধেক খাইয়া ফেলিয়াছিল, এখন পর্য্যস্ত তাহা বদলাইয়া দেওয়া হয় নাই। আর হইবেও না। আর আধঘণ্টা পরে বাড়ির ছয়ারে মঙ্গল কলসেরই বা কি প্রয়োজন,তাহাতে অক্ষত আগ্রপল্লব না থাকিলেই বা কি আসিয়া যাইবে । ক্ষেপ্তিই বিশেষ বন্ধু। ছেলে সকাল হইতে সে ইন্দুর কাছে থাকিয়াছে, গল্প করিয়াছে, আশ্বাস, উপদেশ, সাম্বন, নিজের প্রথমু স্বামিপৃহে যাওয়ার বিশদ বর্ণনা, বলিতে কিছুই বাকী ফাখে নাই। তৰু যেন কথা ফুরাইতেছিল না। ন ফুরাইবারই কথা। . নেপথ্যে ভবিষ্যতের ব্যথা জমিয়ছে। জাবার কৰে। দেখা হইবে কে জানে ? hক সৰ্ব্ব দু'জনে বাপের বাড়ি