পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ডুকরি, হায়দরাবাদ, বোম্বাই aసిన জেনানায় পোলো খেলা আর খানিকটা ছায়ায় ধোয়াটে। সন্ধ্যায় জল শেওলার মত সবুজ হইয়া আসে। সমুদ্রের জল বাগানের ফাক দিয়া খানিকট দেখা যায়, খানিকটা যায় না। সমুদ্রের সত্যই মায়া আছে। স্থির জলও যেন “এস এস চল ভেসে যাই,” বলিয়৷ ডাক দিতে থাকে । অবজারভেটরীর চারিধারে গোরাদের আড়া। সমূত্রের ঠিক ধারে জলের দিকে মুখ করিয়া একটি কামান বসানো। রাত্রে শহর ঘুরিয়া বেড়াইতে গেলাম। বোম্বাই আধুনিক শহর, স্বতরাং ঘরবাড়ী পথঘাট কলিকাতা হইতে বিশেষ ভিন্ন রকম নহে। কিন্তু একটা জিনিষ লক্ষ্য করিবার অাছে। কলিকাতায় চৌরঙ্গী প্রভৃতি পথ এবং দক্ষিণ দিকের ঘরবাড়িতে যে ঐ দেখা যায়, উত্তর দিকে তেমন প্রায়. দেখা যায় না। বোম্বাই আমি যতটা দেখিলাম ততটা সবই খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বাড়িগুলি পাশ্চাত্য ধরণের, কিন্তু অধিকাংশই স্বধৃত। পথের ধারে ধীরে জঞ্জাল ও দুর্গন্ধ নর্দমা নাই, বারান্দা হইতে নোংরা কাপড় গামছা ও বিছানা ঝুলিয়া থাকে না, পথের লোকেরা পরিষ্কার কাপড় প্রায় সকলেই পরে, মেয়েদের ত একজনকেও বেশভূষায় উদাসীন মনে হয় না। যাহাদের বিলাসে অর্থ ব্যয় করিবার সাধ্য কি ইচ্ছা নাই, তাহারাও পরিচ্ছদে জরুচির পরিচয় দিয়াছে। এখানে বেড়াইবার জায়গা যত দেখিলাম সৰ্ব্বত্রই মেয়েদের ভিড় । মারাঠি মেয়ের সন্ধ্যাবেলায় রঙীন শাড়ী পরিয়া খোলা মাথায় খোপায় সাদা ফুলের মালা জড়াইয়াচটি পায়ে ঘোরে, তাহাদের সহজ স্বচ্ছন্দ চলাফেরার সঙ্গে এই বেশটি ভারি স্বন্দর মানায়। পাশী ও গুজরাটাদের মধ্যে দৈহিক সৌন্দৰ্য্য বেশী। কিন্তু পার্শীদের বিলাসিতা ও পাশ্চাত্য ভাবভঙ্গী এত উগ্র যে, মারাঠি ও পাশাঁকে পাশাপাশি দুই জগতের মাস্থ্য মনে হয়। তবে আজকাল আবার একদল পাশী মহিলা স্বদেশীর দিকে খুব ঝুঁকিয়াছেন। তাহাদের পরণে খঙ্গর, তসর, গরদ, পায়ে মোজাদ্বীন চটজুতা। পিন্ধের মোজ, উচু গোড়ালির নানা রঙের জুতা, বিলাতী ফিতা ও সিন্ধের বহুমূল্য পোষাক ইত্যাদির বদলে সাদাসিদা গরদের শাড়ী ও চটি জুতায় এই স্বন্দরীদের