28. কষ্টতেন, কিন্তু ভাষার অভাবে ষ্ট’য়ে উঠল না । মাঝের কি একটা ষ্টেশনে তিনি নেমে গেলেন । বিকাল তিনটের কিছু পরে আমরা শুরকত্ততে পউছুলুম। শহরটার নাম হ'চ্ছে সংস্কৃত শূর-কুত’ অর্থাৎ শূর বা বীরের কৃত বা নিৰ্ম্মিত। এটার আর একটা সংক্ষিপ্ত নাম আছে, সে নামটী হ’চ্ছে Solo সোলে । ষ্টেশনে আমাদেড়পলভে এসেছিলেন কোপারব্যার্গ— তিনি বলি দীপে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে www.coi fría qzri Sra Java Instituut-sa affis সভা সম্পন্ন ক'রে আমাদের দলের সঙ্গে এখানে যোগ ডাক্তার রাঞ্জিমান লেন ; ডাক্তার Radjiman রাজিমান ব’লে একটা দ্বিীপীয় ভদ্রলোক, আধুনিক উচ্চ-শিক্ষিত উদার-চরিত্র দ্বীপীয়দের প্রতিভূ-স্বরূপ ; আর র্যার অতিথি হ’য়ে লোতে আমরা অবস্থান করবো, সেই রাঙ্গ সপ্তম নগরার তরফ থেকে দুজন ভদ্রলোক এসেছিলেন। শুরকওঁ-তে ছ জন রাজা আছেন—এক জনের উপাধি 瓦 ടാടു "মুম্বহুনান’ বা সংক্ষেপে enan ‘স্বনান', আর এক জনের ‘মঞ্চনগরে । মাদার স্বনান ধৰদ্বীপের তাৰং দেশীয় রাজাদের f্য প্রধান । একেই ঘবদ্বীপীয়েরা জাতির মাথা ব’লে গর ক’রে থাকে, ইনিই নাকি প্রাচীন রাজবংশের ধর। যোগ্যকৰ্ত্ত নগরেও এই রকম দু জন রাজা প্রবাসী--বৈশাখ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড আছেন—একজনের পদবী "স্থলতান", অন্ত জনের পদবী ‘পাণু আলাম’। স্বলতান অনেকট। সুমুহনানের সমকক্ষ ; আর মঞ্জনগরে। আর পাকু-আলাম-এর} ময্যাদায় দ্বিতীয় শ্রেণীর। মষ্ণুনগরোর প্রাসাদে আমাদের নিয়ে গেল । অনেকট। জায়গা জুড়ে এই প্রাসাদ—মহলের পরে মহল ; তবে প্রায় সৰ্ব্বত্রই একতাল। মঞ্চনগরোর নিজের বাসগৃহের মহলের লাগা অতিথিদের জন্ত কতকগুলি ঘর আছে,— উচ্চশ্রেণীর অতিথিদের জন্য একটা মছল ব’ললেই হয়। এইখানে আমাদের থাকবার ব্যবস্থা হ’য়েছিল । সমস্ত বন্দোবস্ত খুব হালের ধরণের ; তবে এদেশের গুমট ভারতবর্ষের মতন হ’লেও, এখনও এরা বিজলীর পাখ। ব্যবহার আরম্ভ করে নি। ডচেরী নাকি হুহু ক’রে হাওয়; বওয়াট পছন্দ করে না, তাই তারা দ্বীপময় ভারতে পাথার প্রচলন করে নি। যবদ্বীপের বড়:লাকদের প্রাসাদের একটা রীতি এই যে, প্রত্যেক প্রাসাদে এক বা একাধিক খুব প্রশস্ত তিন দিক বা চার দিক পোল। দোচাল বা চণ্ডীমণ্ডপ বা হল-ঘর থাকে,—এই হল-ঘরকে এর pendop০ ‘পেণ্ডপো' বলে - শব্দটী আমাদের ‘মণ্ডপ” শবে এই বিকারে উৎপন্ন ব’লে মনে হয় । অfর থাকে একটা ঘরে একটি খুব জমৃকালে গদী বা বিছান,— বাড়ীতে বিয়ে হ’লে বর-কনে এই গদীতে বা বিছানায় বসে ; আর কারও কখনও সেই গীতে বসবার অধিকার নেই ; গীটকে এর বলে "দেবী শ্রীর গদী" ; প্রাচীন ধবদ্বীপের হিন্দুযুগের স্মৃতি বহন ক’রে এই রীতি মুসলমান ঘবদ্বীপে এখনও বিশেষভাবে প্রচলিত আছে । যাকৃ, ফটক দিয়ে ঢুকেই খোলা চওড়া উঠান বা জঙিন— তাতে ছু চারট। গাছ ; আঙিনার খানিকট নিয়ে এই পেণ্ডপো ; পেগুপোর পিছনেই, বা তারই সংশ্লিষ্ট কতকগুলি বাসগৃহ। পেগুপোর ছাত কাঠের বা টালির বা খড়ের বা করেগেটের হয়ে থাকে ; ছাডটি থাকে অনেকগুলি কাঠের বা লোহার থামের উপরে। মেঝে সাধারণতঃ মারবেল পাথরের হয় । আঙিনার জমি থেকে পেগুপোর মেঝে আখ-হাত-টাক উচু হবে। চার দিক খোলা থাকায় বেশ হাওয়া চলে, ছপুর বেল পেণ্ডপোর
