পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] সংবাদেই ( এপ্রিল মাসের , মাঝামাঝি ) ইংরেজের কলিকাতার পুরাতন ছুগের স্থানে স্থানে মেরামত আরম্ভ করিয়া দেন, কিন্তু বগীরা ফিরিয়া গেলে ১৭ই মে এই ব্যয়সাধ্য কাজ বন্ধ করিয়া দেওয়া হইল। ঐ সময় শহররক্ষার জন্য দুই শত “বকৃসরিয়া” বন্দুকধারী সৈন্ত নিযুক্ত করা হয়, কিন্তু ১৭ই জুন তাহাদের আর আবশ্যক নাই বলিয়া ছাড়াইয়া দেওয়া হুইল । মীর হবিব হুগলী দখল করিবার পর কলিকাতার ভয় বাড়িল, কিন্তু স্বচতুর ইংরাজী নেতা ( প্রেসিডেণ্ট অব কাউন্সিল ) মীর হবিবকে ৪.৩১৭ টাকা ( নামে মাত্র ঋণ বলিয় ) দিয়া গুণত করিলেন । ( t ) মে মাসের প্রথমে নবাব রাজধানীতে আসিলেন । বগীর কাটোয়ায় ফিরিয়া গেল। কিছুদিন পরেই বর্ষা আরম্ভ হইবে এবং এই নদী-খাল-বিলে-ভরা বঙ্গদেশে সে সময় মারাঠা অশ্বারোহীরা যাতায়াত করিতে বা ঘোড়াকে খাওয়াইতে পাব্লিবে না বলিয়া ভাস্কর বীরভূমের পথে নিজরাজ্যের গুন হুইল । কিন্তু মীর হবিব বীরভূম হইতে তাহাকে ধমকাইয়া এবং নানা প্রলোভন দেখাইয়। ফিরাইয়া আনিল ( জুন ) । কাটোয়া মারাঠাদের কেন্দ্র আর মীর হবিব তাহাদের প্রধান মন্ত্রী হইল ( “মদারউল মহামূ”—সিয়র ১২২ ) । গঙ্গার পশ্চিমের জেলাগুলি তাহাদের হাতে পড়িল । “তাহাদের থানা নানা স্থানে ছড়াইয়া রহিল, রাজমহল হইতে মেদিনীপুর ও জালেশ্বর পর্ষ্যষ্ঠ বগীদের দপলে স্বাসিল । ধনী ও সম্লান্ত ব্যক্তিরা গুহত্যাগী হুষ্টয়া গঙ্গার পূৰ্ব্বপারে আসিয়া প্রাণ ও মান বঁাচাইল ।” সলিমুল্লা ] হুগলী বন্দরে মীর হবিবের অনেক পুরাতন বন্ধু, বিশেষতঃ পারস্যদেশীয় বণিক, ছিল। তাহদের মধ্যে র্মার আবুল হসন প্রধান । এই লোকটির নিকট গোপনে দূত পাঠাষ্টয়া হবিব এক ষড়যন্ত্র করিল। হুগলীতে নবাবপক্ষের শাসনকৰ্ত্ত মুহম্মদ রেজা মদ্যপান ও নাচগানে মগ্ন থাকিত । নিদিষ্ট রাত্রে মারাঠা সর্দার শেষ রাওএর বগীর হাঙ্গামা >&ፃ .-ബ്-- -- --ു. - 1. AAAAA S AAAAA AAAAAS SAAAAAA AAAA SAAAAAS AAAAA AAAA S AAA S AM AMMMAMAAAA অধীনে দু-হাজার অশ্বারোহী সঙ্গে লইয়া মীর হবিব হুগলী দুগের বাহিরে উপস্থিত হইল , আবুল হসন গিয়া মুহম্মদ রেজাকে সংবাদ দিল, “আপনার পুরাতন বন্ধু মীর হবিব দেখ। করিবার জন্য ইচ্ছুক ।” মদিরামত্ত কৰ্ম্মচারী বিনা-সন্দেহে দুৰ্গদ্বার খুলিবার হুকুম দিল, আর অমনি মীর হবিব ও মারাঠারা বেগে ঢুকিয় দুর্গ দখল এবং নবাবের কৰ্ম্মচারীদের বন্দা করিল । হুগলীতে মারাঠ শাসন আরম্ভ হইল । শেষ রাগুএর ন্যায়পরায়ণতা দয়া ও ভদ্র ব্যবহারে স্থানীয় লোকেরা, ঐ অঞ্চলের জমিদারগণ, এমন কি ইউরোপীয় বণিকগণ ৪ তাহার বাধ। হুইল । মীর হবিব কখনও হুগলীতে কথন ও ভাস্করের নিকট কাটোয়ায় গিয়! থাকিত, এবং মারাঠাদের পক্ষে বাংলার দেওয়ান হইয়। জমিদারদের ডাকিয়া খfজন। আদায়ের বন্দোবস্ত করিভ । সে কায্যতঃ এই দেশে অর্থাৎ পশ্চিম-বঙ্গে রাজপ্রতিনিধির মত চলিতে লাগিল। ঐ অঞ্চলে নবাবের আমল লোপ পাইল । মীর হবিব হুগলী অধিকারের ফলে সেখান হইতে কয়েকটি তোপ এবং একথান। যুদ্ধ জাহাজ ( স্থলুপ ) লষ্টয়। গিয়া কাটোয়ায় রাখিয়া মারাঠাদের যাহা একেবারেই হান্তে ছিল না এবং পাইবার আশা ও স্বপ্নাতীত, সেই দুই অস্থ এইরূপে জুটাইয়া দিয়া জাহাদের বলবুদ্ধি করিল। জুন জুলাই মাসে কলিকাত। হইতে কাপ্টেম গুলকোম্এর অধীনে ১৮০ জন সৈন্য মরিচায় পাঠাইয় দেওয়া হইল । তাহারা আড়ঙ্গ হইতে আগত মাল পথে রক্ষা করিল, পাটনা ও কাসিমবাজার হহঁতে প্রেরিজ দলের eার লইয়। তাহাদের বলবুদ্ধি করিল এবং মারাঠার তাহাদের ছাড়িয়া নদীর উজানের জেলাগুলিতে ধে যাইবে সে পথ বন্ধ করিল। আর, এই গোলযোগে নবাবচৌকীর কৰ্ম্মচারী ও সৈন্তগণ লোকের মালপত্র লুঠ করিবার যে চেষ্টায় ছিল তাহাতে বাধা দিল । বর্গীর। বাংলা ছাড়িলে পর, সেই রংসরের শেষে এই সৈন্যদল কলিকাড ফিরিয়া আসিল । ( 9 ) এদিকে আলীবঙ্গী দিবারাত্রি বর্গীদের দেশ হইতে তাড়াইবার, ভাবনায় আছেন। তিনি পাটনা ও পূর্ণিয়া