পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ98 MSTA AA MSS SS MMMAA MAM SASAASAAAS লজ্জা পাইয়া মন্ট বলে,-“বুড়োদাদা, আজ আর হবে না, ঘুম পাচ্ছে- কিন্তু ঘুম পাইলেই হইল । লাউয়ের খোলের ভিতর হইতে স্বর আদায় করা সোজা কৰ্ম্ম নয় । - অশ্বিনী শীল হরিপুরের সুবিখ্যাত সংকীৰ্ত্তনের দলে খোল বাজাষ্টয় থাকে । পুনশ্চ উল্ললিত হইয় সে বলিয়া উঠিল,—“আজক্ট বাড়ি গিয়ে পোলের দল ছিড়ে খড়মে লাগাব । মরি, মরি, কি কীৰ্ত্তনটাই গাঙ্গলে রে ! আমাদের গানের পরে অগঞ্জ ঘেন্না হয়ে গেল ।” রাম মিত্তির ক্ষীণ আপত্তি তুলিয়া বলিলেন,—“মন দিয়ে শুনেছ বাড়য্যে ? আশুরার দিকটায় তালে গোলমাল ক’রে গেল না ?” বলিয়াছিল বটে আমীর র্গ ওস্তাদ “বাড়ুর্ষ্যিবাবু কা কান ডালকুত্তাকা মাফিক ৷” গা সাহেব অনেক কায়দা করিয়াও বাড়য্যের কানকে ফাকি দিতে পারে নাই, কারচুপিটুকু ঠিক ধরিয়া ফেলিয়াছিলেন । দিল্লীওয়ালা আমীর খ অবধি ভূল করিতে পারে, কিন্তু এই অত্যাশ্চর্য্য কাঠের বাক্সের গানে একবিন্দু খুৎ ধরিবার জো নাই । রাম মিত্তির তালের কিছু বোঝেন না, তিনি ভুলের কথা বলিলেন । কিন্তু জানিয়া শুনিয়া বঁড়িয্যে কি ভুল ধরিবেন ? বিকালেও অার এক বাড়ি বায়ন—কামারপাড়ায় । মন্ট, শুনিতে গিয়াছে, বাড়য্যের মাথাটা কেমন টিপ, টিপ, করিতেছিল বলিয়। যাইতে পারেন নাই । আধঘুমের মধ্যে বাড়য্যের মনে হইল, কে যেন আসিয়া কপাল । টিপিয়া দিতেছে, আর ডাকিতেছে, “বাবা ?” মেজো ছেলে মাণিকের গলা না ? দশ বছরেরটি হইয়াছিল । গোলাঘাটার বড় ইস্কুলে পড়িতে যাইত । কিন্তু মাণিক নয়, মাণিক গিয়াছে ঘুড়ি উড়াইভে—নারাণী—নারাণী । নারাণী ডাকিতেছে “বাবা, বাঘ এয়েছে থোকাকে ধরলে যে—“ নারাণী মাথা খুড়িয়া মরিতেছে ; ঘরের মধ্যেই বাঘ ? সেতারের তাল কাটিয়া গেল। মারো সেতারের বাড়ি বাঘের মাথায়—মারো–মারে । মণ্ট কে ছাড়িয়া বাঘ সেতার কামড়াইয়া ধরিল, তার ছিড়িল, চিবাইয়া চিবাইয়া আগাগোড়া একেবারে তছনছ । তা যাক, মন্ট, কই r—মণ্ট —মন্ট, । বড়িয্যে বিছানায় উঠিয়া বসিয়া ডাকিলেন—মণ্ট ! মন্ট গান শুনিয়া ফিরিয়াছে। তাহার আনন্দ ধরিতেছিল না । বলিল, “বুড়োদাদা, তুমি শুনলে না—আমরা শুনে এলাম দুই টাকার গান । এবেলা আরও খাসা খাসা । তুমি অমনি ভাল করে গাও না কেন দাদা ?” বাড়য্যে কহিলেন–“ভাল গাইনে ?” প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ আরও বিপুল উদ্যমে চলে। ভারী ভাল কাটে, ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড মন্ট, ঘাড় নাড়িয়া বলিল,—“না। তুমি গাও ছাই—বুধোকাকার বলছে।” বাড়ুযে একটুখানি চুপ করিয়া রহিলেন। তারপর –যেন কত বড় রসিকতার কথা—প্রবলবেগে হাসিতে হাসিতে বলিলেন,—“জনিসনে, ও মন্ট, জানিসনে—ও যে কোম্পানীবাহাদুরের কল, ওর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমি পারি ? গোট জেলাটা ওদের রাজ্যি, আর আমি বন্ধোত্তরের গাজানা পাই মোটে একান্ন টাকা সাত আন – ” বলিতে বলিতে সেতারটা পাড়িয়া লইলেন । মন্ট, বলিল, “সেতারে কত ঝঞ্চাট, কলের গান আপনা-আপনি বাজে – আমাকে একটা কলের গান এনে দিতে হবে ।” বাড়ুযে বলিলেন—“দব, আর সেই সঙ্গে কলের হাত পা নাক চোখগুয়াল একট। নাতবে, কি বলিস ?” বলিতে বলিতে গলাটা যেন বুজিয়া আসিল, তবু বলিতে লাগিলেন– “ভস্তাদের কত গালাগাল খেয়েছি, সরস্বতী ঠাকুরুণকে কত চিনির নৈবিদ্যি খাইয়েছি। এখন আর কোনো ঝঙ্কাট নেই! তোরা যখন বড় হবি মণ্ট, ততদিনে সৰ্বস্বতী, দুর্গা, কালী, শালগ্রামটা পধ্যস্ত কলের হয়ে যাবে। খুব কলের পূজো করিস্–” সন্ধ্য। গড়াইয়া যায় । আজ বাড়,য্যেবাড়ি কেহ আসে নাই । মণ্ট ও নাই । কেবল রাম মিত্তিরের খড়মের ঠক্ঠকি সিড়িতে শোনা গেল । "কি বাড় যে, এক এক খুব লাগিয়েছ যে—ম্বরটা পূরবী বুঝি—” বাড়ধ্যে তদগত হইয়া সেতার বাজাইতেছিলেন। বলিলেন—“দোসর কোথায় পাই, ভাই ? চাদ তুলে ঠাকুরবাড়িতে আবার কলের গান দিচ্ছে—মন্ট, গেছে সেখানে । একাএকাই বাজাচ্ছি—কেমন লাগছে वल उ ?” রাম মিত্তির বলিলেন,—“এখন রেখে দাও, এ-সব ত রোজ শুনব । চল—ঠাকুরবাড়ি যাওয়া যাকৃ—” বাড়ুযোকে লইয়। রাম মিত্তির ঠাকুরবাড়ির আসরে বসিলেন । হরসিতের কলে ইতিমধ্যে দুখানি গান সারা হইয়া একৃটো স্বরু হইয়াছে— “কি করিলি অবোধ বালিকা ? স্বধা ভ্ৰমে হলাহল করিলি যে পান—* চেহারা ত দেখা যায় না, তবে ই—গলা শুনিয়া একথা স্বচ্ছন্দে বলা চলে যে বক্তা ভীম, রাবণ বা অন্ততঃ পক্ষে তন্ত পুত্র মেঘনাদ না হইয়া যায় না। বাড়ুৰ্য্যে