পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা 1 সাম্প্রদায়িক সমস্যা সম্বন্ধে সর্দার পটেল লাহোর কংগ্রেসে সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে একতা সম্বন্ধে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাহা পাঠ করিয়া নিম্নলিখিত শেষ অংশের পর, this Congress assures the , Sikhs, Muslims and other minorities that no solution, thereof in any future constitution can be acceptable to the Congress that does not give full satisfaction to the parties concerned.” পটেল মহাশয় বলেন, “Therefore the Congress can be no party to ilny constitution which does not contain a solution of the communal question, that is not designed to satisfy the respective parties. As a Ilindu, I would adopt my predecessor's formula and present, the mino: ritics with a swadeshi fountain pen and paper and let them write out , their demands. . And I should endorse then... I know that it is the quickest method. But it requires tourage on the part of the Hindus. What we want is a hourt unity. not matched up paper, unity that... will break under the slightest strain. That unity can only come when the majority takes courage in both hands and is prepared to change places with the minoritys. This would be the highest wisdom. হৃদয়ের ঐক্য প্রভৃতি সম্বন্ধে পটেল মহাশয় যাহা বলিয়াছেন তাহা খুবই সত্য। কিন্তু তিনি সাম্প্রদায়িক সমস্তার সমাধান সম্বন্ধে যাহ। বলিয়াছেন তাহা আমাদের ঠিক মনে হইতেছে না। ভারতবর্ষে সংখ্যালধিষ্ঠ সম্প্রদায় ত কেবল একটি নয়, অনেকগুলি । মুসলমানের অপেক্ষাকৃত অধিক দলবদ্ধ ও শক্তিশালী এবং আন্দোলনপটু বলিয়া কুাৰ্য্যতঃ কেবল তাহাদিগকেই সংখ্যালঘিষ্ঠ মনে করা হইতেছে । ইহ। ঠিকৃ নয়। অন্যান্য সংখ্যালঘিষ্ঠ দলঙ আছে । সকলকেই যদি পটেল মহাশয় নিজ নিজ দাবি লিখিতে দেন এবং তাহা মঞ্জুর করেন, তাহা হইলে কাৰ্য্যতঃ পরস্পরবিরোধী দাবি মঞ্জর করিতে হুইবে । ভাঙ্গ সম্ভবপর নহে । পঞ্জাবের দৃষ্টান্ত লউন । পঞ্চাবের অধিবাসীসমষ্টির মোটামুটি শতকরা ১১ জন শিখ, ৫৫ জন মুসলমান, ৩৩ জন হিন্দু, ইত্যাদি। ঐ প্রদেশে মুসলমানের ব্যবস্থাপক সভায় শতকরা ৫৪l৫৫টি সভ্যপদই চান, শিখেরা চান শতকরা ৩০টি । বাকী থাকে শতকরা ১৫।১৬টি । তাহা হইতে ইংরেজ, ফিরিঙ্গী, দেশী খ্ৰীষ্টিয়ান প্রভূতিকে কয়েকটি পদ দিতে হইবে। উহাদিগকে যদি শতকরা ১টি করিয়াও দিতে হয়, তাহ इहे८णe ७18छि बाहिब्र श्झेंबा शञ्च । डांश इहेरण বাকী থাকে শতকরা ১২টি সভ্যপদ। স্বতরাং পঞ্জাবের লোকসমষ্টির এক তৃতীয়াংশ ( শতকরা ৩৩ জন) হিন্দুর ব্যবস্থাপক সভায় মোট ১২টি সভ্যপদ পাইবে । এইরূপ মীমাংসার ভাষাত অষ্টাধ্যতার কথা তুলিব না। দেশের বিবিধ প্রসঙ্গ—সাম্প্রদায়িক সমস্যা সম্বন্ধে সর্দার পটেল >念> পক্ষে ইহা মঙ্গলকর কিনা, তাহাই বিবেচনা করিতে হুইবে । আমেরিকার স্ববিখ্যাত দেশপতি স্বগীয় আব্রাহাম from *fruition, “No nation is good cnough to rule another nation,” “CFA CAM-I GTI CFlz নেশুনকে শাসন করিবার মত যথেষ্ট যোগ্যতা বা সাধুত বিশিষ্ট নহে ।” ইহার অগুরূপ অন্য একটি কথা ও সভ্য বলিয়া মনে করি । তাছা, “কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়েরই অন্স কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়কে শাসন করিবার মত যোগ্যতা ও সাধুতা নাই।” এই কারণে আমরা সমগ্ৰ ভারতবর্ষে বা কোন প্রদেশে আইনের দ্বারা কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকদের নিরঙ্কুশ প্রাধান্ত চিরস্থায়ী করিয়া দিতে সম্পূর্ণ অনিচ্ছুক । ইহা সত্য, সমুদয় ভারতবর্ষ ধরিলে হিন্দুরা সংখ্যাভূয়িষ্ট, এবং আইন দ্বারা তাহাদিগকে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিকাংশ সভ্যপদ দিয়! না দিলেও তাহারা সাধারণ নির্বাচনে ৪ অনেক সময় অধিকাংশ সভ্যপদ পাইবে । কিন্তু সব সময় তাহারা নিশ্চয়ই অধিকাংশ সভ্যপদ পাইবে. বলা যায় না । তা ছাড়া, হিন্দুদের মধ্যে রাজনৈতিক ভিন্ন ভিন্ন দল থাকায় তাঙ্গার হিন্দু হিসাবে বরাবর একসঙ্গে ভোট দিবে না, রাজনৈতিক দল হিসাবে ভোট দিবে । এষ্ট কারণে, যখন যখন অধিকাংশ সভ্য হিন্দু থাকিবে, তখনও “হিন্দুরাজ” হইবে না । ইহাও মনে রাখিতে হুইবে, যে, ধোগ্যত। অকুসারে মুসলমান, গীষ্টিয়ান, পাপী প্রভুতি সম্প্রদায়ের এত সভ্য নির্বাচিত হইবেন, যে, রাজনৈতিক কোন-নাকোন দল যখনই প্রাধান্ত পাইবেন, তখনই তাহার মধ্যে নানা ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের সভোরা থাকিবেন । সুতরাং কোন রাজনৈতিক দলের প্রাধান্তকে কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের প্রাধান্য কোন সময়েই বলা চলিবে না। মনে রাখতে হইবে, যে, আমরা সংযুক্ত সাধারণ নিৰ্ব্বাচনের পক্ষপার্তা । হিন্দুকে মুসলমান খ্ৰীষ্টিয়ান প্রভূতিরও ভোট পাইয়। কৌন্সিলে যাইতে হুইবে এবং মুসলমানকেও তদ্রুপ অমুসলমানদেরও ভোট পাইয়া নিৰ্ব্বাচিত হইতে হুইবে । এই জন্য কেবলমাত্র হিন্দু সমাজের একাস্থ পক্ষপাতী হিন্দুর এবং কেবলমাত্র মুসলমান সমাজের একান্ত পক্ষপাতী মুসলমানের ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হওয়া কঠিন হইবে । আমরা নানা ধৰ্ম্মের এরূপ সভ্যই চাই, যাহার দেশের সকল ধৰ্ম্মের লোকেরই মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী ; কারণ সকলেরই মঙ্গলামঙ্গল পরস্পরের সস্থিত জড়িত। পটেল মহাশয় হিন্দুদিগকে সাহস করিয়া সংখ্যালঘিষ্ঠদিগের সহিত স্থানবিনিময় পূর্বক তাছাদের