পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] उब्रष, चवाथ भश्न शङि, याएक भारब ७को बिनरिड নিঃশ্বাসের শব্দ স্তব্ধতাকে আরও নিবিড় করিয়া তুলিতেছে । পরদিন প্রভাতে স্বচ্ছ স্বমার্জিত আকাশ হাসিতেছে। মুৎস্বরে দ্বীপপুঞ্জের পাশ দিয়া জাহাজের পর জাহাজ হু ছ করিয়া চলিয়াছে, বহুদূরে ৎসুশিমার পাহাড় দেখা দিয়াছে, এমন সময় হঠাৎ একটা বাজপাধী জাহাজের ডেকের উপর আসিয়া নামিল । এ পার্থীর আবির্ভাব শুভ লক্ষণ, তাই সকলে খুশীমনে তার পিছু পিছু ছুটাছুটি স্বরু করিয়া দিল । মাস্কলের উপরে বসিয়া, কখনও আবার জাহাজের উপরে উড়িয়া ফিরিয়া পার্থীটা কিছুকাল আমাদের সঙ্গ ধরিয়া রহিল । তারপর, আশীৰ্ব্বাদ বিতরণ সাঙ্গ হইলে সে পিছনের জাহাজের সৈন্যদলকে উৎসাহ দিবার জঙ্ক উড়িয়া গেল । দিন কয় ঘাইতে-না-ঘাইতেই মনে হইতে লাগিল, সময় যেন আর কাটে না। দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার একঘেয়েমির তাড়নায় ষার যেটুকু পুজিপাট ছিল সমস্তই ক্রমে ক্রমে প্রকাশ করিতে হুইল । কেহ বলিতে বসিল বিগত জীবনের অভিজ্ঞতা, কেহ শুনাইতে লাগিল ভূতুড়ে কাহিনী বা হাসির গল্প, আবার আবৃত্তি বা চলতি প্রেমের গানে কেহ বা মাসর জমাইয়া দিল । সভ্যদের রুচি ও প্রবৃত্তি অনুসারে অনেকগুলি ছোট ছোট বৈঠক গড়িয়া উঠিল । মাঝে মাঝে কোন তুখোড় লোক লদ্ধবন্ধ ধুপধাপ করিয়া পালোয়ানী নাচ দেখাইতে প্রবৃত্ত হয়, কেহ বা সৈনিকের পোটলাটিকে বই রাখার ডেক্সে পরিণত করিয়া হাতে পাখা নাড়িতে নাড়িতে পেশাদার কখকের অন্থকরণ করে। জাহাজের মধ্যেকার সংকীর্ণ আকাশ ও পুরিমিত পৃথিবী আনন্দকলরবে মুখর হইয়৷ ওঠে—অভিনেতাদের মুখে গর্বের ভাব দেখা দেয়। সংক্রামক উৎসাহের ফলে সেই আলুর গাদার মত মাছুষের পাল থেকে ক্ষণে ক্ষণে রকমারি খেলা দেখাইবার কত লোক যে বার হয় তার আর ইয়ত্তা নাই । @ সকলে যুদ্ধে চলিয়াছে—সে-যুদ্ধ থেকে কেহ ফিরিবার আশা রাখেন। তাই ৰোধ করি সৈনিকে ও নায়কে পোর্ট-আর্থারের ক্ষুধা SDGE এত মাখামাখি, এমন ভাৰ—সকলে যেন আত্মীয়—একই বৃহৎ পরিবারের অন্তভূক্ত। তাই সকলেরই চেষ্টা সকলকে খুণী করার। তাই তারা নিজ নিজ दिभTाबूकि अश्धांबौ ८थलl cनथाझेब्र, अश्छिनञ्च कब्रिब्रां সময়ের ভার কমাইতে চায়—তাই তাদের প্রাণখোলা খুশীর হাসিতে বাতাস কাপিতে থাকে- হাসির চোটে সকলের পেটে খিল ধরিয়া যায় । _ পিছনে ফুয়াসার আড়ালে ৎসুশিমাকে ফেলিয়া সাগরপথে উত্তরে চলিয়াছি—কোরিয়ার পর্বতপুঞ্জ ও গিরিশৃঙ্গ এখনও দেখা যাইতেছে। দিনের পর দিন তেমনি ফুৰ্ত্তি—মাঝে মাঝে আনাড়ি হাতে পিয়ানোর বাদ্য, ডেকের উপর বাজথাই স্বরে রণসঙ্গীত। খেলাধূলা কুস্তিতে বিতৃষ্ণা ধরিলে যুদ্ধচালনা-প্রণালী আলোচনা করিতে বসি ৷ ইচ্ছা হয় রণক্ষেত্রের যবনিকা এই দণ্ডে উঠিয়া যাক, লড়াইয়ের বহর দেখাইয়া শক্ৰৰে তাক লাগাইয়া দিই—সমগ্র জগৎ সমস্বরে বলিতে থাকুক— সাবাস ! সাবাস ! বেশ মনে পড়ে ২৩ মে তারিখে কাপ্তেন আমাদের হস্তাক্ষর চাহিলেন—যুদ্ধযাত্রার স্মৃতিচিহ্ন। একখানি কাগজের মাথার দিকে আমাদের চলন্ত জাহাজ “কাণ্ডোশিমামারু"র ছবি আঁকিলাম । তার তলদেশে কনেল আওকি ও অপর নায়কেরা সহুি করিলেন । সবশুদ্ধ সাল্পত্রিশটি নাম — এখন তাদের মধ্যে ক’জনই বা বাচিয়া আছে ! চব্বিশ তারিখ সকালে এলিয়ট দ্বীপপুঞ্জের পাশ দিয়া যাইবার সময় দেখিতে পাইলাম অনেকগুলি ধূমধার আকাশ ও জলের সমান্তরালে ভাসিতেছে—জাপানের সম্মিলিত রণপোতবাহিনী আগুসার হুইয়া অভ্যর্থনা করিতে আসিয়াছে ! মুক্ত সাগরের বুকে তাদের এই অপ্রত্যাশিত আবির্ভাবে সকলের অন্তরে সে যে কি উদ্দীপনার সঞ্চার হইল, বলা যায় না ! দেখিতে দেখিতে একখানি কুজার কাছে জার্সিয়া আমাদের সঙ্গ ধরিল, বোধ করি কোনো আদেশপত্নী জানিয়াছে। 畿 অবতরণের আর দেরি নাই—যুদ্ধক্ষেত্র সন্ত্রিকট ।