পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՓՀԵ তাহার কতকগুলি ভাস্করকার্ধ্যের আবরণ উন্মোচন করা হয়। মিঃ গ্র্যাপ ( Mr. Grappe ) এই সময় তথায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই মূর্তিগুলিকে কেরে বড়ো হাওয়া যাদুঘরের প্রাচীন মূৰ্ত্তির সহিত তুলনা করিয়া বিস্তুর প্রশংসা করিয়াছেন । ভাস্করকার্ষ্যে মুথ তার যাহা করিতেছেন, হেদায়ং, নঘী, মহমূদ সাঈদ ও অপরাপর মিশরীয় চিত্রকরেরা রং ও তুলির সাহায্যে তাহা চিত্রে প্রকাশ করিতেছেন। ইহাদের সকলের কার্য্যে একই প্রেরণা ও সৃষ্টির ধারা ক্রিয়া করিতেছে । মিশরের নিজস্ব সত্তার প্রকাশ ও নীলনদের কাব্যসৌন্দৰ্য্য প্রকাশ করাই উহাদের সকলের উদ্দেশ্য। হেদায়েং স্বীয় গ্রাম্য নদীতীরের সান্ধ্য দৃশ্যগুলি অঙ্কিত করিতে গিয়া যেরূপ প্রতিভার পরিচয় দিতেছেন, তাহ আর কেহ দেখাইতে পারে নাই । এই দৃশুগুলির মধ্যে প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড কুহেলিকাবৃত প্রাকৃতিক দৃশ্বের ভাবশ্বটিই তাহার বৈশিষ্ট্য । এ বিষয়ে তাহার সমকক্ষ দক্ষ শিল্পী মিশরে আর নাই । মাত্র কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে তরুণ চিত্রশিল্পী মহ মুদ্র সাঈদের ক্লাসিক" অর্থাৎ ইউরোপীয় সৰ্ব্বজনগৃহীত শিল্পরীতি হইতে আধুনিক রীতিতে প্রত্যাবৰ্ত্তন একটি বিস্ময়কর ব্যাপার বটে। তিনি শৈশবে মিশরেই ইটালীয় শিক্ষকের নিকট চিত্রাঙ্কন-বিদ্যা শিক্ষা করেন। শিক্ষাকালে তাহার নিজস্ব কোন বিশিষ্ট শিল্পরীতি প্রকাশ পায় নাই। তখন আধুনিক মিশরীয় চিত্রকরদের চিত্র হইতে র্তাহার চিত্র এক স্বতন্ত্র বস্তু ছিল । তিনি প্রাচীন চিরাচরিত প্রথা অবলম্বন করিয়াই চিত্রাঙ্কন করিয়া যাইডেছিলেন । এই সময়ে, ঘটনাক্রমে তিনি রুশীয় আধুনিকতাপষ্ঠী শিল্পীদের সংস্রবে আসেন । ইহার পর হইতে তিনি সম্পূর্ণই আধুনিকতা-পন্থী হইয়া পড়িয়াছেন । তাহার এই আধুনিকতা অবলম্বনে ব্যক্তিগত বৈশিষ্টাও নষ্ট হয় নাই । মহমুদ সাঈদেব মত নধী সম্পূর্ণরূপে প্রাচীন প্রভাব ছাড়াইয়া উঠিতে না পারিলেও, একটি নিজস্ব শিল্পরীতি পাড়া করিয়াছেন । ইতিমধ্যে তিনি অনেকগুলি বিখ্যাত ছবি অঙ্কন করিয়াছেন । তন্মধ্যে বিরাট প্যানেলের (panel) sists afg's The Triumph of Egypt বা ‘মিসর জয়ন্ত্রী’ নামক ছবিখানিই প্রধান । ইহা সম্প্রতি মিশর গভর্ণমেণ্ট ক্রয় করিয়া কোন রাজপ্রাসাদের বৈঠকখানার শোভাবদ্ধন করিয়াছেন । এই ছবিখানিতে রাজ ও ঘুর্ণ দিয়া কোন মিশরীয় রাণীর বিজয়োৎসবের শোভাবfত্রা চিত্রিত হইয়াছে ;-কলাবিং, ভাস্কর, শিল্পী, ফলের চাষী, শ্রমিক প্রভৃতি সমাজের সকল স্তরের লোক এই শোভাধায়ায় যোগদান করিয়াছে। ইহার প্রতি ছবিটি নিখুত ও স্বম্পষ্টরূপে অঙ্কিত করা হইয়াছে । নর্থীর আর একটা ছবিতে খজুরকুঞ্জ চিত্রিত করা হইয়াছে । খর্জুরকুঞ্জকে সম্মুখে রাখিয়া তাহার তলদেশে দাড়াইগে যে হ্রস্ব বা দীর্ঘ ভাব দেখা যায়, তদনুসারে পারিপাশ্বিক স্থির করিয়া তাহাকে এমন অসাধারণ শিল্পচাতুয্যসহকারে অঙ্কিত করা হইয়াছে যে, মনে হয় যেন আমরা প্রকৃতই খর্জুরবৃক্ষতলে দণ্ডায়মান