পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Со [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড হচ্ছে, সেখানে গেছে, চারুটা স্থদ্ধ জেদ ধরলে যাবার জন্তে, কিছুতেই ছাড়লে না ।” তরু বলিল, “চারুও গেছে ? মেয়েদের সভা না-কি, शा ?” তাহার মা বলিলেন, “হ্যা, তুই জানিস না, আজ যে শ্রদ্ধানন্দ পার্কে মেয়েদের সভা, বিলিতি কাপড় Lপাড়াবার ” ংক মুখ আঁধার করিয়া বলিল, “আমার কি না কিছু জানবার উপায় আছে, যে-ঘরে আমাকে দিয়েছ।” তাহার মা চুপ করিয়া রহিলেন। রমাপতির সাহেবভক্তিটা এ বাড়ির কাহারও পছন্দ ছিল না, তবে পাছে তরু দুঃখিত হয়, এই ভয়ে তাহার সামনে কেহ কিছু বলিত না । এমন সময় বিজু হঠাৎ আসিয়া হাজির হইল। তাহার মা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি রে ফিরে এলি যে ?” 最 বিছু বলিল, “কতকগুলো বিলিতি কাপড় জমা ক’রে রেখেছিলাম, বনফায়ার করবার জন্তে, ভুলে সেগুলো ফেলে গিয়েছি, তাই নিজে এলাম । দিদি দেবে না-কি কিছু জামাই বাবুর কাপড় ?” তরু তাহার উপহাসে যোগ না দিয়া বলিল, “জামাইবাবুর না দিই, নিজের গুলো দিচ্চি। মা তোমার একটা শাড়ী আর জামা আমায় দাও ত ।” মা বলিলেন, “ঘরে আনলায় আছে, নিগে যা। কিন্তু দেখিস বাছা, জামাষ্টকে যেন চটাস নে ৷” তরু উঠিয়া বলিল, “তোমার জামাইকে খুশী করলেই আমার সপ্তম স্বৰ্গ লাভ হবে জার কি ? বিহু, তুই একটু দাড়া,” বলিয়া সে দ্রুতপদে মায়ের ঘরে চলিয়া গেল । আল্লক্ষণ পরেই মায়ের খন্দরের শাড়ী জামা পরিয়া সে বাহির হইয়া আসিল । বিমুকে বলিল, “এই যে কাপড়। চল, আমিও তোর সঙ্গে মিটিঙে যাব।” বিহু বলিল, “এই ত চাই । চলা আও, না জাগিলে যত ভারত-ললনা, এ , ভারত আর জাগে না, জাগে না ।” * তরুর মা শঙ্কাকুলনেত্ৰে তাকাইয়া রহিলেন, তাহার ছেলেমেয়ে গট গট করিয়া বাহির হইয়া গেল। রমাপতি বন্ধুদের আড্ডা হইতে যখন ফিরিল, তখন সন্ধ্যা হইয়া আসিতেছে। ঘরে ঢুকিয়াই, চৌকাটে হোচট খাইয়া চীৎকার করিয়া উঠিল, “সবাই কি মরেছে না-কি ? ঘরে একটা আলো-স্বদ্ধ এখনও জলেনি?” ” তাহার মা পাশের ঘর হইতে বলিলেন, “তা বাছা, আমি বুড়ো মানুষ, কত আর করব ? তোমার বিবিবউ বাপের বাড়ি বেড়াতে গেছেন, এখন অবধি তার দর্শন নেই। শিগগীর আসতে বলেছিলাম ব’লে বজাতি ক’রে দেরি করছে। তা আলো জালবে কে ?” রমাপতি আবার সিড়ি দিয়া নামিয়া চলিল। না:, ভালমাল্লষের যুগ এ নয়। তরুকে এইবার ভাল-মতে শিক্ষা দিতে হুইবে, না হইলে তাহাকে লক্টয়া ঘর করা অসম্ভব হইয় দাড়াইবে । শ্বশুর-বাড়িতে ঢুকিয় সে একেবারে অবাক হইয়া গেল। কোথাও জনমতুষ্যের চিহ্নমাত্র নাই । তবে তরু গেল কোথায় ? হাকডাক করায় একটা চাকর বাহির হইয়া আসিল। রমাপতি চড়াগলায় জিজ্ঞাসা করিল, “বাড়িম্বদ্ধ সব গেলেন কোথায় ?” - চাকর বলিল, “শ্রদ্ধানন্দ পার্কে সভ করতে গেছে বাবু, বিলিতি কাপড় পোড়ান হবে।” রমাপতির দুই চোখ কপালে উঠিয়া গেল । সে ইপিাইতে হাপাইতে বলিল, “বলিস কি রে ? সবাই ? তোদের বড় দিদিমণিও ?” চাকর হাসিয়া বলিল, “সবাই গেছে বাবু। বড়দিদিমণি জোর ক’রে গেলেন বলেই ত মাও গাড়ী করে শেষে গেলেন, তাকে ফিরিয়ে আনবার জন্যে ।” মনে মনে শ্বশুর-গোষ্ঠীর মুগুপাত করিতে করিতে রমাপতি রাস্তায় ছুটিয়া বাহির হইয়া আসিল । , একটা গাড়ী ভাকিয় তাহাতে চড়িয়া বসিল, বলিল, “জলদি হাকাও, শুদ্ধানন্দ পার্ক।” গাড়োয়ান বলিল, “সেদিত্ত্বেঃ ত বড়ো মারপিট হোচ্ছে বামু, সেদিগে যাবেন " "