পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য ] --مے-میہ-محےہ হইল যেন কোন জনির্দেশ স্থানে বলিয়া তাহার অনেক দিনের হারানো মা তাকাইয়া দেখিতেছেন এবং বড় খুশী হইয়াছেন যে স্বধীর রাজা হুইয়াছে, আর সে— তাহার সেই জন্মভূঃখিনী মেয়ে, এতকালের পর হইয়াছে রাজার পাটরাণী ! আয়না ও চুলের দড়ি পাড়িল, তারপর ভাৰিল—দূর হোকৃ ન, চুল বাধব না আর আজ, বেলা একেবারে গেছে । রান্নাঘরে আসিয়া উনান ধরাইতে গিয়া ভাবিল—এত সকাল সকাল কিসের রান্না ! ছেলেমানুষের মত খিল খিল করিয়া হালিতে ইচ্ছা করে, তাহার ষেন কি হইয়াছে, তাহাকে ঠিক ভূতে ধরিয়াছে। পটুলী পাড়া বেড়াইয়া আসিয়া খুকীকে কিরণের কোলে ঝপ, করিয়া ফেলিয়া দিল। তখনই ছুটিয়া বাহির হইয়া যায়। কিরণ ডাকিল—ও পটুলী, যাচ্ছিস কোথা ? শোন—স্বশীলাদের বাড়ি গেছলি ? তার বর নাকি এসেছে—কলকেতায় বাসা করেছে, তাকে নিয়ে যাবে, সত্যি ? পট্‌লী দৃকপাত না করিয়া কোমরে অ’াচল জুড়াইয়া উঠানে কুমীর-কুমীর খেলিতে গেল । উঠানে যেন ডাকাত পড়িয়াছে, পাড়ার ছেলেমেয়েদের কোলাহলে কান পাতা যায় না, পটলী হইয়াছে কুমীর আর উত্তর ও পূব ঘরের দাওয়া হইয়াছে ডাঙা । সেই ডাঙার উপর হইতে উঠানরূপ নদীতে সকলে ষেই নাহিতে নামে, পটল দৌড়াইয় তাহাদের ধরিতে যায়। রান্নাঘর হঠতে মেয়ে কোলে কিরণ দাড়াই দাড়াইয়৷ দেখিতে লাগিল। খুকীর মোটে চারিট দাত উঠিয়াছে, কিরণ খুকীর গালের মধ্যে একবার একটা আঙুল দিয়াছে আর আমনি সে কামড়াইয়া ধরিল । ওরে রাকুলী ছাড়-ছাড়—মরে গেলাম, ভারী যে দাতের দেমাক হয়েছে তোমার । কিরণ হাত ছাড়াইয়া লইল । খুকী হাসিতে লাগিল । কিরণ খুকীর দিকে তাকাইয়া মুখ নাড়াইয়া নাড়াইয়া বলে—অত হেসে না, খুৰী, অত হেলো না, সব মানিক পড়ে গেল, সব মুক্তো ঝরে গেল। মেয়ে মোটে এইটুকু, বুদ্ধি কত—সব বোঝে, চৌকাঠ খরিয়া উঠিয় দাড়ায়, আবার হাত তালি দিয়া বলে—তা-তা-তা— কিরণ বলিল,--ই করে من صحديج بين द्वांछ। - - ----=.= د :”ی. -- -= = ఆ8') হাবলার মত দেখছো কি ? ড্যাৰভেবে চোখ মেলে এক নজরে কি দেখছ আমার মানিক ? খেলা দেখছ, তুমিও দেখো, বড় হও আগে । ঠাগু হয়ে বাবু হয়ে বোসো তো—এই ষে দোলে—দোলে – দোলন দোলন দুলুনী রাঙা মাথার চিরুণী বর আসবে যখনি e 季 নিয়ে যাবে তখনি— খুকী ভালে তালে কেমন দোলে ! কিরণ মেয়েকে মুখের উপর তুলিয়া কচি কচি নরম হাত বুক গাল চাপিয়া ধরিতে লাগিল । খুকীর খুব আনন্দ হইয়াছে, মাথা নাড়ায় আর টানিয়া টানিয়া বলে—ব-আ-আ—বা —ৰ । মেয়ে বাবাকে দেখে নাই, স্বধীর বাড়ি হইতে যাইবার সময় কেবল মধুর সম্ভাবনার কথাটি জানিয়া গিয়াছিল। কিরণ ফিস্-ফিস করিয়া বলিল—খুকী, দেখিস্—দেখিস, কালকে বাবা আসবে—তোর খোকা বাবা-মার যেমন কাও, অত বড় ছেলে এখনও থোকা–হিহি । ছেলেমানুষের মত হাসিতে লাগিল । ভারপর চারিদিকে তাকাইয়া দেখিল, কেহ কোনখান হইতে -শুনিতে পায় নাই ত ? এমন সোনার চাদ তাহার কোলে আসিয়াছে—স্বধীর তা জানে না, চোখে দেখে নাই, স্বধীরের জন্ত মনে করুণা হইল। আবার রাগ হুইল—এক্ট ত চিঠিপত্রে খবর পাইয়াছে, একবার কি এতদিনের মধ্যে মেয়েকে দেখিতেও ইচ্ছা করে না ? সেইদিন গভীর রাত্রে কিরণ বিছানায় শুইয়া আছে, ঘুম আর আসে না। মাথা গরম হইয়া উঠিয়াছে, দু-তিনবার উঠিয়া মাটির কলসী হইতে জল বাড়াইয়া মুখে চোখে দিল । এইবার ঠিক ঘুম আসিবে, চোখ বুজিয়া শুইল । বেড়ার ফাকে জ্যোৎস্না জালিয়া অনেকদিন আগেকার স্নেহস্পর্শের মত সৰ্ব্বাঙ্গ জড়াইয়া थब्रिज । छ्हें* यश्ब्र कभ गभग्न नञ्च । शशौब्रदक थांभशक সকলে অকৰ্ম্মণ্য ঠাওরাইয়াছিল, সেই সঙ্গে কিরণেরও দোষ পড়িয়াছিল । নাকি বরকে আচল-ছাড়া श्हेप्ड किङ्क वणिरज्रन ना, किस्त्र - !