পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] AAAAAASAAAA S AAAMMeAAA AAAA SAAAAAS S করিয়া তোপ দাগিতে স্বরু করিল। বড় কামানের গোলাগুলো, জাকারে সাধারণ জলের কুঁজার মত, বাতাস কাপাইয়া ইঞ্জিনের মত হুসছস করিয়া ছুটিয়া আসিতে লাগিল। বিকট শব্দে ফাটার সময়, সাদা ধোয়া যেখানে উঠিতেছে সেখানে একটা অদ্ভূত জালে ঝকমক করিতেছে, আর যেখানে অন্ধকার মেঘ ঝুকিয়া আছে সেখানে পাহাড় চূর্ণ হইতেছে। পৃথিবীর মেরুদণ্ড যেন নড়বড়ে হইয়া উঠিল, মৃত সৈনিকের দেহগুলো টুকর টুকরা হইয়া গেল । আমাদের অবস্থা নিরাপদ ত নহেই, বরং বিশেষ সঙ্কটাপন্ন। জায়গাটা যারা দখল করিয়াছে আমাদের সেই সৈন্যদলের স্বস্থানে টিকিয়া থাকা দায় । শক্ৰ যদি আবার ফিরে-ফিরতি আক্রমণ করে,—এবং তা সে করিবেই,— তাহা হইলে এই বিপদসঙ্কল গিরিশীর্ষে তাহাকে ঠেকান বাইবে কি উপায়ে ? ঢালুর ওপারে শত্রুর ঘাটি দেপিবার জন্য একটু গলা বাড়াইলেই তাদের গুলি চলিতে থাকে—এক প। নড়িবার জো নাই । পাহাড়ের মাথায় শরুর ছয়টা কামান আমাদের হাতে পড়িয়াছিল, একজন সৈনিক সেগুলোর পাহারায় মোতায়েন ছিল, একটা গোটা গোল আসিয়া বেচারাকে আঘাত করিয়া একেবারে ছাতু বানাষ্টয়া দিল । তার এক টুকরা মাংস আমাদের মাথার উপর দিয়া উড়িয়া গিয়া আমাদের পিছনে এক পাথরের উপর জাটিয়া বসিল—সেইটুকুই ভার ধ্বংসাবশেষ । আর একটা গোল একদল সৈনিকের মাঝে পড়ায় এক মিনিটে ছাব্বিশ জন Lলাক উবিয়া গেল ; আর সেই গোলার ঘায়ে চূর্ণ পাথরের তলায় তিন জন সৈনিকের জীবস্তু সমাধি লাভ হইল । সেইদিন লেফটেন্যান্ট কুনিওর পেটে গুলি বিঁধিল । সন্ধ্যার দিকে অবস্থা খুব খারাপ হইয়া উঠিল, তার তৃত্য ও অল্প কয়েকজন তার সেবায় নিরত, এমন সময় তার দাদা কাপ্তেন সেগাওয়া আসিয়া উপস্থিত। ভাই যে আহত, তার যে মৃত্যু আসন্ন—সে কিছুই জানে না । , তাহাকে দেখিয়া সকলে বলিল, তোমার ভাই যে যেতে fএসেছে। যাও, যাও, তার মুখে শেষবারকার মত একটু জল দিয়ে এস্ ! কাপ্তেন তাড়াতাড়ি ভাইয়ের কাছে গিয়া ইাকিল, কুলিও ! কুনিওর তখন অস্তিম দশা—সে চোখ ج صه8 ه و পোর্ট-আর্বারের ক্ষুধা Ե-ծՏ)

  • ******ы

বুজিয়া পড়িয়া ছিল, কিন্তু দাদার ডাক তার কানে পৌছিল ; মনে হইল, সে যেন সেই ডাকটি শুনিবার আশায় এভক্ষণ মরিতে পারে নাই ! ঘোলাটে দৃষ্টি মেলিয়া সে দাদার মুখের পানে চাহিল, হাত বাড়াইয়। তার হাত খানা ধরিল, কিছুক্ষণ কারও মুখ দিয়া কথা বার হইল না। শেষে কাপ্তেন বলিল, সাবাস কুনিও, সাবাস ! কিছু কি বলবে ভাই ? বলিয়। সে মরণাহত ভাইয়ের মুখখানি সযত্নে মুছাইয়া দিল, তারপর নীচু হইয়া নিজের বোতল থেকে তার মুখে জল ঢালিয়া দিল । কুনিও ঈষৎ একটু মাথা নাড়িল, তারপর বলিল, দাদা ! দাদা !... আর কিছু বলিতে পারিল না । দাদাৰুে হয়ত কত কথা বলার ছিল, কিন্তু মরণ তার অবসর দিল কষ্ট ! দুই সপ্তাহ পরে, ২৪ আগষ্ট তারিখের যুদ্ধে কাপ্তেন সেগাওয়া বিদেহী অনুজের কাছে যাত্রা করিল ! ঘে কেল্লার শ্রেণী জাপানী আক্রমণ প্রতিরোধ করিবে, তাকুশান তার চাবি । সেই তাকুশান্‌ হাতছাড়া হওয়ায় রুশেরা যে খুব ক্রুদ্ধ ও নিরাশ হুইবে ইহা স্বাভাবিক । তাকুশান আবার দখল করার জন্ত বার-বার তারা আক্রমণ করিতে লাগিল, কিন্তু প্রতিবারেই বিতাড়িত হওয়ায় তাদের নৈরাপ্ত বাড়িয়া গেল । ঐ পাহাড় দখলের দিনকয় পরে গিরিশীর্ষে স্থাপিত আমাদের এক শাস্ত্রী একদিন প্রত্যুষে রুশ সন্ধানী চরের গুলিতে মারা পড়িল । যুদ্ধের জন্ত প্রস্তুত হইয়া আমাদেব দ্বিতীয় দল ছুটিয়া গিয়া পাহাড়ের মাথায় উঠিল। দেখিতে পাইল তাদের দশ পনেরো ফুট নীচেই জনকয় রুশ কৰ্ম্মচারী প্রায় সত্তর জন সৈনিকের আগে আগে তলোয়ার খুরাইতে খুৱাইতে উঠিয়া আসিতেছে। আর এক মুহূৰ্ত্ত ইতস্তত না করিয়া শত্রুর দিকে বন্দুক ঘুরাইয়া জাপানীরা গুলি চালাইতে মুরু করিয়া দিল। এই অপ্রত্যাশিত অভ্যর্থনায় শক্রদলের চমক লাগিল, ফিরিয়া তারা পলায়ন করিল—তাড়াতাড়িতে উলটিয়া পালটিয়া প্রায় গড়াইম্বা গেল । বলা বাহুল্য, আমাদের দল এমন হযোগের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করিল—পলায়নপর শত্রুর দিকে