পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. وك R o প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খ KKB BBB BBB BBB KBB BBBBBB S BBS BBBBS BBSBBB BBB BBBB BBS BBB BBS ডের অত্যাচারে জোসেফ মেরি এবং যীশু গর্দভপৃষ্ঠে মরুভূমি পার হইয়া মিশরের এই স্থানে পলাইয়া আসেন । এইখানে একটা কুপও আছে । এষ্ট কুপের জল সমিষ্ট ! অথচ এ অঞ্চলে অন্যান্য সকল কুপের জলই ঈষৎ লবণাক্ত। খৃষ্ঠানগণের বিশ্বাস—ভগবৎসন্তান এই কুপের জল পান করিয়াছিলেন, এই জন্যই ইহার মাহাত্ম্য । সিকামোর বৃক্ষ জীৰ্ণ অবস্থায় রহিয়াছে । ভারত ❖ርሻፏ এই শ্রেণীর অন্তর্গত । মেরির এই তরুটি অনেকলার শুকাইয়া গিয়াছে, তাহার পাশ্বে নুতন নুতন চারা জন্মিয়৷ ইহার পরম্পর্যা রক্ষ। করিয়াছে। আমরা যে গাছটা দেখিলাম তাহ প্রায় ৩০০ বৎসরের হইবে। বৃক্ষটি গোড় হইতেই দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া উঠিয়াছে । বৃক্ষ ত্বক শুকাইয়া গিয়াছে । গাছের পাতা একটি . শাখায় সামাঙ্গ মাত্র দেখিতে পাইলাম। গাছের গায়ে নানা লোকে ছুরি দিয়া নাম লিখিয়া রাথিয়াছে । কুপের জল তুলিবার জন্য দুইটি পারগুদেশীয় চক্র ব্যবহৃত হয় 53 দুইটির পরিধিতে কতকগুলি জলপাত্র সংযুক্ত আছে । চক্র ঘুরিতে থাকিলে পরে পরে ভিন্ন ভিন্ন জলপাএ হইতে জল পাওয়া যায় । দুইদিকে দুইটি বলদ তেলের ঘানি ঘুরাইবার রীতিতে ঘুরিতেছে । বলদের ঘুরার ফলে কুপ হইতে জল উঠিতে থাকে। এই দুইটি চক্রের জল একটি স্রোতে চালিত করা হইয়াছে। এই জলের দ্বারা বাগানের উদ্ভিদুগুলি সতেজ রাখা হয় । এরূপ ঘটীচক্র ভারতবর্ষের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের অনেক স্থানে দেখিতে পাওয়া ধায় । શૂછેicનરૂ કરે ૭ાર્ગcબca સર્જ૭િ “অক্ষয় বট” বৃক্ষ গুলি কোন অসুষ্ঠান দেখিলাম না । গাছতলায় খৃষ্টানের বসিয়া বা ওইয়া রহিয়াছে মাত্র । কোন পুজা উপাসনা বা প্রার্থনা কিম্বা বক্তৃত হইল না । এই উদ্যান রোমীয় আমলে ক্লীয়োপেট্রার প্রমোদকানন ছিল। মিশরের এই রাণী তাহার বিভিন্ন প্রেমকাজীগণকে যাদুমন্ত্রে মুগ্ধ করিয়া রাখিবার জন্য এই বাগানে বালুসাম এবং অন্যান্য মাদক উদ্ভিদের চাষ দিগকে বশীভূত করিতেন । এই বাগান হইতে উ গুর দিকে মাইল খানেক ধাইয়। প্রাচীন হেলিয়োপোলিস বা স্থৰ্য্য-নগরের ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন দেখিতে পাইলাম । কতকগুলি তুত গাছের বীথির ভিতর দিয়া একটা থানাইট প্রস্তরের চতুষ্কোণ স্তম্ভ দেখা গেল । ইহা মিথ্যা ৩ ওবেলিস্ক। প্রায় ৪০ ০০ বৎসর পূৰ্ব্বে মিশরের দ্বাদশ রাজবংশসস্তৃত সম্রাট সৗসষ্ট্রিস একটি উৎসবের স্মরণচিহ্নস্বরূপ দুইটি ওবেলিস্ক প্রস্তুত করিয়াছিলেন । ষিখ্যাত সূৰ্য্যমন্দিরের সম্মুখে এই ওবেলিস্ক দুইটি অবস্থিত ছিল । মন্দিরের কোন অংশই এখন বৰ্ত্তমান নাই ; প্রাচীন নগরেরও কিছুই এখন আর দেখা যায় না। মাত্র ওবেলিস্ক দাড়াইয়া রহিয়াছে, এবং চতুদিকে প্রাচীন দেওয়ালের মৃত্তিকারাশি পাহাড়ের গুপে স্তায় দেখা যাইতেছে। প্রাচীন মন্দিরের ভূমিতে এক্ষণে তুলা, ইক্ষু, শঙ্গী, ঘাস, গোধূম ইত্যাদি নানা শষ্ঠের চাষ হয় । পুরাতন ভগ্ন গৃহ ও নগরের চুন সুরকী হইতে মাটিতে উৎকৃষ্ট সার প্রস্তুত হয়, এজন্য এই ভূমি অতিশয় উৰ্ব্বর। ওবেলিঙ্কের নিম্নভাগ প্রায় ৭৮ ফুট বিস্তৃত । ক্রমশঃ সঙ্কীর্ণ হইয়া ইহা উদ্ধে উঠিয়াছে। শিরোভাগ বেশী সঙ্কীর্ণ নয়। সব্বোপরি পিরামিডের ষ্ঠায় একটা ত্রিকোণ । উচ্চতায় স্তম্ভটি ৬৬ ফুট । একখানা ঈষৎরক্ত গ্রানাইট পাথরে ইহা নিৰ্ম্মিত। আসোয়ানের পর্ববত হইতে এই লাল গ্রানাইট সংগ্রহ করা হইত। এই বিখ্যাত স্থৰ্য্যমন্দির প্রাচীন মিশরের বিদ্যালয় ও ধৰ্ম্মশিক্ষালয় ছিল । এইখানেই মিশরীয় প্রধান প্রধান দেবতার পুজারীদিগের শিক্ষালাভ হইত। পরবত্তী কালে গ্রীক ও রোমান পণ্ডিত সকলেই এই মন্দিরে আসিতেন। দার্শনিক প্লেটোও এইখানে ১২ বৎসর কাল অধ্যয়ন করিয়া গিয়াছেন । বল। বাহুল্য ওবেলিস্ক সেই প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সাক্ষীস্বরূপ বৰ্ত্তমান মানবকে মহা অতীতের কথা স্মরণ করাইয়া দিতেছে । হেলিয়োপোলিস এই কারণে দুনিয়ার বাণী-সেবক মাত্রেরই তীর্থক্ষেত্র। ওবেলিস্ক স্তস্তের চারি গাত্রে হয়েরোগ্লিফিক অক্ষরে