পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१० রি স্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রচার করিয়া অমান্নুষ করিয়৷ ন৷ তোলে, তবে ত তাহারাও কিছু হ য়। কিছু করিয়া জীবন সার্থক করিতে পারে । হইতে পারে, ধে, দেশে সামাজিক কুপ্রথ। থাকায়, কাচা বয়সের বাপমার সস্থান হয় বলিয়া, দেশ ব্যাধিপূর্ণ হওয়ায় পিতামাতার দেহ ও তাহদের নিজেদের দেহ দুৰ্ব্বল বলিয়া, এবং দেশে দরিদ্র্য থাকায় তাহাদের পিতামা তারা ও তাগর। যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য পায় ন! বলিয়া,-ধে প্ৰাণে অন্য দেশের শিশুরা ৭০ বৎসরে পা দিয়া ও কার্য্যক্ষম থাকে, সেখানে এই তথাকথিত জীর্ণজাতির শিশুরা ৫০ বা ৫৫ বৎসরের পর কাজ করিতে পারে না । কিন্তু, তাহারা জীর্ণগুণতির মানুষ, তাহারা অক্ষম, তাহার। দুৰ্ব্বণ, জন্মাবধি এই মন্ত্র তাঙ্গাদের কানে ন ফু কিলে, তাহার এই ৫৫ বৎসর-পরিমিত জীবনও ত মানুষের মত ধাপন করিতে পারে । তা ছাড়', সামাজিক কু প্রথা দুর করা অসাধ্য নহে । চীন জাপান পারস্ত তুরস্ক রাজপুতানা দূর করিয়াছে ও করিতেছে। আমরা কেন পারিব না ? ইতালী হইতে, পানামা হইতে, • আরও ক ৩ কত দেশ হইতে ম্যালেরিয়া প্লেগ আদি দুরীভূত হইয়াছে । আমাদের দেশ হইতেই হইবে না কেন ? বিদেশী আমাদের দেশে কুবেরের সমান ধনী হয় । আর আমাদিগকে না খাইয়া মরিতেই হইবে, বিধ তার এমন কোন অজ্ঞা নাই | অতএব, আমরা প্রাচীন জাতি বলিয়া যে জীর্ণজাতি, এ মির্থ্যা কল্পনা দূর হউক। শিশুদিগকে ধমক ও ঠেঙ্গার চোটে গোবেচারা করিবার দুশ্চেষ্টার অবসান হউক । একবার দেশকে জাতিকে ভাল বাসিয়া ভাল করিয়া উন্নতির চেষ্টায় সকলে প্রবৃত্ত হই । স্বদেশপ্রেম ও বিদেশীবিদ্বেষ বিদেশীকে বিদ্বেষের চক্ষে দেখা খুব সহজ । কি স্তু ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ তাহার একটি দৃষ্টান্ত । কিন্তু ইহার মানে এ নয় যে কোন বিদেশী কাহারও স্বদেশের অনিষ্ট করিলেও সে চুপ করিয়া থাকিবে । সে অবশুই তাহাতে বাধা দিলে । ইহার কুফলও তেমনি ভয়ানক । প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কিন্তু অনিষ্টকারীর দুরভিসন্ধিতে বাধা দেওয়া, কিম্বা যাহাতে বা ধাহীর দ্বারা ক্ষতি হইতেছে তাহার সম লোচনা করাই স্বদেশপ্রেমের সার অংশ নহে। দেশের লোকের জন্ত আমাদের প্রাণ কাৰ্য্য তঃ কত - টুকু কাদে, আমরা তাহদের জন্য কতটুকু নিজের শক্তি, নিজের টাকা, নিজের সময় দিয়া থাকি, দেশ আমাদের চিস্তা, কল্পনা, স্বপ্ন ও চেষ্টাকে কি পরিমাণে গ্রাস করিয়াছে, তাহা দ্বার স্বদেশপ্রেম পরীক্ষিত হয় । আরও বেশী পরীক্ষ হয়, যদি আমরা দেশের জন্য ইন্দ্রিয়সেবা, বিলাসি গুণ, সুখ, স্বার্থ, মনের নিরুদ্বেগ নিরাপদ ভাব ছাড়িয়া দিতে চেষ্টা করি । দেশের জন্য প্রেমিক, ত্যাগী, শ্রমী, সাহসী, প্রজ্ঞাবান্‌ ধিনি তিনিই দেশভক্ত ! যে দেশে একজন ও প্রেমিক, ত্যাগী, সাহসী, শ্রমী, ধীর, প্রজ্ঞাবান্‌ মাষ্ট্ৰয আছেন, সে দেশের আশা আছে। সেই মানুষ সহজে মিলে না । দেশ হইতে জাতি হইতে আপনাকে পৃথকৃ ভাবিলে দেশহিত ব্রত হওয়া ধায় না ! “আমি” ও “তাহারা’ এরূপ ভাবিলে চলে না। সবাই “ আমরা” । বোথার অভিধানে কুলীর অর্থ ইংরেজদের সঙ্গে লুরদের যখন যুদ্ধ হয়, তখন বোথ৷ বুরদের একজন সেনাপতি ছিলেন । তিনি এখন ব্রিটিশসাম্রাজ্য ভুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান মন্ত্রী । তিনি কয়েক মাস পূৰ্ব্বে এক বক্তৃতায় “ভারতসন্তান” অর্থে কুলী শব্দটি প্রয়োগ করেন। তাহাতে দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী ভারতসন্তানদের অনেকে অসন্তুষ্ট হইয়া বোথাকে পত্র লেখেন। বোথা বলেন, “প্রদের মাতৃভাষী ডচ ভাষায় ভারতবাসী অর্থে কুলী কথার ব্যবহার আছে । আমি আপনাদিগকে ক্লেশ দিবার জন্ত বা অপমান করিবার জন্য উহা ব্যবহার করি নাই ।” বেtথ। ভারতবাসী মাত্রকেই কুলী বলায় ভারতবর্ষেরও অনেক সম্পাদক ক্ষুঃ হইয়াছেন । যাহারা কুলীর কাজ করে, তাহারা গরীব ; ভাল কাপড়, ভাল ঘরবাড়ী তাহীদের নাই । শিক্ষাও সামান্য রকমের অতি অল্প লোকেরই আছে। সুতরাং সমুদয়