পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o o (ع\ প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড আমি ত এখন নিৰ্ব্বিকার ! কিন্তু—মোহিতবাবুর পূহ • ময় পরিপূর্ণতা অনুভব করিতেছিল,—আর অপরাজিতার যদি শূন্ত হয় --তাতে আমার কি ?—যাইব । বাড়ীট। ফণকা-ফণকাই ত বটে ! মোহিতবাবু ‘বাহিরের ঘরে একাকী বসিয়া ছিলেন। "এস বাবা এস, তোমার অপেক্ষাতেই ব’সে অাছি।” অসীম নমস্কার করিল। কিছুক্ষণ গল্প করিয়া মোঙ্গিতবাবু বলিলেন— এরা বোধ হয় উপরে ছাতে আছেন, উপরে যাও, দেখা ক’রে এস।” “হারে দুষ্ট ছেলে"—বলিয়া মোহিতবাবুর স্ত্রী অসীমকে আদরের ভৎসনা করিতে আরম্ভ করিলেন । র্তাহার পাশ্বে বসিয়৷ অপরাজিত!—লজ্জানস্রা-এ-ত সুন্দরী ! কিন্তু তার সীমন্ত— !—আঃ বাচা গেল সে আশঙ্কা নাই— বাচা গেল !—ছিঃ ! এ ভাবনা আবার আমার মনে আসে কেন ? কিছুক্ষণ পরে মোহিতবাবুর স্ত্রী নামিয়া আসিলেন । আসিবার সময় তিনি কপটগাম্ভীর্য্যের সহিত কহিলেন— “এখনই আবার আসছি। একজন অপরিচিত ভদ্রলোককে আজ নিমন্ত্রণ করা হয়েছে, তার জন্যে আয়োজনের ব্যবস্থা করে দিয়ে আসি ।" তখন অসীমও উঠিল । সে আলিশায় দেহ হেলাইয়া দাড়াইয়া নিম্নে পথের উপরকার জনসঙ্ঘ পর্য্যবেক্ষণ করিতেছিল । হঠাৎ কি কারণে সে পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখিল পিছনেই অঞ্চুরাজিতা অধোমুখী হইয়া দাড়াইয়া আছে। অপরাজিত কহিল—“আ-মি—আমি যে অপরাধ করেছি তার জন্তে ক্ষমা কর ।” অসীম –“অপরাধ ! কিসের অপরাধ ? কার কাছে অপরাধ করেছেন ? আপনি হয় ত ভুল— আর বলা হইল না । অপরাজিতার অtয়ত ঘনকৃষ্ণতার লোচনযুগল হইতে দুইটি মুক্তার ছড়া গোলাপক্ষেতে পতিত হইল ;– অসীমের কাছে সেই সজল ব্যথাব্যঞ্জকপুষ্টির কৃপা ভিক্ষণ !—অসীম কি বলিতেছিল ভুলিয়া গেল। অপরাজিত ভূমিষ্ঠ হইয়া অসীমসুন্দরকে প্রণাম করিয়া পদধূলি লইল । উদ্ধে অনন্ত জ্যোতিৰ্ম্ময় আকাশ—নিস্তব্ধ। নিয়ে নিস্তব্ধ তাহার ;–অসীমসুন্দর আকাশের সেই চিরশাস্তি . মনে কি হইতেছিল কে জানে ? পদতলে কোলাহলময়ী পৃথিবীর কোন শব্দ তাহাদের কর্ণে প্রবেশ করিতেছিল না । অপরাজিতাকে পদতল হইতে তুলিয়া কণ্ঠস্বরে প্রণয়ের কোমল মধুরিম ঢালিয়া দিয়া অসীমসুন্দর ডাকিল –“প-রি !" ঐরণজিৎকুমার ভট্টাচার্য । পিলীয়াস ও মেলিস্যাও দ্বিতীয় অঙ্ক প্রথম দৃষ্ঠা উদ্যান-মধ্যে একটি নিঋরি। [ পিলীয়াস ও মেলিস্তাণ্ডার প্রবেশ ) পিলীয়াস আমি কোথায় তোমায় এনেছি তা তুমি জান ? দুপুর বেলা বাগানে যখন খুব গরম বোধ হয়, তখন আমি প্রায়ই এখানে এসে বসে থাকি । আজ ভাfর গুমট গরম, গাছের ছায়াতেও । মেলিস্তাগু। ওঃ ! জলটি বেশ পরিস্কার... পিলীয়াস আর শীতের মত ঠাণ্ড। এট। একটা পুরা তন পরিত্যক্ত ঝরণ৷ ৷ সকলে বলে যে, আগে এর তারি অদ্ভুত গুণ ছিল,—এর জলে অন্ধের দৃষ্টি হত—এখনও একে “অন্ধের নিবীর" বলে । মৃেলিস্তাও1 আর কি এতে অন্ধের চোখ হয় না ? পিলীয়াস এখন রাজাই নিজে প্রায় অন্ধ ! কেউ আর এখানে আসে লী... মেলিস্ত।ওl এখানটা কি নির্জন নিস্তব্ধ!... একটু ও শব্দ শুনতে পাবার জো নেই ।