পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ‘ঢাকাগেজেট’ বলেন— “কথা হইতেছে, দেশে এত অধিক পাটের অfবাদ হওয়া উচিত কি না ? ইহাতে দেশের লtভ, না লোকসান ? ব্যবসায় বাণিজ্যে জামরা বিদেশীর সহিত প্রতিযোগিতায় পারি না, হারিয়া যাই । এই অবস্থায় যদি আমরা এমন কোন দ্রব্য উৎপন্ন করিতে পারি মাহ। অন্ত দেশে নাই, যtহা অস্ত দেশে হয় না, তবে তাহ1 করিব না কেন ? দিন দিন পাটের ব্যবসায় বাড়িয়া যাইতেছে, বাঙ্গলা এ মহাসুযোগ ছাড়িবে কেন ? এমন জমি অtছে যাহাতে অন্য ফসল ভাল হয় না, অথচ পাট বেশ হয় । এমন জমিও আছে যাহাতে ১ টাকার ধান জন্মে, কিন্তু পাট জন্মে ৫০ টাকার । তবে পাট বপন করিবে না কেন ? অবশ্যই করা উচিত । কিন্তু বিপদের প্রতিকারার্থে কি করা কর্তব্য ? ধান অবশ্বাই বুনিতে হইবে। যদি পাচ কাণি জমি থাকে, ৩ কাণিতে পাট ও ২ কাণিতে ধান বপন করিলেই সমস্যা মিটিবে। ঘরে ধানও থাকে, অথচ নগদ অর্থাথমও হয় । যেমন অল্প জমিতে ধান বপন করিতে হইবে, তেমন সাহাতে সেই জমিতে ফসল অধিক জন্মে কুবকদিগকে তাহা বিশেষরূপে শিক্ষা দিতে হইবে । দেশে কত অনাবাদী জমি পড়িয়া আছে, তাহ আবাদ করিতে হইবে । তবেই সমসার পূরণ হইবে ।” বাগেরহাটের ‘জাগরণ’ একথ। সমর্থন করেন না । তাই ঐ পত্রিকায় প্রকাশ– “র্যাহারা অর্থনীতিশাস্ত্ৰবিং পণ্ডিত ৫াহার। পাটের চাষের অভাবে দেশে ধনাগমের পথ-রোধকে দেশের পক্ষে মহা অনিষ্টকর মনে করিতে পারেন ; কিন্তু আমরা তাহা করি না । দশ টাকা অtয় BBDB BB BBS BB BB BBB BSB BBS BB BBBS BB BB BB BBS B BB BB BBBS BBB BBBS BBB ঠাহীয়া বুঝিবেন এবং স্বীকার করিবেন যে পাটের চাষে কৃষকের অধিক অর্থ উপার্জন করিতে পারিলেও তাহীদের সে অর্থ অধিকাংশ অপব্যয়ে নষ্ট হইয়া যায় । আমাদের কোনও শ্রদ্ধেয় দেশ-হিতৈষী বন্ধু এক সময়ে ফরিদপুর জেলায় দুর্ভিক্ষ-প্রপীড়িত স্থানে সাহায্য প্রদান করিতে গিয়াছিলেন । উপহার মুখে শুনিয়াছি কৃষকের বাস করিবার জন্ত টনের ঘর করিয়াছে কিন্তু খাইতে ন পাইয়া সে বাড়ী-ঘর ছাড়িয়া পলায়ন করিয়াছে। উtহার সঙ্গে ষ্টীমারে কয়েকজন কৃষক যাইতেছিল তাহারা অন্নভাবে ক্লিষ্ট, কিন্তু ষ্টীমারে বসিয়া চুরুট খাওয়া চলিতেছিল । এক পয়সার তামাক কিনিলে তাহাতে হয়তো দুই দিন চলিতে পারিত, কিন্তু এক পয়সার চুরুটের দ্বারা দুই বারের বেশী খাওয়া চলে না। তিনি যখন তাহাদিগকে এ কথা বুঝাইয়া দিলেন তথন তাহার লজ্জিত হইল। এটি একটি সীমান্ত দৃষ্টান্ত । কৃষককুল যে বিলাসী বাবু সাজিয়াছে তাহার প্রমাণের বা দৃষ্টাস্তের অভাব নাই। শীতকালে বঙ্গদেশের নানা স্থানে মেলা হইয় থাকে । সে মেলার জিনিব কাহারা ক্রয় করে ? যে-সকল অকিঞ্চিৎকর মনোহারী আসার দ্রব্য বিলাত হইতে আসিয়া এ দেশের অর্থ শুধিয়া লইতেছে তাহার অধিকাংশ ইহারাই ক্রয় করিয়া থাকে । এমন কি, অর্থ দ্বারা তাহারা পাপ এবং স্বাস্থ্যহানির বিষময় বীজও ক্রয় করিতে কুষ্ঠিত হয় না । পাট বিক্রয় করিয়া যে অর্থ উপার্জন করে তাহা এইরূপ ভাবেই অপব্যয়িত হইয়া থাকে, গৃহস্থের বয়ে একটি পয়সাও থাকে না । অভাবে পড়িলে সেই চিরন্তন প্রখ > R2 দেশের কথা উচ্চহারে সুদ দিয়া টংক কর্জ করা ভিন্ন উপায়।যুর না বুনিয়া ধান বুনিলে অন্ততঃ খাদ্যের অভাব হয় না । এষ্ট-সকল কথা মনে করিগে উহাই সঙ্গত মনে হয় ধে পাটের চাষে সময় ব্যয় DD KKKK BB BBBS BBBB BBB BB BB BBBS BBB S BB বুঝিতাম এষ্ট পাটের ব্যবসায়ের অর্থ দ্বার দেশের লোকে ধনবান হইতেছে তবে ইগর সপেক্ষ দুটা কথা বলিতে পারিতাম । পাটের BBDD BB B BBBB BBBB BB BB B BB BK BBBS BBB S বিদেশী লোকে এই পাট ক্রয় করিয়া বিদেশে প্রেরণ করে, তাহ। দ্বারা জিনিষ প্রস্তুত হইয়। এদেশে আসিয়া আমাদের অর্থ শুধিয়। লয়। আমাদের কৃষককুলের পরিশ্রম, আমাদের দেশের দালালের সেই পরিশ্রমলব্ধ দ্রব্য বিদেশীর নিকট বিক্রী করে, তাহীরাই লাম্ভ BBS BBB BB BBS BB BD BBBB DD BBS BBBDD BBB মূল্যে ক্রয় করিয়া তাহাদিগকে লt ভবান করি । আমাদের শিল, আমাদের নেড়, তাহা দ্বারা আমাদেরই দীতেয় গোড়া ভাঙ্গা হয়। যদি পাটের চাষ করিতে হয় তবে দেশের লোকে যাহাতে তাহার ব্যবসায় করিয়া লাভবান হইতে পারে তাহার উপায় কর কর্তব্য ।" ‘রঙ্গপুর দিকপ্রকাশে শ্রীযুক্ত কেশবলাল বসুরঙ্গপুরের জনসংখ্যা ও উৎপন্ন শস্ত্যাদির বিচারে উপরি-উক্ত কথারই প্রতিধ্বনি করিয়া লিখিয়াছেন— “১৮৭২-৭৩ খৃষ্টাব্দে রংপুর জেলায় ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার ২ শত ৬৬ একর ১ রুড ১ পোল ভূমিতে ধান্তের চাষ করা হইয়াছিল । যে-সকল জমিতে এক মাত্ৰ হৈমস্তিক ধাস্য উৎপন্ন হুইয়া থাকে, তাহার উৎপন্ন ধান্তের পরিমাণ একরপ্রতি ২ ১/• মণ ; যে-সকল জমিতে অtশু ও হৈ মন্তিক উভয়বিধ ধান্য উৎপন্ন হয় তাহার উৎপত্তিয় পরিমাণ একরপ্রতি.৩•/• মণ ; এবং যে-সকল জমিতে অন্যান্য খাদ্যশস্তের সহিত ধান্য উৎপন্ন হয়, তাহার উৎপত্তির পরিমাণ একরপ্রতি ১৫/০ মণ ধয়িলে জেলার উৎপন্ন ধান্ত হইতে ১৯৩ লক্ষ ৮৮ হাজায় ৩ শত ৩০ মণ চাউল পাওয়া যাইতে পারে । এখন জনসংখ্যার হিসাবে দেখা যায় যে, জনপ্রতি দৈনিক অৰ্দ্ধসের করিয়া চাউল প্রয়োজন হইলে এই জেলার অধিবাসীবর্গের জন্য ৯৯ লক্ষ মণ চাউলের প্রয়োজন । • সুতরাং অবশিষ্ট ৯৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩ শত ৩০ মণ অনায়াসে বিদেশে চালান যাইতে অথযা গৃহে গৃহে সঞ্চিত হইতে পারে । পাঠক মনে রাগিবেন, আমি চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বের কথা বলিতেছি। তখন জেলায় সৰ্ব্বত্র এত অধিক রেলপথের বিস্তার হয় নাই, তথাপি কোন উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারী বলিয়াছেন, যে-বৎসর শহ্যাদি সুন্দর উৎপন্ন হইত, সে-বৎসর অন্তও অৰ্দ্ধেক শস্য দেশের বাহিয় হইয়া ষাইত । এখন সৰ্ব্ব এ রেলপথের বিস্তার ও অবাধ বাণিজ্যের কল্যাণে এই রপ্তানৗ-স্রোত যে সমধিক বুদ্ধি পাইয়াছে, উহা বলাই বাহুল্য । আমি পূর্বেই দেখিয়াছি, ৪০ বৎসর পূৰ্ব্বে রংপুর জেলার যে পরিমাণ ভূমিতে ধাষ্ঠের আবাদ হইত এখন তাহার কিঞ্চিদfধক অৰ্দ্ধাংশ ভূমিতে ধান্য উৎপন্ন হইতেছে ৪০ বৎসর পূৰ্ব্বে রংপুরে যে-পরিমাণ ধান্ত উৎপন্ন হইত, তাহার একাদ্ধে জেলার প্রয়োজন পূর্ণ হইরা অপরাদ্ধ বিদেশে চালান ঘাইত অথবা গৃহে গৃহে সঞ্চিত হইতে পারিত কিন্তু বর্তমানে যে-পরিমাণ ভূমিতে ধান্ত উৎপন্ন হইতেছে, তাহাতে উৎপত্তি ভাল হইলে কিছুমাত্র রপ্তানী বা সঞ্চয় মা করিয়া জেলার অভাব কোন প্রকারে পূর্ণ ইষ্টতে পারে। বর্তমানে