পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সত্যমৃ শিবম্ সুন্দরম্ ।” “নায়মাত্ম। বলহীনেন লভ্যঃ ।” ১৪শ ভাগ | २ब्र १७ | বিবিধ প্রসঙ্গ মান্দ্রাজে জাতীয় উন্নতি চেষ্টা ইংরেজী বৎসরের শেষ সপ্তাহে ভারতবর্ষের কোন একটি সহরে প্রতি বৎসর জাতীয় উন্নতি কল্পে নানাবিধ পরামর্শসমিতির অধিবেশন হইয় থাকে। তদ্ভিন্ন মুসলমান শিক্ষাসমিতি এবং অন্যান্য নানা সাম্প্রদায়িক সমিতির অধি বেশনও অন্ত অনেক সহরে হয় । এবারে মান্দ্রীজে প্রধান সমিতি গুলির বৈঠক হইয়াছিল। ধৰ্ম্ম সকল উন্নতির মূল জাতীয় উন্নতির অর্থ, যে মানুষগুলিকে লইয়। জাতি গঠিত, তাহাদের প্রত্যেকের উন্নতি । উন্নতির বাহ লক্ষণ এই যে উন্নত মানুষ ভাল যাহ। তাহাই করে, মন্দ যাহা তাহা করে না। মানুষকে উন্নত হইতে সাহায্য করিবার জন্ত মানুষ কতকগুলি বিধিনিযেধের ব্যবস্থা করিয়াছে । ঈশ্বরের নিয়মের সহিত মানুষের গড় কতকগুলি বিধিনিষেধের সামঞ্জস্ত আছে ; অস্ত কতকগুলির সামঞ্জস্ত নাই, বরং বিরোধ আছে। কেবল যাহা ঈশ্বরের বিধিনিষেধের অনুরূপ, মানুষের এরূপ ব্যবস্থাই মানিতে হইলে এবং ঈশ্বরের বিধানের বিরুদ্ধ মানুষের বিধিনিষেধ অগ্রাহ করিতে হইলে আত্মার যুক্ত অবস্থার প্রয়োজন, সাহসের थप्ब्रांछन, छेश्वरब्रव्र छठ विषांtन हिद्र दृढ़ विश्वाप्नद्र মাঘ, ১৩২১ | ৪র্থ সংখ্যা প্রয়োজন । ইহা গেল বাহিরের কথা। যে ঈশ্ববের নিয়ম ব। তদনুগত মানবীয় বিধিনিষেধ একটা বাহ ব্যবস্থার মত মানে, তাহার কিছু উন্নতি হইয়াছে বটে ; কিন্তু প্রকৃত উন্নত মানুষ সে ষাহাকে বিধিনিষেধ আর বিধিনিষেধ বলিয়। মানিতে হয় না, যাহার প্রকৃতিই এরূপ হইয়া যায় যে সে স্বভাবতই বিশ্ববিধানের অনুরূপ কাৰ্য্য করে। যেমন মাকে বলিতে হয় না যে শিশুসন্তানকে স্তন্যদুগ্ধ দিতে হয়, সতীকে বলিতে হয় না যে পতির যtহাতে মঙ্গল তাহ করিতে হয়, তেমনি উন্নত মানুষকে বলিতে হয় না যে ঈশ্বরের বিধান অনুসারে জীবনযাপন কৰ্ত্তব্য। প্রাণের টানে, শুভ প্রবৃত্তিতে, যেমন মাতাকে স তাঁকে কৰ্ত্তব্য পালন করায়, বিধি ব্যবস্থায় আইনে নহে, তেমনি উন্নত মানুষকে ভগবৎপ্রেম বিধাতার নিয়মের অনুগত করে । মানুষ গৌকিক দুঃখ মুখ, নিন। প্রশংসা, ক্ষতিলাভ গণনা, শাস্তি পুরস্কার, নিষেধ বিধির বন্ধন হইতে যে পরিমাণে মুক্ত হইয়। ঈশ্বরপ্রেমের বাধনে স্বাধীন ভাবে আত্মসমর্পণ করে, সেই পরিমাণে সে উন্নত হয় । অতএব, জাতীয় উন্নতির অর্থ এক একটি ম:কুযের আত্মার উত্তরোত্তর অধিক পরিমাণে মুক্ত অবস্থা লাভ । ধৰ্ম্মের উদ্দেশু মানুষকে সাংসারিকু দুঃখ সুখ, নিন্দ প্রশংসা ক্ষতিলাভ গণনা, প্রভৃতি হইতে মুক্ত করিয়া ভগবৎপ্রেমে অণবদ্ধ করা। সকল ধৰ্ম্মসমাজেই লোকে অল্পাধিক পরিমাণে লোকাচারের অধীন হইয়া পড়ে, এবং ধৰ্ম্মের প্রকৃত তত্ত্ব ভুলিয়া যায় ; কিন্তু স্থিরচিত্তে চিন্তা করিলেই