পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] সমুদ্রতীর হইতে প্রায় ৭০০ মাইল দক্ষিণে নাইল মিশর ও নিউবিয়ার এই সঙ্গমস্থল সৃষ্টি করিয়াছে। আমরা লুক্সর হইতে প্রায় ৭ ঘণ্টায় এই স্থানে আসিয়া পৌছিলাম। উত্তর-মিশরে এবং দক্ষিণ-মিশরের কিয়দংশে কয়দিন আমরা কাটাইয়াছি। এতদিন সুজল৷ স্বফল শস্তখামগা ভূমি আমাদের সর্বদা চক্ষুগোচর হইত। আজ কিন্তু গাড়ী হইতে যেদিকে তাকাই সেই দিকেই শুষ্ক পাথর, মরুভূমির ন্যায় অমুর্বর প্রান্তর। রেলপথ নদীর পূৰ্ব্ব কিনারার উপর দিয়া বিস্তৃত । আরব্য পৰ্ব্বতশ্রেণীর পাদদেশেই গাড়ী চলিতেছে। স্থানে স্থানে নদীর সঙ্গে পৰ্ব্বত মিশিয়া গিয়াছে—মধ্যবৰ্ত্তী স্থানের প্রসার অতি অল্প । অপর কুলেও বেশী ক্ষেত্র নাই । পৰ্ব্বত প্রায় নদীতে আসিয়া ঠেকিয়াছে। বালু, ধূলা ও তাপে নিতান্ত কৃষ্ট পাইতে পাইতে কোন উপায়ে যথাস্থানে পৌছিলাম । স্থানের নাম আসোয়ান। চারিদিকে অতুর্কর পর্বত ও প্রাস্তুর । নদীর উপরেই আমাদের হোটেল । এপান হইতে আসোয়ানের প্রাকৃতিক দৃশু অতি মনোরম দেখাইতেছে। নাইলের দুষ্ট পাশ্ববৰ্ত্তী পাহাড় এখানে নদীর দুই কিনারায় দণ্ডায়মান। নদী আরব্য মোকাওম এবং আফ্রিকার লীবিয় পৰ্ব্বতশ্রেণীর চরণতল ধৌত করিয়া খরস্রোতে প্রবাহিত । কেবল তাহাই নহে—দুই পৰ্ব্বতশ্রেণী নদীর তলদেশে মিশিয়া গিয়াছে। নদীর ভিতরেই মধ্যে মধ্যে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পর্বতশৃঙ্গ—নদীর দুই ধারে বৃহৎ বৃহৎ শিলাখণ্ডের স্তুপ এবং পর্বতগাত্রের প্রোচীর। এদিকে উত্তরে দক্ষিণে নদী সোজা প বাহিত হইয়া খানিকট বক্র হইয়াছে । ফলতঃ আসোয়ানের কোন এক নদীর ঘাটে দাড়াইয়া দেখিলে মনে হইবে— স্থানটা চতুর্দিকেই পৰ্ব্বতবেষ্টিত, মধ্যে একটা ক্ষীণকায়া স্রোতস্বতী শিলাখণ্ডের ভিতর হ্রদের মত বহিয়৷ যাইতেছে । সন্ধ্যার সময় নৌকাবক্ষে নদীতে বেড়ান গেল । সম্মুখেই একটা ক্ষুদ্র দ্বীপ। ইহার নাম এলিফ্যাণ্টাইন। অতি প্রাচীন কাল হইতেই ইহা প্রসিদ্ধ । ইহার দক্ষিণ । পূৰ্ব্ব গাত্রে নাইলের জল মাপিবার একটা প্রাচীন কল কবরের দেশে দিন পনর SAAAAAA SAAA AAASA SAAAAS AAASASAAAAASA SAAAAA AAAA S AAAAA SAAAAAS SS S S SS C SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS SAAA SAAAA SAS S S S S S AAAAAAAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S S S 8 ονΟ SAAAAAA S AAAA SSS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS দেখিতে পাইলাম। গ্রীক ও রোমানেরাওঁ ইহাকে অতি প্রাচীনরপে বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। আসোয়ানের পারে নদীর ধারে একটা প্রাচীন স্নানাগারও দেখিতে পাইলাম। দ্বীপটাই এই বৃক্ষহীন পৰ্ব্বতরাজ্যের মধ্যে 'একমাত্র সবুজ উদ্ভিদের আশ্রয়। আমাদের কিনার হইতে দ্বীপের কিনারা পর্য্যন্ত বিস্তৃতুি অতাল্প। লুক্সরে যত বড় নাইল দেখিয়াছি এখানে তাহার } অংশ হইবে । নাইল মাপিবার কলের কাছে প্রাচীনকালে দ্বীপে যাইবার জন্য আসোয়ান হইতে একটা সেতু ছিল। তাহার চিহ্ন মাত্র এক্ষণে বৰ্ত্তমান । দ্বীপের সেই অংশে প্রস্তরের দ্বারা প্রাচীর নিৰ্ম্মিত রহিয়াছে। দ্বীপের পুপাংশ ঘুরিয়া দক্ষিণ দিকে গেলাম। সেই অংশে প্রাচীন সাইন নগর অবস্থিত ছিল । গ্রীক ও রোমীয় ইতিহাসে এই নগর প্রসিদ্ধ। এই স্থানে নদীর মধ্যে কতকগুলি কৃষ্ণ প্রস্তরের পদতশৃঙ্গ দেখিলাম। বহুযুগের প্রবল তরঙ্গাঘাতে এবং স্রোতোধারায় প্রস্তরের ভিতর বড় বড় গৰ্ত্ত স্বল্প হইয়াছে। দক্ষিণ প্রান্ত হইতে দ্বীপের পশ্চিম দিকে ষাইয়া উত্তর দিয়া ঘুরিবার ইচ্ছা ছিল । কিন্তু পথে প্রবল ঝড় উঠিল । উত্তর দিক হইতে বাতাস বহিতে লাগিল। নৌকার পাল স্থির রাখিতে পারা গেল না । মাঝিরা একবার এপার একবার ওপার দিয়া সপাকার-গতিতে নৌকা চালাইতে চেষ্টা করিল। কিন্তু আমাদের বন্ধুগণ উদ্বিগ্ন হইয়। পড়িলেন। কাজেই পাল নামাইয়া ফেলা হইল—এবং দ্বীপ প্রদক্ষিণ না করিয়া পুরাতন পথে ফিরিয়া আসিলাম । আমাদের সম্মুখে গলানো কাচের ন্যায় ক্ষুদ নদী। তাহার উপর এলিফ্যান্টাইন দ্বীপের উদ্যান ও প্রাসাদতুল্য হোটেল গৃহ। তাহার পশ্চিমে স্বর্ণ-বালুকা-মণ্ডিত গীবিয় পৰ্ব্বতের উচ্চ শৃঙ্গ সমগ্ৰ দিঙ মণ্ডল ও গগনকে অরুণাভায় রঞ্জিত করিয়া রাখিয়াছে। নদীবক্ষে ত্রিকোণাকার শ্বেতপালবিশিষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৌকার শ্রেণী। উদ্ভিদের সবুজ রং, পৰ্ব্বতগাত্রস্থিত বালুকাৱাশির নাতিরক্ত নাতিপীত সুবর্ণের কিরণ, উভয় কুলস্থ বালুকার শুভ্ৰ আভা, স্বচ্ছ জলের রজত বর্ণ, নদীগর্ভেথিত পৰ্ব্বতশৃঙ্গের কৃষ্ণ ত্বকু এবং মাথার উপরে নিৰ্ম্মল নভোমণ্ডল—এই নানাবিধ রংএর