পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯაeხr - - -- ~ -۔-بر - . حہ . یہ ۔ بر . عبر .-- দেশের জন্য বহু সেবকের প্রয়োজন। এখন সকল প্রদেশেই গোখলের স্মৃতিরক্ষার কথা হইতেছে। তাহার স্মৃতিরক্ষার প্রথম উপায় তাহার প্রতিষ্ঠিত ভারতসেবক-সমিতিকে স্থায়ী করা । তাহা করিতে হইলে উহার অর্থাভাব দূর করা আবশু্যক, এবং উহাতে আরও অধিকসংখ্যক যুবকের ষোগ দেওয়া প্রয়োজন । ভারতসেবক-সমিতি যদি স্থায়ী হয়, তাহা হইলে অনেকগুলি দেশসেবক এইরূপেই পাওয়া যাইবে । কিন্তু এই সমিতির মূল মতগুলি সকল দেশভক্ত গ্রহণ করেন না, শ্ৰীযুক্ত গান্ধির মত দেশভক্তও গ্রহণ করিতে পারেন নাই । এই সমিতির মূল মতে ভারতের ভাগ্যকে ব্রিটিশ রাজশক্তির সহিত যে ভাবে জড়িত মনে করা হইয়াছে, তাহ বহু দেশতক্তের মনঃপুত হইবে না । এই হেতু র্যাহার। দেশের রাষ্ট্রীয় পরিচর্য্যার জন্য সৰ্ব্বত্যাগী হইতে প্রস্তুত, তাহারাও সকলে ইহার সভ্য হইতে পরিবেন না । র্তাহারা অন্তরূপ দল বাধিয়া কিম্বা এক এক কাজ করিতে পারেন । এরূপ লোক যদি অনেক পাওয়৷ যায়, তাহা হইলে গোখলে শিক্ষিতদের উপর একদা যে জন্য যে কর বসাইতে চাহিয়াছিলেন, সে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে । এই কর টাকা কড়ি বা ধানচালে দেয় নয়। গোখলের দাবী এই ছিল ষে র্যাহারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা সমাপন করিয়! কৃতকাৰ্য্য হইয়া বাহির হন, তাহাদের মধ্যে শতকরা ২৫ জন দেশের সেবায় আত্মোৎসর্গ করুন। অনেক জায়গায় বণিকেরা বিক্রয়লব্ধ অর্থের টাকায় এক পয়সা ঈশ্বরবৃত্তি রাখিয়া দেন । তাহ বারোয়ারী পূজায় বা কোন সৎকার্য্যে খরচ করা হয় । গোখলে যেন শিক্ষিতদিগকে ইহাই বলিয়াছিলেন, "তোমরা তোমাদের মধ্যে একজনকে ঈশ্বরবৃত্তিস্বরূপ দী ও । 으직R حہ ہ- بر حصی. ۔-. - یہ ۔ ہر ممبر - را م . --مر শতকরা অন্ততঃ তিনি ভগবানের সেবায়, দেশের কাজে লাগুন।” কোন কোন লোকের কথা জানা আছে, র্যাহার। নিজে বিষয়সম্পত্তি করিয়াছিলেন বা করিতেছেন, অথচ যাহাদের মুখ হইতে অপরকে ত্যাগী হইবার উপদেশ ও উত্তেজনা বাহির হইয়াছে। এরূপ উপদেশ ও উত্তেজনা ব্যর্থ হইবেই, এমন বলা যায় না ; কিন্তু প্রবাসী—চৈত্র, ১৭২১ - [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড いヘ/・ヘ ヘ_ヘ・て、ヘヘヘヘ・・ *v میرا **ر নিস্ফল হইলে আশ্চৰ্য্যাম্বিত হওয়া উচিত নয় । গোখলে নিজে ত্যাগী ছিলেন ; তাহার দাবী গ্রাহ হইবে। কিন্তু আমরা আমাদের মধ্য হইতে ২১ জনকে দিয়াই কি দায়মুক্ত হইব ? তাহা হুইবার নয় ; আমুর যে সবাই ঋণী।” আমাদের সকলেরই কতকটা শক্তি, সমর, উপার্জন, সম্পত্তি পুর্ণমাত্রায় সাক্ষাৎভাবে সেবায় নিয়োজিত হওয়া চাই । বাকী যাহা নিজের জন্ত বা পরিবারের জন্য ব্যয়িত হইবে, তাহাও পরোক্ষভাবে সেবার জন্য হওয়া উচিত । বলা বাহুল্য ধাহাতে কাহারও নিজের বা পরিবারবর্গের বা অপরের মমুখ্যত্ব কমে, এরূপ কিছু করা অকৰ্ত্তব্য । আমার স্বাস্থ্য সামর্থ্য রক্ষার জন্ত, মনকে প্রফুল্ল ও উৎসাহী রাখিবার জন্য যে শক্তি সময় ও অর্থ ব্যয় করিব, তাহ সেবারই জন্য। সন্তানদের শিক্ষা স্বাস্থ্যরক্ষাদির জন্ত যাহা করিব, তাহা তাহুদিগকে সমর্থ সেবক করিবার জন্য । যদি সুন্দর গৃহনিৰ্ম্মাণ করি, তাহা কেবল আরামে থাকিবার জন্য নয়, স্বদেশের শোভাবুদ্ধি, স্বাস্থ্যরক্ষা, এবং শিল্পোন্নতির জন্তও কfরব । এইসকল দৃষ্টান্ত হইতে আমাদের আদর্শের আভাস পাওয়া যাইবে । আদর্শকে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবে পরিণত করা দুঃসাধ্য, হয় ত অসাধ্য। কিন্তু উহা মনের মধ্যে থাকিলে মাত্ম্য ক্ষুদ্র সংকীর্ণ উদ্দেশ্যের দাস হয় না। দেশের ব্যবস্থাপক সভাগুলিদ্বার। আমাদের মতামুযায়ী কোন আইন হয় না, মতের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে অনেক ষ্যবস্থা হর ; দেশের লোক যে থাঞ্জন ট্যাক্স দেয়, তাহা স্থাপিত হওয়া বা তাহার হ্রাস বৃদ্ধি আমাদের মতের অপেক্ষ রাখে না, আমাদের অমত হইলেও ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীদের মত পূর্ণমাত্রায় বজায় থাকে। রাজস্ব fক কি বাবতে কি কি উদ্দেশ্যে কি পরিমাণে খরচ হইবে, তাহ বিবেচনার জন্য ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করা হয় বটে, কিন্তু বেসরকারী সভ্যেরা যতই তর্ক করুন, যুক্তি দেখান, রাজস্বসচিবের নিৰ্দ্ধারণ টলে না ! অ প্রধান অবাস্তর বিষয়ে সামান্য পরিবর্তন কদাচিৎ হয় বটে । সুতরাং ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হইয়া সরকারী সভ্যদের মত খণ্ডনের জঙ্ক অধ্যয়ন করিয়া প্রস্তুত হওরা তাহার জস্ত জীবনপাত করা, একদিক দিয়া শক্তির, ব্যর্থপ্রয়োগ,