পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] " ক্রমশঃ বন্দরের হইতে লাগিলাম। দুর হইতে সমুদ্রের উপরিস্থিত নীল উন্মুক্ত আকাশ দেখিতে পাইলাম। তখনও সমুদ্র দেখা গেল না। চারিদিকে বড় বড় খেজুর গাছ এবং আখের ক্ষেত। ভূমি ও যেন কিছু বেশী উৰ্ব্বর। 镜 ষ্টেসুনে আসিয়া পৌছিলাম। বন্দর কাইংরা নগরেরই অম্বরূপ পোর্ট সৈয়দ অপেক্ষা বৃহত্তর সহর । ভূমধ্যসাগরের কুলে একট। ফরাসী হাটেণ্ডে আড়। লইলাম। গৃহ হইতে দেখা যায় যেন নীল সমুদ্র গর্জন করিতে করিতে কুলবাসীকে কামড়াইতে আসিতেছে। সন্ধ্যাকালে নগর দেখিতে বাহির হইলাম । সমস্ত সহরটাই নুতন, মহম্মদ আলির আমলে নিৰ্ম্মিত। মুসলমান পাড়া ও বিদেশীয় টোলা দুইই নূতন । উভয়ই ১০০ বৎসরের মধ্যে গড়িয়া উঠিয়াছে । কারে-নগরে প্রাচীনের স্মৃতি বিশেষরূপেই জড়িত। ওখানে প্রাচীনের পাশ্বে নবীন মহাল্ল। অবস্থিত এবং পুরাতন স্তরের উপর নুতন স্তরের বিষ্ঠাস দেখিয়াছি। একসঙ্গে মধ্যযুগের কথা এবং আধুনিক কাণের প্রভাব বুঝিতে পারা যায়। কিন্তু আলেক্জাদিয়ার সমস্তই আধুনিক —সমস্তই পাশ্চাত্য ধরণের । মুসলমানী বাড়ীঘর খুব অল্প । মসজিদ, কবর, গম্বুজ, মিনারেট ইত্যাদির সংখ্যা বেশ নয় । দেখিয়া মুসলমান রাষ্ট্রের বন্দর বা রাজধানী বলিয়া মনে হয় না । 习豫 কাইরোতে যতখানি ইউরোপ দেখিয়াছি এখানে তাহা অপেক্ষা বেশ ইউরোপ দেখিতে পাইতেছি । ই উরোপেই পদাপূণ করিয়াছি বলিতে পারি। বিলাস, ভোগ, কাফি-গৃহ, হোটেল, রাস্তাঘাট, দোকান ইত্যাদি সবই কাইরোর পাশ্চাত্য মহাল্লার সমকক্ষ, কোন অংশে হীন নয়—বরং বেশী গ ইউরোপীয় জনগণের সংথ্যা অত্যধিক । কোন কোন গাড়োয়ান পর্য্যন্ত ইউরোপীয় লোক । মিশরে অাছি কি নুতন কোন দেশে পদাপণ করিয়াছি বুঝিতে সময় লাগে । কলিকাতা ও বোম্বাই দেখিয়া কাইরে এবং আলেক্জাস্ক্রিয়ার ধারণা কঠিন । রাস্তাগুলি প্রশস্ত ও বাধীন—তকৃতকৃ ঝকৃঝকৃ কল্পি করা কবরের দেশে দিন পনর Ꮼ8Ꮔ ہم x * . . . . তেছে। প্রাসাদতুল্য অট্টালিকামূহ পথের দুই ধারে আধুনিক রীতিতে সাজান | }}হ-নিৰ্ম্মাণের কৌশল আগাগোড়া পাশ্চাত্য ধরণের। hহরের মধ্যস্থলে প্রকাণ্ড লম্বী চৌরাস্তা। কেন্দ্রস্থলে মহম্মদ আলির একটি প্রতিমুক্তি দণ্ডায়মান। ইহা ধাতুনিৰ্ম্মিত। অত্যুচ্চ প্রস্তরমঞ্চের উপথ অবস্থিত। ফরাসী শিল্পী এই কারুকার্য্যের বর্তা • কাইরোর স্তায় এখানেও খুব শীত পড়িয়াছে । ভূমধ্যসাগরের প্রবল বায়ু গৃহমধ্যে প্রবেশ করিতেছে । কন্‌ কনে ঠাণ্ডা অনুভব করতেছি । সকলের মুখেই শীতের কথা শুনিতে পাই । গ্রীষ্মকালে এত শত ৩০ ৪০ বৎসরের ভিতর কথনও মিশরে পড়ে নাই । মিশরে দুই সপ্তাহ কাটাইলাম । মোটের উপর ৫০ ০ < টাকা খরচ হইল । তাহা ছাড়া লোম্বাই হইতে পোর্ট সৈয়দ পর্যন্ত ভাড়াও লাগিয়াছে। অপশু যদি মিশরে ৪৫ মাস বাস করিয়া লেখাপড়া করিবার ইচ্ছ। থাকে তাহ হইলে এত খরচ পড়িবে না। কারণ তাহা হইলে ধীরে ধীরে সকল জিনিষ দেখা যাইতে পরিবে, সময় ভাবে তাড়াহুড়া করিতে হইবে না ; তাহাতে ঘোড়ার গাড়ীর জন্য কম খরচ লাগিবে ; প্রদর্শকনিয়োগের প্রয়োজন হইবে না । অধিকন্তু বড় বড় হোটেলে না থাকিলেও চলিবে । সস্তায় বাড়ী ভাড়া করিয়া বাস করা সম্ভব । কাইপ্লোতে বাড়ী-ভাড়ার দর কলিকা তার সমান। মাসিক ৭০।৭৫২ টাকায় মধ্যম শ্রেণীর গৃহ পাওয়া যায় । থাওয়ার ব্যবস্থা নিজেই করিয়া লওয়া যাইতে পারে। কাইরে হইতে মফঃস্বলে যাইতে হইলে কাইরোবাসী বন্ধু গণের সাহায্যে সেইসকল স্থানে হোটেল খুজিয়া লওয়া যাইবে । অধিকন্তু, মিশরীয়, ইউরোপীয় ও আমেরিকান প্রত্ন তত্ত্ববিদৃগণের সঙ্গে আলাপ পরিচয়ও সহজসাধ্য হইবে । কাইরোর বিদ্যালয়সমূহে, জননায়কগণের ভবনে এবং মিউজিয়ামন্বয়ে দুই এক সপ্তাহ ষাতায়াত করিলেই যথেষ্ট সহানুভূতি পাওয়া যাইবে । মিশরীয়েরা ভারতীয়দিগকে আনন্দের সচিতই সাহায্য করিতে প্রস্তুত । * কম সময়ে বেশী দেখিতে চেষ্টা করিয়াছি । এজন্য বড় বড় হোটেলে বাস করা আবশ্যক হইয়াছে। কারণ