৬৬৬ ۹ ها ه ما تنها برای برای تمام صه 球 বড়বাবুর শ্বশুরবাড়ীর আত্মীয় যে উকীল আসিয়াধিলন, তিনি বলিলেন--বিষয়ের যথন এরূপ অবস্থা; তথন উভয় পক্ষের মঙ্গলের জন্ত আমি এই প্রস্তাব করিে કરુિં ત્ર উপস্থিত কিছুদিনের জন্য সমস্ত বিষয় কোন বিচক্ষণ ব্যক্তির ইস্তে স্তস্ত থাকুক, তিনি বিষয়ের অtয় হইতে নির্দিষ্ট যে বৃত্তি দিবেন তাহতেই এই দুই পক্ষের সংসার । চলিবে । আয়ের অবশিষ্ট অংশ হইতে ঋণ পরিশোধ হইবে। পরে যখন বিষয় ঋণমুক্ত হইবে, তখন বড়পাবুব পুত্ৰগণ ও নরেন্দ্র বিষয় ভাগ করিয়া লইবেন । নৃত্যকালী এ ব্যবস্থায় কিছুতে সন্মত হইলেন না। তিনি বলিলেন আমি এতদিন নরেঞ্জকে লইয়। অতি সামান্তভাবে দিন কাটষ্টয়াছি । আমার অংশের যে অtয় —আমাদের উভয়ের সমস্ত খরচপত্র সম্পন্ন হইতে তাহার অৰ্দ্ধেক ও লাগে নাই । আমার একমাত্র সস্তানের ভাত পৈতা পৰ্য্যন্ত ভাগুর বাড়ীতে দেণু নাই, খরচ বেশী হইবে বলিয়। বিষয়ের উপর এত দেন হইবার কোন কারণ ছিল না। আমার শ্বশুরের এত নগদ টাকা ছিল তাহার কিছুই দেখিতেছি না। অথচ বিনা গরণে বিষয় দেনায় ডুবিয়া আছে । আমি এ দেনার অংশ লইতে পারিব না। আমার বিষয়, হয় ভাগ করিয়৷ দেওয়া হোক-বড়বাবুর অংশ হইতে দেন। শোধ হইবে, নতুবা র্যাহারা এখন মধ্যস্থ হইয়া আসিয়াছেন তাহারা আদালতে আমায় বুঝাইয়া দিবেন কেন এত দেন হইল । মধ্যস্থগণ আর একবার তাহাকে বুঝাইবার চেষ্ট৷ করিলেন। নৃত্যকালী বলিলেন, আমি ত মরিতে বসিয়াছি কিন্তু তবু এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করিয়া মরিব । আমার ধনবল নাই, লোকবল নাই ; আমার স স্থান বালক, কিছুই জানে না—আমার যে পরিণাম কি হইবে তাহ। ত বুঝিতেই পারিতেছি। তবু আমি ইহা নীরবে সহ করিব না । আমার অদৃষ্টে যাহা আছে হুইবে । যথাসময়ে উভয়পক্ষে মোকদম উপস্থিত হইল। কিন্তু কিরণকে লইয়া নৃত্যকালীর বিপদ হইল। তাহার বয়স ১৪ বৎসর উত্তীর্ণ হইতে যায়, বিবাহের কোন সুবিধা হইল ন। এ বংশের মেয়েদের কখন বিবাহ দিয়া বাড়ীর বাহির করিয়া দেওয়া রীতি নাই, অথচ বড়বাবু কিরণের প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড জন্য টা#াকড়ি কিছুই যান নাই, নৃত্যকালীর নিজের অবস্থাও এখন মন্দ। এ অবস্থায় কিরূপে পুৰ্ব্ব প্রথামত সকল ভার লইয়। নিজে কিরণের বিবাহ দেন ইহাই মহা সমস্তার বিষয় হইয়া দাড়াইল । শেষে তিনি এমন একটি পাত্র খুজিতে লাগিলেন, যে চিরকাল তাহদেরই নিকট থাকিবে অথচ একবারে সম্পূর্ণরূপে র্ত্যহাদের উপর নির্ভর না করিয়া নিজে উপার্জন করিতে পারবে ; তাহা হইলে বংশের মধও থাকে অর্থাৎ কিরণ চিরদিন পিতৃগৃহেই থাকে, এবং এখন কিরণের ও তাছার স্বামীর ভার তাহদের বহিতে হয় না। তারপর তাহাদের মোব দম। চুকিয় গেলে কিরণ তfগর পিতার অংশ হইতে স্তায়ানুসারে কিছু ত পাইলেই, আর তখন তিনিও সাধ্যাকুসাবে তাঁহাকে সাহায্য করবেন । বৎসর বিধি এরূপ পাত্র খুজিতে খুজিতে অবশেষে যখন তিনি কিরণের বিবাহের আশা ত্যাগ করিবার উপক্রম করিয়াছেন এমন সময় হীরেন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য পুৰ্ব্বকথিত সুপাত্রের সন্ধান আনিয়া উপস্থিত করিলেন। \○ সেদিন সন্ধ্যার প্রাক্কালে কিশোরী কিরণের লজ্জারক্ত সুন্দর মুখখানি দেখিয়া ললিত একেবারে মুগ্ধ হইয়া গেল । কন্যাপক্ষ বিবাহের যে যে সর্ত করিলেন সে নিৰ্ব্বিবাদে সমস্ত মানিয়া লইল। এই তরুণ যুবকের অনিন্দ সুকুমার রূপ দেখিয়া গৃহিণীর অন্তরেও বাৎসল্যরসের সঞ্চার হইল। সুতরাং উভয় পক্ষেই বিবাহের আর কোন বাধা রহিল না । হীরেন্দ্র ভট্টাচার্য্য শুভদিন দেখিয়। লণিতের সহিত কিরণের বিবাহ দিলেন । গৃহিণী স্নেহে গৰ্ব্বে উৎফুল্ল হইয়া সকলকে বলিলেন—আমাদের যেমন মেয়ে তেমনি জামাই হয়েছে ! বস্তুতঃ এই যুবকটি অল্পদিনের মধ্যেই এই অপরিচিত স্থানের সকলেরই একান্ত প্রিয় হইয়া উঠিল। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় ও মৃত্যকালী তাহার বিনয়নম্র ব্যবহারে মুগ্ধ ; নরেন ত তার সঙ্গ একতিল ছাড়িতে চায় না, স্নান অtহার বিশ্রাম ভ্রমণ মাছধরা সকল সময়েই ললিতকে সঙ্গে না রাখিলে কিছুতেই তার চলে না । গ্রামের যুবকবৃন্দ এই কলিকাতার ছেলেটির অসাধারণ বাকৃপটুতায়, ও মধুর
পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০২
অবয়ব