পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬ হয় । সমগ্র জীবনে তাহাকে যেরূপ ভাবে চলিতে হইবে শিক্ষার অবস্থায় সে যেন তাহ। আচরণ করিয়া, অমুষ্ঠান করিয়া, কার্য্যত, তাহ। অভ্যাস করিয়া যোগ্য তালাভ করিতে পারে । এষ্ট জন্য সেইরূপ প্রণালী চাই, যাহাঁতে তাহাকে শিক্ষার সহিত আচরণ শিখাইতে পারা যায়। ইহা না করি.ত পরিলে শিক্ষা কখনে মুফলপ্রস্থ হইতে পারে না । ইহা দৈবী শিক্ষ হইতে পারে ন}, আমুরী হইয় উঠে । ভারতের মহর্ষিগণ দিব্য চক্ষুতে ইহু। দেখিয়া বুঝিয়া বিচার করিয়া যাহা কৰ্ত্তব্য করিয়া গিয়|ছেন। তাহার। যাহা করিয়াছেন, অtঙ্গ সমগ্র জগতে সুসভ্য জাতিরাও তাহারই দিকে উন্মুখ হইয়। উঠিয়াছেন ও তদনুসারে চলিতেছেন । আর্য্য মহর্ষিগণের এই সুচিন্তিত শিক্ষাপদ্ধতির নাম হইতেছে ব্ৰ হ্ম চ র্য্য। বেদরুপ সমস্ত গুগলরাশির নাম ব্রহ্ম, সেই ব্ৰহ্মকে লাভ করিবার জন্ঠ যে ব্ৰত আচরণ, তাহারই নাম ব্রহ্মচৰ্য্য। প্রাচীন ভারতবাসীরা সস্তানগণকে “লেখা পড়া” শিখাইতে পাঠাইতেন નૈીં, প্তাহারা পাঠাইতেন ব্ৰ হ্ম চ র্য্য পালন করাইবার জন্য। তাহারা,জানিতেন শিক্ষা অপেক্ষ চরিত্রের মর্যাদাই অধিক । এই জন্য যাহাতে চরিত্র ভাগ হয়. বিদ্যার্থ সদাচারপরায়ণ হয়, সমগ্রজীবনে তাহার আচরণ সুন্দর হয়, ইহাই বুঝাইবার জষ্ঠ তাহার ব্ৰহ্ম-চৰ্ম্ম বলিয়াছেন, তাহার ব্ৰহ্ম-অধ্যক্সল অথবা ব্ৰহ্ম-পাচ বলেন নাই। আর তাহার। সেইরূপ লোকেরই নিকট পাঠাইতেন যিনি সেই বিদ্যার্থকে অনুরূপ আচরণ শিক্ষা দিতে পারিতেন,—যাহ। তাহার সমগ্ৰঞ্জীবনের সম্বল হইলে । এই জন্য ইহার নাম বৈদিক সাহিত্য সমূহে আ চার্য্য বলা হইয়াছে। যে হেতু তিনি র্তাহার বিদ্যার্থীকে “আচারং গ্রহয়তি”, স্বয়ং আচরণ করিয়া কাৰ্য্যত দেখাষ্টয়া দিয়া আচার শিক্ষা দিতেন, সেই জন্যই তিনি আ চা র্য্য। বেদ ও অন্যান্য শাস্ত্রে এই কথাই ভূয়োভূয়ঃ বলা হইয়াছে—আচার্য্যে৷ ব্ৰহ্মচর্য্যেণ ব্ৰহ্মচারিণমিস্থতে।” এই রূপেই গুরুগৃহে গমন করিয়। সৰ্ব্বদ গুরুর নিকট বাস করিয়া, ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করিয়া, সদাচারের সহিত বিদ্যা লাভ কুরিয়া, বিদ্যার্থীরা মানুষ হইয়া উঠিত, দৈবী সম্পদে অনুপ্রাণিত হইয়া উঠিত ; দেশে শাস্তি বিরাজ করিত, সৰ্ব্বত্র কল্যাণ দেথা দিত । প্রবাসী—কান্তিক, >やペ> [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড আদর্শ গৃহস্থ হইয়। তাহারা জীবন যাপন করিত, ভোগকে সৰ্ব্বস্ব মনে না করিয়া তাহারা ত্যাগকেই শ্রেষ্ঠ বণিয় মনে করিত, তাহার প্রেয়কে পরিক্ত্যাগ করিয়া শ্রেয়কে আলিঙ্গন করিত। এইরূপ গৃহস্থকেই লক্ষ্য করিয়া মই বলিয়াছেন – “ব্রহ্মনিষ্ঠে। গৃহস্থ স্তাং তত্ত্বজ্ঞানপরায়ণঃ” । কেবল সংস্কৃত শিক্ষার্থী নহে সমস্ত শিক্ষার্থীকেই যদি এইরূপই আদর্শ গৃহস্থ আদর্শ পেীর জনপদ হইয়া জীবন যাপন করিতে হয়, তাহ। হইণে তাহাদিগকে উদাম উচ্ছ,খল বালকগণের কবল হইতে দূরে রাখিয়া এইরূপে গুরুগৃহে আচাৰ্য্য উপাধ্যায়ের সহিত সৰ্ব্বদা একত্র বাস করিয়৷ ঘ৩দুর সম্ভব হিন্দুর সনাতন পবিএ আদশ ও নিয়মানুসারে ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করিতে হইলে । তাহকে যদি নানাবিধ কদভ্যাসে ও কুসংসগে অকালে মৃত্যুকবলে পতিত না হইয়। স্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন লাভ করিতে হয়, তাহা হইলে ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করিতে হইবে। আবার যদি ভারতবর্ষকে পুণ্য পবিত্র ধৰ্ম্মভাবে দৈবভাবে অনুপ্রাণিত দেখিতে ইচ্ছ। হয়, তবে এই ব্ৰহ্মচর্ষ্যই পালন করিতে হইবে—“স কাষ্ঠা সা পরা গতিঃ: নাঙ্গঃ পন্থা বিদ্যতে হয়নায়।” স্বহাই আমাদিগকে করিতে হইবে । ইহারই জন্য আমাদের গুরুগৃহের প্রয়োজন ; অপর আকাঙ্ক্ষ। আমাদের নাই । বিঘ্ন ত হইবেই ; কিন্তু ভগবান প্রসন্ন হউন, আমাদের এই উদেণ্ড যেন সম্পূৰ্ণ হয়। ঐবিধুশেখর ভট্টাচাৰ্য্য । কষ্টিপাথর ম। ম৷ হিংসীঃ [ মানুষের সকল প্রার্থনীর মধ্যে এই যে একটি প্রার্থন দেশে দেশে BB BBBBB 0 BBS BBBBLSK D SDDELS SBBSSBB BBS কোরো না, আমাকে মৃত্যু থেকে রক্ষণ কর—এ এক আশ্চর্য্য ব্যাপার। যে শারীরিক মৃত্যু ৩ার নাশ্চত খটুৰে তার থেকে রক্ষা পাবার জন্ত মাম্য প্রার্থনা করিতে পারে না, কারণ এমন অনর্থক প্রাথন ক’রে ৩ার কোন লাভ নেহ । এমন যদি হ’ত যে তার শরীর চিরকাল ধাচত, তা হ’লেও সেই বিনাশ থেকে কেউ রক্ষা করতে পারত না । কারণ সে যে প্রতি মুহূর্তের বিণাশ । সে যে কত একশের মৃত্যু-একটার পর একটা আমাদের জীবনের উপর আস্ছে । ষে গগুী দ্বিরে আমরা জীবনকে