পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যঃ ] তাহাকে ‘বাতাহিয়া’ অর্থাৎ পাগলী-নামে খ্যাত করিয়া রাখিয়াছিল। সে-কথাটা এই লক্ষ্মীছাড়া সবজান্ত৷ ছেলেটাও ধে জানে এটা তাহার তেমন রুচিকর বলিয়া বোধ হইল না । নেহাৎ অপরাধীটির মত বেচার পূর্ণায়মান কলসীটির পানে চাহিয়া বহিল। ক্ষণেক পরে—বোধ হয় একটু সাহস সঞ্চয় করিয়া—এই বোঝার মত জড়তাটা দৃঢ় করিবার জন্য বলিল, “যদি এতই জানো ‘মুন্না কাক্কা'কে, ত ওদিকে বড় একটা ধাও না যে ?” ছেলেটা মেয়েটার পানে চাহিয়াছিল ; ঠোঁট টিপিয়া একটু হাসিয়া বলিল, “কি কতে যাবে। আর ; মুন্নাকাক্কাকে দেখলে ত আর পেট ভাবে না। যাকে দেখলে কিছু ক্ষিদে মেটে, তা’কে ত সামনে দেখতেই পাচ্ছি—” સ્વ মেয়েটা একেবারে সপ্তমে চড়িয়া উঠিল । ক্রোধের একট। দীর্ঘ f%શું “ক”—টানিয়া কলসী ছাড়িয়া খাড়া ইষ্টয় দাড়াইল এবং তাহার কৈশোর-অবসানের কটাক্ষে ধতটা দাহ ছিল সমস্ত দিয়া ছেলেটার পানে আপলক-নেমে চাহিয়া রহিল । ছেলেটা অবিচলিতই রহিল । সকৌতুক-দৃষ্টিতে সাঙ্গনীর অনলবর্ষী নয়নের দিকে চাহিয়৷ বলিল, “তোমার ধে সবচ উছলে পড়ছে—তোমার রাগ—কলসীতে জল— আর আর—থাকৃ—সর, আমায় ভরে নিতে

    • ) همگی

মেয়েটার ঠোট-দুটি র্কাপিয়া উঠিল । বাড়ু মারা’ হইতে আরম্ভ করিয়া যতগুলি গালাগাল একদমে মনে পড়িল, সবগুলি অনর্গল আওড়াইয়া সে কলসীটাকে বাক কঁাকে সজোরে বসাইয়া দিল এবং ঝাকানির চোটে জল ছিটাইতে ছিটাইতে গৃহের দিকে চলিল i ফণা ধরিলেই সাপকে মানায় । এই প্রচণ্ড বালিকার সহজ সৌন্দৰ্য্য ছেলেটা বোধ হয় উপভোগ করিতেছিল ; সে থানিকটা চলিয়া গেলে গল। উচাইয়া কহিল, “তোমার নামটা কি বলে’ খাণ্ড, এ-সব গালাগালির জন্যে “মুন্নাকাক্কার কাছে নালিস করতে হবে । ‘পাগলী' বললে ত আবার একচোট ক্ষেপে উঠবে ?” लj8 “কলতলার কাব্য” 이 মেটে। আহত ব্যাঘ্রীর মত দৃপ্তভাবে ঘুরিয়া দাড়াইল । রক্তিম মুখটা দুলাইয়া দুলাইয়ু বলিল, “করিস্থ নালিস মুন্নাকাকার কাছে, আমি ভয় কkিনে । বালস ‘লছিয়া আমায় ঝাড়, মেরেছে, লাথি মেরেছে, আর খড়ের মুড়ো দিয়ে আমার বছরে মুখটা পুড়িয়ে দিয়েছে ; বলিস্—একশো-বার বলিস।” সে আবার সবেগে ঘুরিয়৷ পূৰ্ব্ববং চলিল । ( २ ) "মুম্নাকাঙ্কার” কাছে কোন পক্ষেরই নালিস্ রুজু হুইল না, এবং এই অপ্রিয় ঘটনার পর ইহঁতে দুইজনে যে, মুখ দেখা-দেখি কি কথা-বাৰ্ত্তা বন্ধ হইল এমনও নয়। বর্ষ। আসিয়া পড়ায় দেখা-শুনাট অবহু প্রতিদিনহ ঘটিয়া উঠিত না । যেদিন জল নামিত, সজোরে, লছিয়ার সেদিন প্রায়ই আসা হইত না । মুম্বাই ভজিয়া ভিাজয় কলসী ভরিয়া লইয়া যাইত। ছেলেট। নিজের নিরিবিলি দেFচালা হইতে ব্যাপারট। দেখিত ; আস্তে-আঙ্কে ভিতরে যাইয়া কলসী দুইটা নাড়িয়া দেখিত—যদি সামান্তও জলের শব্দ ইহঁত, বলিত, “আজ বাসিয়ে পানিসে চলি ; আরে কোন ভিঙে একটুক পানি লাগি ।” যদি কলসীট একবারেই ঢন ৮ন করত, বাধ্য হইয়া ভিজিতে ভিজিতে ধিক কি আধ। ভাগ ভরিয়া চলিয়া আসিত ; এবং মুখখানি বর্ষার মেঘের মতই করিয়া হাত-প। গুটাহয়া বসিয়া থাকিত । বাiহর হইতে যত দুর বোঝা ধায় এরূপ লছিয়ার মনে কোন ভাবের ঢেউ তুলিত না । মলিন অবস্থা 한 কারণ, তাহার মনটা ছিল স্বভাবতঃ আত্মস্থ-বাহিরের সহিত তাহার আদান-প্রধান ছিল অল্পই। নিজের কয়েকট খেয়াগের নিখুঢ় সাংচয্যের মধ্যে সে বেশ নিশ্চিন্তভাবে তাহার দিন গুণ কাটাহঁতেছিল । তাছার বয়সের সহিত সেগুলির কোন সামঞ্জস্য আছে কি না, এ সব কথা ভাবিয়া দেখিবার তাহার অবসর বা চৈতন্য ছিল না ; এবং লোকে ধদি কোন গধূমিল আবিষ্কার করিয়া তাহাকে “ব ভাইয়া” আথ্য দেওয়া উপযুক্ত বিবেচনা করিয়! থাকে ত “ গিয়া—সে গ্রাহ কল্পিত না । 錄