পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মীজি *firstsa, “Religion has been travestied,” অর্থাৎ ধর্থের আসল অংশের জায়গায় বাজে জিনিষকেই ধর্থের সার অংশ বলিয়া ঘোষণা করা এবং তদনুসারে কাজ করা হইয়াছে। এইরূপ ছঃখ করাও যুক্তিসঙ্গত নহে। কারণ, তাহার ও তাহার সহকৰ্ম্মীদের তাজের ফলেই সাম্প্রদায়িক গোড়ামি জাগিয়াছে, এবং গোড়ামি,ষে অবান্তর ও আয়ুবদিক জিনিষকে সার পদার্থ মনে করে, তাহা সৰ্ব্বত্র স্ববিদিত। হিন্দু-মুসলমানের পরস্পর সম্বন্ধ মহাত্মাজি বলিতেছেন, যে, খুব বেশ-সংখ্যক মুসলমানদের মধ্যে অল্প সংখ্যক হিন্দু এবং খুব বেশী সংখ্যক হিন্দুর মধ্যে অল্প-সংখ্যক মুসলমান নিৰ্ব্বিয়ে ও আত্মসম্মান বজায় রাখিয়া বাস করিতে পারে, যদি মুসলমানরা হিন্দুদিগকে ও হিন্দুরা মুসলমানদিগকে বন্ধু ও সমান বলিয়া গ্রহণ করিতে ও তদ্রপ আচরণ করিতে ইচ্ছুক হয় ; অন্ত কোন সৰ্ত্তে বা অবস্থায় ইহা সম্ভব নহে। ইহা অতি সত্য কথা । কিন্তু সৰ্ব্ববিধ শাস্ত্রাচার, লোকাচার ও দেশাচারে নিষ্ঠাবান গোড়া হিন্দু বা গোড়া মুসলমান, কোন সম্প্রদায়ই “জাগ্ৰত” অবস্থায় অপর সম্প্রদায়ের লোকদিগকে নিজেদের বন্ধু বা সমান মনে করেন না, করিতে পারেন না। “জাগ্ৰত” গোড়া মুসলমান হিন্দুকে কাফের বুৎপরপ্ত, বিজিত গোলামের জাতি মনে করিয়া অবজ্ঞা করিবেন, বিদ্বেষের চক্ষেও দেখিতে পারেন, "জাগ্রত" গোড়া হিন্দু মুসলমানকে অস্পৃশ্ব ও অনাচরণীয় স্বাধীনতানাশী মেচ্ছ বলিয়া অবজ্ঞা করিবেন, বিদ্বেষের চক্ষেও দেখিতে পারেন। গোড়ামি বিনষ্ট না হইলে “জাগ্ৰত” হিন্দু-মুসলমান পরস্পরকে বন্ধু ও সমান মনে করিতে পারেন না । ইহা অপ্রিয় সত্য, কিন্তু খাটি-সত্য । পাহারাওয়ালার ভয়ে, সামাজিকতার খাতিরে, বা এতদ্বিধ অন্ত কারণে, "জাগ্ৰত” গোড়ার পরম্পরের পার্থক্যসহিষ্ণু, হইsা সাধারণতঃ শাস্তিতে বাস করিতে পারে ; কিন্তু যখন এই কারণগুলি থাকে না, কিম্বা উত্তেজনাবশতঃ উহাদের প্রভাব লুপ্ত হয়, তখন উভয় সম্প্রদায়ের "জাগ্রত" &&ò গোড়ামি নিজ-নিজ ভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তি ধারণ করে। অতএব ধাহারা হিন্দু মুসলমানের খাটি, আন্তরিক, ও স্থায়ী সম্ভাৰ ও মিলন চান,তাহারা গোড়ামির বিনাশ যাহাতে হয় সৰ্ব্বপ্রত্বে তাহার উপায় জহুসন্ধান ও অবলম্বন করুন। খৃষ্টীয় জগতে আগে গোড়া খৃষ্টিয়ানেরা ধৰ্ম্মমতের পার্থক্যের জন্য মানুষকে খোটায়, লোহার শিকলে বাধিয়া পুড়াইয়া মারিত, ফুটন্ত তেলের কড়ায় ভাজিত, এবং আরও নানা রকমে পৈশাচিক নিষ্ঠুরতা করিত। এখন তাহ করে না। এই পরিবর্তনের কারণ অনুসন্ধান করা সহজ। সেই কারণ আমাদের দেশে বিদ্যমান থাকিয়া ভঙ্গার স্বাভাবিক ফল উৎপাদন করিলেই গোড়ামি তিরোহিত হইবে । আমাদের রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য भशंज्रांछि टैिकहे दणिब्रां८छ्न, cय, षड नैज गछब সাম্প্রদায়িক বা শ্রেণীগত প্রতিনিধিনিৰ্ব্বাচন-প্রথা দূর করিয়া, সম্মিলিতভাবে সকল সম্প্রদায়ের ও শ্রেণীর লোক-দের দ্বারা যোগ্যতম প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন-প্রথা প্রবর্তিত করা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত । সরকারী চাকরীও, র্তাহার মতে সম্প্রদায় বা শ্রেণী-নির্বিশেযে, যোগ্যতম পুরুষ ও নারীদেরই পাওয়া উচিত। তিনি বলেন, যে, সেই লক্ষ্যস্থলে যতদিন পৌছা না যাইতেছে, যতদিন সাম্প্রদায়িক ঈর্ষ্যা-আদি দূর না হইতেছে, ততদিন সংখ্যায় নূ্যন সন্ধিঞ্চচিত্ত সম্প্রদায়ের লোকদের অভিলাষ-অম্বুসারে কাজ করিতে হইবে, এবং সংখ্যায় র্যাহারা বেশী তাহদিগকে স্বাৰ্থত্যাগের দৃষ্টাস্ত দেখাইতে হইবে । এই মত যুক্তি-সঙ্গত। . . ইহার উপর আর-কয়েকট কথা যোগ করা দরকার। যাহাতে সাম্প্রদায়িক ও শ্রেণীগত নিৰ্ব্বাচন এবং সাম্প্রদায়িক হিসাবে সরকারী পদ-বন্টন কোন-একটা নির্দিষ্ট কালের মধ্যে তি হইয়া সম্প্রদায় ও শ্রেণী-নিৰ্ব্বিশেষে যোগ্যতম লোকের দ্বারাই সৰ্ব্ববিধ রাষ্ট্রীয়-কাৰ্য্য সম্পাদনের আদেশ ষথাসম্ভব শীঘ্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহার ব্যবস্থা হওয়া আবখ্যক । ইহা কেবল সংখ্যাভূমিষ্ঠ সম্প্রদায়ের স্বার্থ