পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] জাত না কি জাত ছয়ে ধৰ্ম্ম-পুণ্যি ত করে’ এলেন খুব । হরিবোল ! হরিবোল ! বাকাণ্ডাম ! মদন-মোহন ! 肇 * * 豪 輩 সে-রাত্রিটা কোনও-রকমে কাটিল, কিন্তু তাহার পরদিন বড় একটা মজার ব্যাপার ঘটিয়া গেল । সকালে উঠিয়াই অজিতকে সঙ্গে লইয়। রমেশ সেই উকিলের বাড়ীতে সব ঠিক করিয়া দিয়া আসিল । দুপুরে সে একবার খাইবার ছুটি পাইবে, তাহার পর বৈকাল পৰ্য্যস্ত কাজ করিয়া দলিল নকল শেষ হইয়া গেলেই তিনি তাহার প্রাপ্য চুকাইয়া দিবেন। বেলা এগারোটার সময় ছুটি পাইয়া অজিত ‘হোষ্টেলে’ স্নানাহার করিল, পরে আবার ছুটিল। পথে অতসীর সঙ্গে দেখা। সে তখন রাস্তার ধারে একটা ডিষ্টি বিনের’ পাশে বসিয়া গৃহস্থের ফেলিয়া-দেওয়া আবর্জনার ভিতর হইতে বাছিয়া-বাছিয়া কয়লা কুড়াইতেছিল । অজিত জিজ্ঞাসা করিল, তোর মা কেমন আছে, অতসী ? সহস। মুখ তুলিয়া অজিতকে দেখিয়াই অতসীর মুখখানা একবার আননে উজ্জল হইয়া উঠিল, কিন্তু পরক্ষণেই সে অত্যন্ত কাতর কণ্ঠে কহিল, মা আজ আর উঠতে পারেনি বাপু ! —হ্য। বাবু, ওই ধে সরকারী হাসপাতালটায় ওর ওষুধ পাওয়া যায় না ? তা হ’লে আমি একবার যাই । এই কথাটা জিজ্ঞাসা করিবার জন্যই যেন সে এই বাবুটিকে খ জিতেছিল,---কথাটা বলিয়া উত্তরের আশায় সে স্থা করিয়া অজিতের মুখের পামে তাকাইয়া রহিল। অজিত কি যে বলিবে কিছুই বুঝিতে পারিল না, বলিল, জানি না, তবে যাস একবার, দিতেও পারে। ও কি কুড়োচ্ছিল, অতসী ? ছাইএর গাদা হইতে একটি কয়লার টুকুরা কুড়াইয়া টুপ করিয়া আঁচলে ফেলিয়া দিয়া অতসী বলিল, কয়লা কুড়োচ্ছি বাবু –না: অfর পাওয়া যাবে না । সকালেই সব নে যায় । ধ্বংস-পথের যাত্রী এরা— Q ጫ —ন বাবু। এই একটি আঁচল-ভ্যন্ত যদি দিতে পারি,—ধোপা-বেী একটি পয়সা দেবে । কাপড়ে-বাধা বাটির মত কি-একটা জিনিষ অতসীর পাশে নামানে ছিল, কয়েকট কাক সেইপানে আসিয়া জড় হইতেই অতসী সেটাকে একেবারে তাহার কোলের কাছে টানিয়া লইল । অজিত জিজ্ঞাসা করিল, ওট। কি ? সে বলিল, পথে কুড়িয়ে আনলাম বাবু, ভাত । উ-ই যে লাল বাড়ীটা দেখছ বাবু, ওখানে আজ মেলা লোক এসেছে—তুমি একটি পয়সা দাও না বাৰু, মুন কিনে নে যাবে। বলিয়া অতসী তাহার কয়লা-মাথা ময়লা হাতথানা পাতিয়া উঠিয় দাড়াইল । অজিতের পকেটে তখন তাহার শেয-সম্বল মাত্র দুইটি পয়সা পড়িয়া ছিল, দুইটিই তাহার হাতে ফেলিয়া দিয়া সে পশ্চাৎ ফিরিয়া তাহার কাজে চলিয়া (히키 || একটির জায়গায় দুইটি পাইয়। অতসীর খুশির আর সীমা রহিল না । আপনমনেই সাদা দাত গুলা বাহির করিয়া হাসিতে-হাসিতে ভাতের বার্টিটা সে তাহার ‘কাকালে তুলিম লইল । অজিতের কাজ যখন শেষ হুইল, রাত্রি তখন আটট বাজে । উকিল-মহাশয় লোকটি বেশ ভালে । তাহার হাতের লেখা দেখিয়া সস্তুষ্ট হইয়া বলিলেন, পাণ্ডন হিসেব করে দেথতে গেলে দেড়-টাকার বেশী হয় না বাপু ! আচ্ছ, তোমার হাতের লেখার জন্যে আরও আটগগু পয়সা বেশীই দিলাম। এই বলিয়া দুইটি নগদ টাকা দিয়া তিনি তাই:কে বিদায় করিলেন । টাকা দুইটি পাইয়া অজিত আর ‘হোষ্টেলে’ গিয়া উঠিল না,—উঠান পার হইয়া সরাসর বস্তিতে গিয়া প্রবেশ করিল। অন্ধকার বস্তির উঠানে খাটিয়া বিছাইয়। কয়েকজন হিন্দুস্থানী, কেহ শুইয়া, কেহ বসিয়া তামাক টানিতেছিল, গল্প করিতেছিল । অন্ধকারে পথ চিনিয়া এই একই-রকমের বাড়ী গুলার মধ্যে অতসীদের বাড়ীটা চিনিয়া লওয়৷ শক্ত হইবে ভাবিয়ু