পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] সংখ্যক লোক ভারতীয় নিযুক্ত হইলে খরচ কমিতে আরম্ভ করিবে। কমিশনের মতে অনতিবিলম্বে র্তাহাজের প্রস্তাবানুযায়ী কাজ করা ब्रूियांब ।। - বোম্বাইয়ের ভয়েসূ-অব-ইণ্ডিয়া সংবাদ-পত্র প্রকাশ করিয়াছে যে, এই কমিশনের প্রত্যেক সদস্তের জন্ত প্রত্যহ ৩৬০ টাকা খরচ হইয়াছে। কমিশনের রিপোর্ট জাখিলের পর ইহার দুই জন ভারতীয় সদস্ত সরকারী চাকুরী পাইয়াছেন—যথা স্ত্রীযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ বস্ব বাংলার একৃঞ্জিকিউটিভ কাউন্সিলর হইয়াছেন এবং শ্ৰীযুক্ত সমর্থ ইণ্ডিয়া কাউন্সিলের সদস্ত হইয়াছেন। কমিশনের অপর একজন ভারতীয় সদস্ত স্তার হবিবুল্য। ভারত-সম্রাটের জন্মদিনে (গত ৩রা জুন ) কে. সি, আই, ই হইয়াছেন। কমিশনের চতুর্থ ভারতীয় সভ্যও সরকারী কর্মচারী। ভারতীয় কারাগারসমূহে রাজবন্দী— কোন দেশের গবর্ণমেন্ট, কতদূর উন্নত, তাহা জহাদের রাজনৈতিক বন্দীদের প্রতি ব্যবহারের নমুনা দেখিলেই বুঝিতে পারা যায়। ভারতের কত উন্নতমনা, আদর্শ-চরিত্র, দেশসেবক যুবক যে কারাগারের অন্ধকার কক্ষে জীবন কাটাইতেছেন, নিৰ্য্যাতনের দরুনু উগ্ৰহাদের স্বাস্থ্য ও মনুষ্যত্ব চুৰ্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইতেছে, তাহার ইয়ত্ত নাই। মাত্রাজের বিখ্যাত দেশ-সেবক ডা: বরদারাজুলু নাইডু সম্প্রতি কারাগার হইতে মুক্তি পাইয়াছেন। তিনি "তামিল নাডু” পত্রিকায় এইরূপ দুইজন নিয্যতিত রাজবন্দীর হৃদয়-বিদারক কাহিনী প্রদান করিয়াছেন । ইহঁদের একজন পাঞ্জাবী অপরজন বাঙ্গালী । ইহঁtর উভয়েই মাদ্রাজের ত্ৰিচি জেলে বন্দী আছেন। পাঞ্জাবী যুবকটির নাম শ্ৰীযুক্ত বগল৷ সিং । ইনি ১৯১৫ সালে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হইয়া বিশ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত হন। সেই অবধি এই পাঞ্জাবী যুবক নিদারুণ কারা-যন্ত্রণ ভোগ করিতেছেন । বাঙ্গালী রাজবন্দীর নাম শ্ৰীযুক্ত স্বরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত। ১৯১১ সালে রাজনৈতিক অপরাধে ইনি ২৫ বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন । আজ ১৩বৎসর ধরিয়া ইনি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের নানা জেলে পচিতেছেন। সাধারণ চোমডাকাতের স্থায় ইইকে কঠোর পরিশ্রম করিতে হয়। তাহাকে সাধারণ কয়েদীর মতে কদৰ্য্য খাদ্য খাইতে দেওয়া হয়। মাদ্রাজের জেল কর্তৃপক্ষগণ বাংলাভাষী বোঝেন না কাজেই ইহঁাকে বাংলাভাষায় পত্রাদি লিখিতে বা পড়িতে দেওয়া হয় না । ইহার ফলে র্তাহীকে একপ্রকার জীবস্তু সমাধি দেওয়া হইয়াছে। ইহঁর সম্বন্ধে ডাঃ নাইডু লিখিয়াছেন যে,—“আমার কারাবাস কাল পূর্ণ হইয়া আসিলে, সেনগুপ্ত পাগলের স্থায় কঁদিতে লাগিলেন। আমি যে তাহাকে কি বলিয়া সান্তন দিব, তাহা ভাষায় খুজিয়া পাই নাই । জেলে বাস করিতে হুইবে বলিয়া তিনি কাদেন নাই ; তিনি কাদিয়াছিলেন যে, তিনি আর আমার সঙ্গলাভ করিতে পারিবেন না । সেনগুপ্ত মনে করেন যে, তিনি মৃত্যুর পূর্বে আবার উহার প্রিয় জন্মভূমি বাঙ্গল দেশ দেখিতে পাইবেন। মহাত্মার আন্দোলনের উপর তাহার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। আমি শ্ৰীযুক্ত সেনগুপ্তকে জীবমুক্ত আখ্যা দিয়াছি। তাহঁর স্বদেশপ্রেম কারাবাসে কমে নাই বরং বাড়িয়াছে।” এই প্রসঙ্গে যুক্তপ্রদেশের মহিলা কংগ্রেস-কৰ্ম্মী শ্ৰীযুক্ত পাৰ্ব্বতী দেবীর নামও আমাদের মনে আসে। ১৯২৩ খৃষ্টাব্দের ১৯ শে জানুয়ারী তারিখে ইনি কারাবরণ করেন । আজ একবৎসর চার মাস ইনি কারাগারে আছেন। বর্তমানে তিনি ফতেগড় জেলে আছেন। প্রকাশ যে জেলে র্তাহাকে খারাপ খাদ্য দেওয়া কুর। তাহাকে দড়ি পাকাইতে দেশ-বিদেশের কথা—ভারতবর্ষ లసి দেওয়া হয় ও নির্জন কুঠুরিতে বন্ধ করিয়া রাখা হয়। এমন অবস্থায় ॐांशत्र पांश-७त्र ए७ग्रां किङ्कश् विफ़िज नग्न । किढ हेह नहस्र७. ठांशंब्र মনের বল একটুও কমে নাই। সম্প্রতি জেল হইতে একখানি পত্রে তিনি লিখিয়াছেন —“গরমের জন্ত আমার রাত্রে একেবারেই নিজা হয় না । আমি দেড় বৎসর কার ভোগ করিয়াছি, কিন্তু এই পৰ্য্যস্ত জেল-কত্ত্বপক্ষের কাছে কোন অভাব জানাই নাই। ভগবান ভিন্ন এই শির অন্য কাহারও কাছে নমিত হইবে না। আমি এখন চরকা কাটিয়া এবং পুস্তক পাঠ করিয়া সময় কাটাইতেছি।” ভারত-মহিলাদিগের ভোটাধিকার— ঐযুক্ত বি, দাস ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় নিম্নলিখিত মত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করিবেন । “ভারতীয় স্ত্রীলোকদিগকেও পুরুষের স্থায় সমান ভোটাধিকার দেওয়া হউক এবং এই উদ্দেশ্বে ভারত-সংস্কার আইনের প্রয়োজনমত পরিবর্তন করা হউক ও ব্যবস্থা-পরিষদে কোন মনোনীত সমস্তপদ খালি হইলে, ঐস্থলে একজন মহিলাকে মনোনীত করা হউক।" ভারতের কয়েকটি প্রদেশে মহিলাদিগের ভোটাধিকার আছে। কিন্তু সে-সব প্রদেশে উহাদের ব্যবস্থা-পরিষদে সদস্ত হইবার ক্ষমতা নাই। বাংলাতে এ-ছুটির একটি ক্ষমতাও নাই। এই প্রস্তাবটি বিধিবদ্ধ হওয়া যে একান্ত-প্রয়োজনীয় তাহা সকলেই স্বীকার করিবেন। দিল্লীতে মহিলা-কলেজ— দিল্লীর কুইন মেরী স্কুলটি বর্তমান বর্ষ হইতে কলেজে পরিণত করা হইয়াছে। কলেজটি দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তভুক্ত করা হইয়াছে। বাঙ্গালী মহিলার কৃতিত্ব— কাণীর আজ পত্রে প্রকাশ যে কুমার আশা यषिकांग्रैौ हिन्नू বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত এমূ-এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইয়। সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছেন । ব্ৰহ্ম মহিলাদিগের সংকল্প— - ব্ৰহ্মদেশের পদে-নামক স্থানে ব্ৰহ্মদেশীয় মহিলাদের একটি কনফারেন্স, হইয়া গিয়াছে। কনফারেগে ২•• বিভিন্ন নারী-সঙ্গের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বিদেশী-বস্ত্র-বর্জন, স্বায়ত্ত-শাসন-লাভের চেষ্টায় ভালরূপ প্রচারকাৰ্য্য-করা প্রভৃতি বিষয়ে কয়েকটি প্রস্তাব গুহাঁত হয়। আর-একটি প্রস্তাব গ্রহণ করিয়া কনফারেন্স, স্থির করেন যে, যেসকল যুবক ইংরেজী ফ্যাশনে চুল কাটবে, তাহাদিগকে কোন স্ত্রীলোক বিবাহ করিবে না। এবং যাহারা দ্বৈত-শাসনের পক্ষপাতী তাহাদের সহিতও কোন স্ত্রীলোক পরিণয়-স্বত্রে আবদ্ধ হইবে না। ভাইকোম সত্যা গ্রহ— ভাইকোম সত্যাগ্রহ আন্দোলন পুর্ণ বেগে চলিতেছে। এই আন্দোলনে পাচজন নারী স্বেচ্ছা-সেবিকা ধোগদান করিয়াছেন। মহাস্ক। গান্ধী হিন্দুদিগকে এই আন্দোলনে অস্তের সাহায্য লইতে বারণ করিয়াছেন। তিনি ইয়ং ইণ্ডিয়া পত্রে লিখিয়াছেন—“আমি আশা করি শিখগণের অন্নসত্র বন্ধ করা হইবে ; এই আন্দোলন কেবল হিন্দুরাই চালাইবেন ......মুসলমানদিগের নিজেদের কোন ধৰ্ম্ম ও সমাজ-সম্পর্কিত সমস্ত মীমাংসায় যদি হিন্দু বা অঙ্ক কোন অ-মুসলমান হস্তক্ষেপ করেন, তাহা হইলে তাহ অনধিকার চর্চা হইবে এবং মুসলমানের তাহা ঔদ্ধত্য মনে করিলে ঠিক কাজই করিবেন। সেইরূপ হিন্দু সংস্কারে অ-হিন্দুর হস্তক্ষেপ করিলে গোড়া হিীরাও অসন্তুষ্ট ও