পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] TMAMAMMAA ASASASA AAA AAAA AAAASAAAAS S AAAAAMAMMAAAS হস্তে দাড়াইয়া বলিলেন —“কা বরনউ ছবি আজ কি, ভলে বিরাজউ নাথ ? । তুলসী মস্তক তব নৰ্মে, ধমুষ-বান লেও হাত ॥”—“আজকার ছবির দৃপ্ত কি বর্ণনা করিব ? কি স্বন্দর তুমি অধিষ্ঠিত ! তুলসী তখনই মস্তক অবনত করিবেন যখন হাতে ধনুৰ্ব্বাণ লইবে ॥” তুলসীর মুখে এই পদ উচ্চারিত হইতেই সকলে বিস্মিত হইয়া দেখিল সিংহাসনে রাধাকৃষ্ণ নাই । তাহার পরিবৰ্ত্তে বীরাসনে ধনুৰ্ব্বাণধারী শ্রীরামচন্দ্র, বামে লক্ষ্মীরূপা জানকী, পশ্চাতে লক্ষ্মণ, ও সম্মুখে ভক্ত হনুমানের মূৰ্ত্তি রহিয়াছে। সকলেই প্রণাম করিল, কিন্তু মাথা তুলিয়া আর সে-মূৰ্ত্তি কেহ দেখিতে পাইল না। তুলসীর, প্রথমেই ভক্ত বলিয়৷ শ্ৰীবৃন্দাবন-সমাজে সম্মান ছিল ; এই ঘটনার পর তাহা সহস্ৰগুণে বাড়িয়া গেল । কাশীতে একদিন তুলসীদাস গঙ্গাস্নান করিতে যাইতেছিলেন, দেখিলেন একটি যুবক উচ্চকণ্ঠে বলিতেছে, “আমি ব্রাহ্মণ-কুমার হইয়া গো-হত্যা করিয়াছি। এই কাশী-পুরীতে এমন কোনো মহাপুরুষ আছেন কি ধিনি আমাকে ভগবানের নামে হত্যা হইতে উদ্ধার করিয়া দেন?” কাশীর মত স্থানেও কেহ তাহার সাহায্য করিতেছে না দেখিয়া তুলসী ব্যথিত হইলেন। তিনি তাহাকে সঙ্গে লইয়া গঙ্গাতীরে গেলেন, তাহাকে রাম-নাম জপ করিতে বলিয়া গঙ্গা-স্বান করাইলেন, পরে আপন আশ্রমে আনিয়া আপনার সহিত বসাইয়া মহাপ্রসাদ খাওয়াইলেন, পরে তাহাকে নীতি ও ধৰ্ম্ম উপদেশ দিয়া ছাড়িয়া দিলেন । কাশীর ব্রাহ্মণ-সমাজ তুলসীদাসের এই কৰ্ম্মে খড়গহস্ত হইয়া উঠিল । সকলেই বলিল, “তুমি যখন গোহত্যাকারীর সহিত ভোজন করিয়াছ, তখন তুমি পতিত হইয়াছ, তোমাকে ব্রাহ্মণ বলিয়া আমরা গ্রহণ করিতে পারিব না।” তুলসীদাস বলিলেন, “তোমরা কেবল টিয়াপাখীর মত শাস্ত্র পড়িয়াছ মাত্র, অর্থ বুঝিতে পার নাই । শাস্ত্রে বিশ্বাসও কর না।” শুনিয়া পণ্ডিতের দল চটিয়া উঠিলেন। তুলসীদাস বলিলেন “যখন শাস্ত্র বলিতেছে একবার রাম নাম করিলে সকল পাপ ক্ষয় হয়, তখন যে-ব্যক্তি অনেকক্ষণ বসিয়া রামনাম জপ করিয়াছে তাহার পাপ কোথায় ? হয়, সে নিষ্পাপ হইয়াছে, নতুবা শাস্ত্র মিথ্যা। তোমরা গোস্বামী তুলসীদাস 88ፃ এ-দু’য়ের মধ্যে কোনটা স্বীকার করিতে চাও?” পণ্ডিতের দল নিরুত্তর হইলেন। বলিলেন, “আপনি ত মহাপুরুষ, আমাদের কোনও চিহ্ন দ্বারা বিশ্বাস করাইয়া দিন যে লোকটা নিষ্পাপ হইয়াছে", তুলসী জিজ্ঞাসা করিলেন “কিরূপ প্রমাণ চাও?” তাহারা তুলসীকে জব্ব করিবার জন্ত একটা অসম্ভব প্রমাণ চাহিল । বলিল, “বিশ্বনাথের মন্দিরে যে পাথরের ষও আছে সে যদি ঐ ব্রাহ্মণ-কুমারের হাতে তৃণ খায়, তবে আমরা উহাকে নিষ্পাপ বিবেচন৷ করিব।” তুলসী উত্তর করিতে পারিতেন, “ঐ পাথরের ষাড় তোমাদের হাতে তৃণ খায় কি ?” কিন্তু তাহা না বলিয়। বলিলেন, “তাহাই হুইবে” । তিনি সকলকে লইয়। বিশ্বনাথের মন্দিরে গেলেন, প্রথমে পূজা করিলেন, পরে ধ্যানে বসিলেন । কতকক্ষণ পরে সেই যুবককে বলিলেন, “পাথরে, যাড়ের মুখে তৃণ দাও।” মন্দিরে যত দর্শক উপস্থিত ছিল, সকলেই স্পষ্ট দেখিল পাথরের ঘাড় যুবকের হাত হইতে তৃণ তুলিয়া লইল। সকলে তুলসীর এই অদ্ভূত ক্ষমতা দেখিয়া চমৎকৃত হইল ও র্তাহার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করিতে লাগিল । যখন তুলসীদাস কাশীতে থাকিতেন, তখন নিম্নলিখিত চারিটি স্থানের কোনো এক স্থানে বাস করিতেন । ১ । কাশীর দক্ষিণে অসির অপর পারে আপনার আশ্রমে। এখন ঐ আশ্রমে সীতা-রামের মন্দির আছে। ২ । গোপাল-মন্দিরের পাশে এক ছোট কুঠারীতে । এই গোপাল-মন্দির বল্লভ সম্প্রদায়ীদের । এখন প্রতিবৎসর শ্রাবণ শুক্ল-সপ্তমীর দিন এই ঘরখানি খোলা হয় । ৩ । সঙ্কট-মোচন ঘাটের কাছে তুলসী স্থাপিত মহাবীর মন্দিরের কাছে । ৪ । প্ৰহলাদ ঘাটে পণ্ডিত গঙ্গারাম যোশীর বাটীতে । একবার কাশী-বাসকালে প্রত্যহ গঙ্গাস্নান করিতে যাইবার সময়ে দেখিতেন, এক যুবতী কুলবধু তাহাকে ভক্তিভরে প্রণাম করিয়া আশীৰ্ব্বাদ লইয়। যাইত। মধ্যে চার-পাচ দিন তাহাকে দেখেন নাই, পরে যখন গঙ্গাস্নানে চলিয়াছেন, দেখিলেন সেই বধুটি নানা অলঙ্কারে ভূষিতা হইয়া আসিতেছে । সে গোস্বামীকে প্রণাম করিল। তুলসীদাস তাহাকে “সৌভাগ্যবতী ভব” বুলিয়া আশীৰ্ব্বাদ