পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G. o o প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভারতবর্ষে এমন একদল লোক ছিল—যাহাদিগকে অীয্যেরা অম্বর বলিতেন—যাহারা পাথরের তৈরী অস্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে ধাতুর তৈরী অস্ত্রাদিও ব্যবহার করিত। তাহদের দেহে বল ছিল এবং সেই বলের নিকট আৰ্য্য-শক্তি পরাভব স্বীকার করিত, সেই-জগুই আর্য্যের বিজেতাদিগকে ঘৃণীর সহিত অত্বর বলিতেন। আমাদের দেশের হে, মুও এবং ছোটনাগপুরের অন্তষ্ঠি আদিম অধিবাসীদিগকে এই অসুরদের বংশধর বলা যায়। পুরাকালের এই জাতিদের নানা-রকম অস্ত্রপাতি, সোণা ধুইবার পাথরের পাত্র ইত্যাদি অনেক কিছুই মানভূম, সিংতুম, গংপুর, রেওয়া হইতে স্বর করির জব্বলপুর এবং নাগপুরের চারিদিকে ছড়ান আছে। সমস্ত চিহ্নই যে ভাল অবস্থায় আছে তাহ নয়, অনেক ভাঙ্গিয়া-চুরিয়াও গিয়াছে। নাগপুরে এমন সমস্ত স্থান আছে যেখানে ৫০ বছর পূর্ব পর্য্যন্ত সভ্যতার কোনপ্রকার আলোক প্রবেশ করে নাই, কিন্তু ঐসমস্ত প্রদেশে কত হাজার বছর পূর্ব হইতে যে লোক বাস করিতেছে তাহার কোন হিসাব নাই । ২নং ছবি--লোমওয়ালা ছু-পেয়ে উত্তর চিত্র বহশতাব্দী পূৰ্ব্বে মাটিতে পোত হাড় বিশেষ পাত্রে পাওরা যায়, এই পাত্রের কাছাকাছি বা অনেক সময় পাত্র মধ্যেও একরকম মাটির চাক্তি পাওয়া যায়, এই চাক্তিগুলি বোধ হয় পরপারের যাত্রীর পাথেয় অর্থক্লপে ব্যবহৃত হইত। কিন্তু এইসমস্ত দ্রব্য হইতে এমন কোন কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না যে, যাহাঁতে প্রমাণ হয় যে, সেই সময়কার লোকেরা কোনপ্রকার চিত্র আ tfকতে বা অ কিজেtক করিতে পারিত । কিন্তু ১৯১০ সালে নাহারপালির কাছের পাহাড়ের উপর, বি-এল-রেলওয়ে লাইন যেখানে মণ্ড নদী পার হইয়াছে, তাহার কয়েক মাইল পূৰ্ব্বে গভীর জঙ্গলের মধ্যে কতকগুলি গুহায় সেই অতি-পুরাকাল-বাসীদের চিত্র-বিদ্যার বহু পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। ঐস্থানে যে ছুইটি গুহ সৰ্ব্বাপেক্ষ বৃহৎ সেখানে বিশেষ কিছুই পাওয়া যায় নাই,