পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] অভ্র G:રG: উপরোক্ত উদাহরণ হইতে সহজেই বোঝা যায়, যে, প্রাচীনগণ অভ্রকে কি-প্রকার ঔষধিগুণ-সম্পন্ন বলিয়া বিশ্বাস করিতেন। "রসরত্নসমুচ্চয়” নামক পুস্তকে অভ্র-সম্বন্ধে তখনকার জ্ঞান কি ছিল, তাহার অনেক পরিচয় পাওয়া যায়। এই পুস্তক খ্ৰীঃ দ্বাদশ শতাব্দীতে লিখিত হয় বলিয়৷ অম্বুমান হয় । লেখক কে, জানা যায় না, যদিও তিনি নিজেকে “অষ্টাঙ্গ-হৃদয়’ প্রণেতা বাগভট বলিয় পরিচয় দিয়াছেন । ইনি বলেন – কোড়ার্ক্সীয় পৰ্ব্বতে স্থিত অভ্রথনি পিনাক নাগমণ্ডুকং বজ্রমিত্যত্রকং মতম্‌” খে তনি বর্ণভেলেন প্রত্যেকং তচ্চতুৰ্ব্বিধম্ ॥ "অভ্র তিনপ্রকার ; যথা, পিনাক, নাগমণ্ডুক ও বজ্ৰ । পুনরায় ইহাদের প্রত্যেকটি চতুৰ্ব্বিধ হয়।" বর্ণভেদে চারি-প্রকার বর্ণ-সম্বন্ধে চলি বলেন :– “শ্বেত রক্তঞ্চ পতঞ্চ কৃষ্ণমেব চতুৰ্ব্বিধম।" “শ্বেত, রক্ত, পীত ও কৃষ্ণ এই চারিপ্রকার।" অভ্র মধ্যে যাহার স্তরবিচ্ছেদ সহজ, সেইটিই উংকৃষ্ট, এই তথ্যও লেখকের জানা ছিল। যথা :– “ মুখনিমোচাপত্ৰঞ্চ তদভ্ৰং শস্তমীরিতম” । রসহৃদয়-লেখক ভিক্ষু গোবিন্দ থেচর (অভ্র ) একটি “উপরস’ বলিয়। বর্ণনা করিয়াছেন। রুদ্রযামল-তন্ত্রে ইহাকে “রস’ বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন ( রসকল্প ) । ধাতুমঞ্জরীতে আছে (রুদ্রযামল তন্ত্র ) — "অভ্রকং চৈব ব্যোমং চ গগনং গ্রাহকং পরম্ ” অভ্রের গুণ-বর্ণনা ও ক্রিয়-বর্ণন আরও অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। স্বতরাং এই দেশে অভ্র বহুকাল হইতে স্থপরিচিত, সে-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই । অভ্রের উৎপত্তি-সম্বন্ধে বোধ হয় পূৰ্ব্বকালে এচরূপ "اسمه { লেখকক স্তৃক অঙ্কিত কল্পিত চিত্র । ] বিশ্বাস ছিল, যে, উই। ব্যোম কিংবা মেধঙ্গীন ত পদাৰ্থ । “অপ্র” এবং ‘খেচর” এই দুষ্ট প্রাচীন নামের অর্থ হইতে এইরূপ সঃ ভঞ্জ। পণ্ডিয়৷ যfসু । বা কুড় জেলায় অভ্রের প্রচলি" নাম “মেদল{ল” ; এবং তপয় এইরূপ গল্প শোন। ধাম, মে, মেসের ক্ষুদন্তে হইয়। শুশুনিয়া প্রভৃতি পাহাড়ের শাল ও অন্যান্য বুক্ষের তরুণ শু মেল পত্ৰ খাইতে আসে । পরে অভ্রে পরিণত হয় । অভ্র স্ফটিক পদার্থ ; সেঙ্গ মেদের মুখনিঃস্তত লাল। পৃথিবীর আগ্নেয় প্রস্তরস্তুর