পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•' ৫ম সংখ্যা ] ওর পক্ষে ও স্বশ্বের। বিধবার বেঁচে ত স্বথ নেই। ম'লেই মঙ্গল । আর তুমিই বা অতটা যত্ন ওদের কেন নিচ্ছ বলদিকি ? একটা কুৎসা রটে গেলে ওদেরই বিপদ বেশী, সেট। তোমার বোঝা উচিত।” “আজ্ঞে, আমার প্রতিবেশী, নিঃসহায় দরিদ্র, বিপদে দেখব না ?” o “মানুষের সহায়ের কোনও মূল্য নেই।--ই । বেশী দের দেখাশোনা করতে যেও না । এই বুদ্ধের বচনটি মেনে নিও।” রামজীবন চলিয়া যাইতে যাইতে আপনমনে বলিল, "নীচ লোকের শক্রতার ও কোনো মূল্য নেই । সে শুধুই উপেক্ষার ” দুধ দেওয়া শেষ হইলে রামজীবন ডাকিল, “ও মাসী, এইবার ওঠ গো । বেলা হ’য়ে গেছে ।” মাসী উঠিয় বহিরে আসিলেই জিজ্ঞাসা করিল, “রাত্রে বেশ স্বনিদ্রা হয়েছে ত ওদের ? আর ভয় নেই মাসী । আমি একেবারে তিনদিনের ওষুধ এনে দিয়ে আজ কলকাতায় চলে’ যাব। খুব সাবধানে রেখে ক'দিন—বুঝলে ?” মাসী চক্ষু মুছিতে মুছিতে কহিলেন, “কলকাতায় কেন যাবি, বা বা ?” “দরকার আছে একটু। এই যে আমাদের জনাৰ্দ্দন ঠাকুরদা ছিলেন র্তার ছেলে হরিশ কাকাকে তোমরা দেখেছ ত ?” “তা আর দেখিনি । সে যে বিলাত থেকে ‘ਢਝ ব্যারিষ্টারি পাশ করে কলকাতায় মস্তলোক বসেছে।” “হঁ্য, সেই তাবই কাছে আমি যাব । বিলাত ফেরৎ হ’লে কি হয়, অতি স্বন্দর লোক । খুব স্বদেশী, আমাদের গ্রামের উপরও কত টান যে আছে কি বলব ! আমার কাছে সকলের খবর পর্য্যস্ত জিজ্ঞাসা করেন । তিনি একদিন এখানে আসবেন সেইসব বন্দোবস্ত করতে যাচ্ছি। এানে একটা মেয়ে ইস্কুল করবার টাকা দেবেন } ...!. বিনা-মাইনেতে পড়তে পারে এমন একটা ইস্কুল করা হবে । আরও সব অনেক মতলব আছে, মাসী । যখন হবে দেখতে পাবে।” বলিয়া তাহার (نیا-اس- 68 ۹ হ'য়ে নিষ্কণ্টক (సారి পল্পীমাতার ভবিষ্যৎ রাজ্ঞীত্বের নিশ্চিত সম্ভাবনায় পুলকিত হইয়। সে হাসিতে লাগিল । ( २ ॥ বৃদ্ধ চট্টোপাধ্যায় ধীরে ধীরে গ্রামের মস্তকসদৃশ ফণীন্দ্র চৌধুরীর বাটতে উপস্থিত হইলেন । বাহিরের রোয়াকের উপর হইতে হাকিলেন, “ওরে জগা ! ব্যাট ডেমো-গয়লা বজ্জাতের ধাড়ী ; রোয়াকটাতেও এখনও ঝণটার বাড়ী দিতে পারেনি ।” বুদ্ধ চৌধুরী বাহিরে আসিলেন। "নটদার যে একেবারে শীতের জাক দেখে বাচিনে । করেছ কি দদি, এত শীত এখনও পড়েনি।” “আরে না ভাই, বুড়ে৷ হাড় যত্ন না করলে কি টিকিয়ে রাখা যায় ? ঠাণ্ড লাগলে আর রক্ষে নেই। দেখছ না নিউমোনিয়ার ধূমটা । তোমার গিয়ে এখনও বয়েস আছে । হাজার হোক আমার থেকে পাচ-ছবছরের ছোট তুমি ” “হঁ্যা—বয়েস নেই আবার : বোধ হয় একটা বিয়ে তাবার করা চলে, ন দাদা ?” ভূত্য জগ। রোয়াকের উপর সতরঞ্চিটী বিছাইয়া দিতে আসিতেই চট্টোপাধ্যায় কহিলেন, “এই এদিকে এই রোদটার। ব্যাটাকে তিনশো তিরিশ দিনই বলতে হবে। হ্যাঃ! আমার কি জান, এই সারা শীতকালটা তোমাদের বাড়ীর এই রোয়া কটায় সকাল-বিকেলটা কাটান চাই। ব্ৰহ্মাণ্ডে রোদ্ধর আসবার আগে এই রকৃটাতে আসবেই। আবার ওবেল, মজাটা দেখ, চারদিক্‌ অন্ধকার হ’য়ে গেল, এখানটায় বোদরটা আছেই। সেকালের সব লোকের মাথা ছিল, বলিহারি । বিশেষ আমার নবীন-জ্যাঠার । কোন ব্যাটা ইঞ্জিনিয়ারের মাথায় আমুক দিকি আজকাল এইসব ফন্দি । কলকাতায় সব বড়-বড় বাড়ী, বুঝলে ভায়, না আছে রোদুর না আছে হাওয়া। তোর ইঞ্জিনিয়ারের র্কাথায় আগুন !” ক্রমে আরও দুইচারিজন বৃদ্ধ ও তদলভুক্ত লোক আসিয়। সেখানে সমবেত হইলেন। বৃদ্ধ চট্টোপাধ্যায় আরম্ভ করিলেন, “বুঝলে ফণী-ভায়া, আজ যখন তোমার এখানে আসছি, দেখি তারিণীর বেটা রামজেবন, এম্-এ পাশ