পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o ৫ম সংখ্যা ] তখন একজন নিশ্বাস ফেলিয়া বলিয়াছিলেন, “তা ছোড়ার যে-রকম বরাত-জোর, আশ্চৰ্য্য নয়, একটা কিছু বাগিয়েও ফেলতে পারে।” তার পর যখন রামজীবন নন-কোঅপারেশন করিয়া চাকুরির চেষ্টা ছাড়িয়া দিল এবং স্বীয় গ্রামে আসিয়া তাহার উন্নতি-সাধন-কল্পে উঠিয়াপড়িয়া লাগিয়া সেল ও সামান্য পৈত্রিক সম্পত্তির আয় হইতে খালি-পা ও মোটা-কাপড়ের জীবনটাই বাছিয়া লইল তখন সকলে মনে মনে আনন্দিত হইলেন বটে, কিন্তু তবুও ইচ্ছা হইত যে উহার এম্-এ ডিগ্রীট নামের পশ্চাতে যদি না থাকিত । কোথায় এইরূপ একটি শিক্ষিত যুবক গ্রামে আসিয়া থাকিলে তাহাকে একটা ভরসাস্থল বিবেচন৷ করিয়া আনন্দিত হওয়া উচিত, তৎপৰিবৰ্ত্তে তাহার উপর তাহার বিরূপ হুইয়া উঠিলেন, তাহার কারণ, সে যাহা দ্যাধ্য তাহাই . প্রচার করিতে চায় । গ্রামের সকলকে মানুষ হইতে বলে, দেশী কাপড় ব্যবহার করিতে অকুরোধ করে, অতবড় শক্তিশালী দিব্যকান্তি ইংরেজের পদাশ্ৰয় ছাড়িয়া স্বাধীন হইবার স্পৰ্দ্ধ। রাখে এবং সৰ্ব্বোপরি মোকদম না করিবার জন্ত সকলের পায়ে পরিয়া অনুরোধ করে । এরূপ লোকের সঙ্গে বসতি করা যে বিপদকে ডাকিয়া আন! শুধু কি তাই, একটা চাষার পাঠশাল খুলিয়া দিয়াছে ও তাহাদের নানারূপ উপদেশ দেয় । বোধ হয় রোডসেস্ট, কম দিবার পরমর্শও দিয়া দিতেছে । র্তাহার একটাক খাজনা গুইলে গৈ চারি আন রোডসেস্ বলিয়। আদায় করেন এবং তাহাদের বুঝাইয়াছেন, যে "বাপু, কোম্পানীর পয়সা, কুম দিলেই একটি কলম লিখে দেব ; ব্যাস বলবে ন, কইবে না, স্টান ধরে নিয়ে গিয়ে জেলে পূরে দেবে আর বাড়ী-ঘর, গরু-বাছুর বেচে দশগুণ আদায় করে? নেবে i* রোড সেস্ বাড়িতেছে কেন জিজ্ঞাসা করিলে তাঙ্গরা বলিতেন যে, কোম্পানী যুদ্ধ করিতে করিতে যে সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়া যটিতেছে, কিরূপ পয়সার দরকার সে খেয়াল কি তাহদের নাই ? দেশ উড়াইয়া দেয় যে তোপ, শুধু ভারই একটার খরচ দশলাখ টাকা, ইত্যাদি। এইসব কারণে রামজীবনের উপর তাহাদের বিশেষ নিষ্কণ্টক (tఫి(t শ্রদ্ধা ছিল না, তবে আর-একটি শ্রেণীর লোক ছিল, যাহারা রামজীবনকে দেবতার ন্যায়ু ভক্তি করিত অথবা পুত্রাধিক স্নেহ করিত। তাহারা দরিদ্র গৃহস্থ । .( כ\ ) ব্যারিষ্টার হরিশ্চন্দ্রের ভালী আগমন-বাৰ্ত্তা দেশময় রাষ্ট্র হইয়া গেল। রেলওয়ে-ষ্টেশনে বিপুল জনতা । ব্যারিষ্টীর একটা কি-প্রকার জীব ইহা দেখিবার জন্য ৫।৭ ক্রোশ দূর হইতেও বিস্তর অশিক্ষিত লোক আসিয়াছে। পূৰ্ব্বোক্ত বুদ্ধের দল পুরোবতী হইয়া হরিশ-বাবুর ভ্যর্থনাথ দণ্ডায়মান আছেন। টেন আসিল । খদ্দরপরিচিত হরিশ্চন্দ্র ও রামজীবন গাড়ী হইতে অবতরণ করিল, বুদ্ধের পরস্পর পরস্পরের দিকে বিস্মিতহাস্তের সহিত তাকাইয় অগ্রসর হইলেন, হরিশ্চন্দ্র আসিয়া যথাযথ অভিবাদনাদি করিলেন । নটবর চট্টোপাধ্যায় আরম্ভ করিলেন, “দেখ বাব, সম্পর্কে আমি তোমার কাক হই । ইনি এই ফণীন্দ্র চক্রবর্তী, ইনিও তাই । তোমার মত এত বড় একটা আত্মীয থাকতে দেশের অবস্থা দেখ । আমি রামজীবনকে বলি—“তুই ত বাবা জানিস্ হরিশের ঠিকানা। আমরা ত কলকাতার কিছু চিনিতাকে একবার দেশে-ঘরে নিয়ে আয়। সে কি সে আমাদের হাজার ফেলুক, আমরা তাকে ফেলতে পারিনে ৷” “আজ্ঞে না, আমি কি ফেলতে পারি—” "আহ না তা কি পার : ধর যদিচ ফেল, ফেলবে ত , তা হ’লে আমরা কি তোমায় আনতে পারি ? মি একটা এতবড় বিদ্বান, যশস্বী, তুমি কি আর একটা যা নয় তা করতে পার ?” "না, তবে যদি বলেন আমি এতদিন আসিনি কেন, তার কারণ পাড়াগায়ের সামাজিক সব নানা গোলমাল, দলাদলি, ওটা আমি বড় ভয় করি।” “কিসের গোলমাল ? কাব বাবার সাধ্যি গোলমাল করে। নটু-চাটুধ্যে আর ফণী-চক্করতি থাকতে ? সে আর কিছু ভাবতে হবে না বাবা, তুমি চল, গাড়ীর কষ্টটা বিশ্রামে লাঘব করবে চল ।” কতবড় একটা ভোজের আশু সম্ভাবনা উপস্থিত নে | আমাদের পর ? ضيته حو をあ व्षों 丐 f;. +4. 's