পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やか○ケ মালভূমিতে পৌঁছে, গম নেবার জন্ত সেইখানে থেকে বৃদ্ধ কপাল পুছতে লাগল। নভেম্বর মাস। তেমন গরম হবার কথা নয়। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি চলে আসার ইপিয়ে পড়েছিল। বৃদ্ধ না থেমে একেবারে খিড় কী-ফটকের কাছে এল । সে ইতস্ততোভাবে আমাদের দিকে একবার তাকালে—বেন আমাদের কিছু বলতে চায় ; কিন্তু আফিসরের সাজ-সজ্জা দেখে একটু ভয়-স্তম্ভিত হ’য়ে পড়েছিল—তাই আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা না করে শাস্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করাই শ্রেয় মনে কবৃলে। সে ভয়ে-ভয়ে তার ছেলেকে দেখবার জন্ত তার কাছে অনুমতি চাইলে । সে বললে –তাঁর ছেলে “৬ নম্বর প্যারিস-পল্টনের একজন পদাতিক " नोज्ञैौ उंखञ्च कब्रएल :“এইখানে একটু অপেক্ষা করে, আমি, তাকে বলে পাঠাচ্ছি।” বুড়ির আনন্দ আর খয়ে ন—সে একটা মারামের ইপি ছেড়ে, ছুটে স্বামীর কাছে এল । তার পর, দু’জনে একটা ঢালু জমির ধারে এসে বসল। অনেকক্ষণ ধরে, ওরা অপেক্ষা করতে লাগল। মেন্ট-ভ্যালেরিয়া নগর-ফুর্গট এত প্রশস্ত ; ওর ভিতরে এত অঙ্গন, এত চালু পাড়, এত বুরুজ, এত বারিক, এত গুপ্ত খিলান-ঘর রয়েছে, মনে হয় যেন, একটা গোলক-খাধা । এই জটিলতার মধ্য-থেকে ৬নং পদাতিককে বের रूब्र राष्ट्ररे कfन । ठाउ श्रादाब cगहें भभग्न ८कल्लग्न डिख्द्र তুরী-ভেৰী বাজ ছিল, সৈনিকের ছুটোছুটি করছিল, টিনের স্বরাণত্র হতে ঠন্‌ ঠন্‌ শব্দ হচ্ছিল। যারা বদলি হচ্ছিল, তাদের এক-একজনকে বিশেষ বিশেষ কাজের ভার দেওয়া হচ্ছিল, রসদ বন্টন করা হচ্ছিল । সৈনিকের একজন রক্তমাথা শত্রুর গোয়েন্দাকে বন্দুকের গুতো দিতে দিতে নিয়ে আসছে ; চাষার সৈনিকদের অত্যাচারের জঙ্ক, নালিশ করতে সেনাপতির কাছে এসেছে ; একজন আর্দালি ঘোড় ছুটিয়ে এসে পড়েছে—নিজেও ক্লাস্ত, ঘোড়াও ঘেমে উঠেছে। দুরের আডড থেকে খচ্চরদের পিঠে ঝোলানো আহতদের ডুলী দুলতে দুলতে আসছে। আহতেরা মৃদুস্বরে আন্তনাদ করছে। "মারে ঠাল হেই ছো” বলে তুরীনাদের সঙ্গে একটা নুতন কামান উপরে ওঠানে হচ্চে। কেল্লার মেষদের নিয়ে লাল পাঞ্জাম-পর কঞ্চি হাতে, মেষপালকের উঠানে যাতায়াত করছে, আবার ফটক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে । মা বেচারী এইসব দেখছে আর ভাবৃছে, “আমার ছেলেকে বলতে ভুলবে না ত ?” প্রত্যেক পাচমিনিটের পর সে উঠে দাড়াচ্ছে, আস্তে আস্তে ফটকের কাছে যাচ্ছে, প্রাচীরের পিছন থেকে যে বহিরঙ্গণ একটু দেখা যাচ্ছে সেই দিকে সে তৃতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে ; কোন কথা কাউকে জিজ্ঞাস কর্তে আর তার সাহস হচ্ছে না, পাছে তার ছেলে হাস্তাম্পদ হয়। বুদ্ধ ওর চেয়েও আরও ভয়-তরাসে, সেতার কোণটি ছেড়ে একপীও নড় ছিল না । তার স্ত্রী বিষগ্ন-মনে, হতাশভাবে যখন প্রত্যেকবার নিজের জায়গায় ফিরে এসে বসছিল ; বেশ দেখা গেল, তার স্বামী, অধৈয্যের জন্ত স্ত্রীকে ধমূকাচ্ছে এবং যুদ্ধের চাকুরীতে কি কি দরকার সেই-সব বোঝাচ্ছে—অতি নিৰ্ব্বোধ হ’য়েও বিজ্ঞতার ভাগ করছে। ব্যক্তিগত জীবনের এইসব নীরব দৃপ্ত আমার দেথতে বড় ভাল লাগে ৷ যতটা দেখা যায় তার চেয়ে আন্দাজে অনেকট বোঝা যায়। যখন রাস্তায় ভিড় ঠেলে বেড়িয়ে বেড়াই, কত মুখ-নাড়া-নাড়ি, কতরকম অঙ্গ-ভঙ্গী দেখা যায়—এইরকম এক-একটা অঙ্গ-ভঙ্গিতেই লোকের औक्न-शांच्न स्वास्न झ्रन्न श्रृंख्न । এইদিন উজ্জ্বল প্রভাতে আমি কল্পনা করলেম, একজনের মা বেন এইরকম মনে-মনে ভুক্েিছ – প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ,'১ম খণ্ড “জেনেরাল ত্রেীশুর হুকুমের জ্বালার অস্থির হতে হয়েছে। আর পারা যায় না। তিন মাস হ’ল আমার ছেলেকে আমি দেখিনি। আমি ঠিক করেছি, আমি ছেলেকে একবার দেখে আসব।' ছেলের বাপ তীতু ও সাংসারিক কাজকর্গে নিতান্তু আনাড়ি ; তার ভয় হ’ল, একটা অমুমতি-পত্র সংগ্রহ করতে অনেক বেগ পেতে হবে— তাই প্রথমে সে তার স্ত্রীর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিলে। “ন, মাই ডিয়ার, একথা মনেও এল না ! মোস্ট-ভ্যালেরিয়া, সে কি এখানে ? সে অনেক দূরে। একটা গাড়ী না হ’লে সেখানে কি করে যাবে? তা ছাড়া এটা একটা নগর-দুর্গ। মেয়ের তার ভিতর যেতে পারে না । —ষ্ট্ৰী বললে –“আমি ভিতরে যাব”। তার বাইচ্ছে হয়, সে না করে ছাড়ে না। কাজেই তার স্বামীর যেতে হ’ল । সে সেক্টরের” আফিসে “মেয়ারের" অফিসে গেল, “ঃাফের” সদর-আডডায় গেল, “কমিসারি"তে গেল। যাবার সময় ভরে গা দিয়ে ঘাম ছুটছে শীতে শরীর জমে যাচ্ছে ভুলে’ এ-দরজার, ও-দরজার ঢুকে পড়ছে-একটা অফিসে গিয়ে দু-ঘণ্ট ধরে" বসে আছে—শেষে টের পেলে সে ভুল অফিসে এসেছে। অবশেষে রাত্রে গভর্ণরের কাছ থেকে একটা অনুমতি-পত্র নিয়ে বাড়ী ফিরল। পরদিন খুব সকালে জেগে উঠল—খুব ঠাণ্ড, তখনে প্রদীপ জ্বলছে। ছেলের বাপ আপনাকে গরম করবার জঙ্ক কিছু খেয়ে নিলে, কিন্তু ছেলের মার তখন ক্ষিদে ছিল না । মা মনে করলে, সেখানে গিয়ে ছেলের সঙ্গে একত্র আহার করবে। মনে করলে ছেলে-বেচারী সেখানে ৩ ভাল খেতে পায় না—তাকে একটা ভালরকমের ভোজ দিতে হবে। তাই সে অবরোধ-কালের যে-সব বাতিল খাদ্য-দ্রব্য পড়েছিল, সেগুলো তাড়াতাড়ি একটা বুড়ীর মধ্যে ভরে নিলে :-চকোলেট, মোরব্বা, সিলু-মোহর করা স্বরা—সমস্ত । এমন কি, একটা বাক্সও সঙ্গে নিলে । এই বাক্সটা ৪ টাকা দিয়ে এর কিনেছিল—দুদিনের গুপ্ত এটাকে খুব সযত্নে সঞ্চিত করে রেখেছিল। যখন এর দুর্গ-বুক্লজের কাছে এসে পেীছল, তখন দুর্গের ফটক সবেমাত্র খোলা হয়েছে। এখন অনুমতিপত্রটা দেখাতে হবে । এইবার মা-ই ভয় পেলে । কিন্তু টুেথ গেল সবই ঠিক্‌ আছে। সৈনিকদের অ্যাডজুটেন্ট বললে – “ওদের যেতে দেওয়া হোকৃ।” এই কথা শুনে মা ইপি ছেড়ে বাচল । “লোকটি বড় ভদ্র।” মা তাড়াতাড়ি ছুটে চলল। বাপ তাকে ধরে উঠতে পারছিল না। "মাই ডিয়ার, অত দৌড়ে চোলো না ।” रूिख भ।। ७tब्र कथाग्न द**ाठ ड ब्रूरल ना । मै eशltन १ि१:४द्र কুয়াসার ভিতর থেকে, মেণ্ট-ভ্যালেরিয়া হাত-ছানি দিয়ে যেন তাকে ডাকৃছে —“শীঘ্ৰ এস, সে এখানে আছে।" - এখানে পৌছে আবার তাদের একটা নুতন কষ্ট আরম্ভ হ’ল। যদি তাকে দেখতে না পেয়ে থাকে। যদি সে না আসে । হঠাৎ সে চমূকে উঠল, বুড়োর হাত ছুয়ে সে একেবারে লাফিযে উঠল। কতকটা দূরে, থিলেন-ওয়াল খিড়কি ফটকের নীচে, তার ছেলের পায়ের শব্দ সে চিনতে পারলে। এ সেই ! যখন সে এসে উপস্থিত হ’ল, \ત્ર দুর্গের সম্মুখটায় আলে: জ্বালানো হয়েছিল। লোকটা বেশ লম্বা-চওড়া । সোজা খাড়া হয়ে আছে। পিঃ জিনিষের বোলাটা ঝুলছে, জার কাধের উপর তার বলুক রয়েছে। । স্বাস্তে আস্তে তাদের দিকে এগিয়ে এল। সমস্ত মুখে হাসির রেখা ফু | উঠেছে। সে পুরুষোচিত উৎফুল্প-স্বরে বললে – "ן וף הקזיe"