পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գe 8 নিয়মবিরুদ্ধ। তাহা হইতে পারে ; কিন্তু আত্ম-সম্মানবিশিষ্ট প্রত্যেক ব্যবহারাজীব যদি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া জজ পেজের আদালতে না যান, তাহা হইলে ত নিয়ম ভঙ্গ হুইবে না । কিন্তু এদিকে জজ ছুটি লইয়। ঘর-মুখে হইয়াছেন। শীতকালের আগে ফিরিবেন না। ততদিনে সব ঠাণ্ড হইয়া ধাইবে । জজটির বুদ্ধি ও ভবিষ্যদর্শিতা আছে, স্বীকার করিতে হইবে । • • মফঃস্বলে হাকিম-কৰ্ত্তক উকীল মোক্তারের পেয়াদা স্বারা কান ধরিয়া বহিস্করণ ও তাহাদের আদালত-কক্ষের কোণে দেয়ালের দিকে মুখ ফিরাইয়া থাকিতে বাধ্য হওন, ইত্যাদি ঘটনা সংবাদপত্রে কচিং কখন বাহির হইয়া থাকে। তখন কোন প্রকাশ্য প্রতিবাদ-সভা কেন হয় না, তাহা সকলে ভাবিয়া দেখিবেন । বি-এ পরীক্ষার ফল এবার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা প্রভৃতি পরীক্ষার ফল বাহির হইতে দেরী হইয়াছে । সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক বিলম্ব হইয়াছে, বি-এ পরীক্ষার ফল বাহির হইতে । পরীক্ষার ফল বাহির হইতে বিলম্ব হইলে তাহাতে মান। কুফল ফলে। যাহার। পরীক্ষা দেয, তাহাদিগকে দীর্ঘকাল অনিশ্চঘের মধ্যে থাকিতে হয় । ইহা ক্লেশকর ও অনিষ্টজনক। এই দীঘসময় ছাত্রেরা প্রায় আলঙ্গে কাটায়। পাস হইলে তবু অন্য কিছু একটা করিতে পারে, ফেল হইলে আবার পড়িতে পারে, কিন্তু কোন খবব বাহির না হইলে কোন কাজে মন বসে মা । বিলম্বের কারণ প্রকাশিত হয় নাই। যদি আশু-বাবুব মৃত্যুতে বিশৃঙ্খলা ঘটায় এরূপ হইয়া থাকে, তাহা হইলে তাহা একনায়কত্বের স্থপরিচিত পরিণামের অন্যতম দৃষ্টান্ত মাত্র । ব্রাহ্মণ-সভা এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য আচরণ সিরাজগঞ্জে হিন্দুসভায় "অস্পৃশু” ও “অনাচরণীয়" জাতিদের অস্পশ্যতা ও অনাচরণীয়তা দূর করিবার জন্য যে প্রবাসী—ভদি, ১৩৩১ {o ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রস্তাব ধার্ঘ্য হয়, খবরের কাগজে দেখিয়াছিলাম ব্রাহ্মণসভা তাহ দূষণীয় বলিয়াছেন। আরও দেখিলাম, শ্ৰীযুক্ত শশধর রায় নামক একজন ভদ্রলোক “অনাচরণীয়ে”র জলগ্ৰহণ করায় ব্রাহ্মণ-সভা তাহার পুরোহিতকে তাহার পৌরোহিতা না করিতে অনুরোধ করেন । অন্তরোধ রক্ষিত হয় নাই । পুরোহিত ঠিক কাজ করিয়াছেন। আমরা জা’ত মানি না ; আমাদের কথা না হয় নাই ধরিলেন। কিন্তু অনেক নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণও ষে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে মত দিতেছেন, এবং কেহ কেহ অস্পৃশ্যতার ব্যবস্থা অগ্রাহা করিতেছেন, ব্রাহ্মণ-সভা তাহার কি প্রতিকার করিবেন ? ব্রাহ্মণ সভার সভ্যদের অনেকে কলিকাতায় বাস করেন । ও আমিষ-আঙ্গার্য্যের দোকানে যাহারা ঐ-সব জিনিষ তৈরী ও পরিবেষণ করে, তাহাদের এখানে চ। জা'ত কেহ জিজ্ঞাসা করে না, কোন জানোয়ারের মাংস এবং কোন বিহঙ্গমের অণ্ড তাঙ্গা ও কেহ জিজ্ঞাসা করে না। এই-সব দোকানে ভোজনকারী ব্রাহ্মণ, অব্রাহ্মণ, হিন্দু, অহিন্দু সকলে এক টেবিলে ভোজন করে । ব্রাহ্মণসভ। ইহা অমংগত নহেন ; শশধর রায় বা জ্ঞ লঞ্চর ভট্টাচার্ঘ্যের নামটা ছাপা হইয়া গেলেই কি যত দোষ হয় ? লাট-বেলাটের সঙ্গে কে কখন পান। থাইল, তাঙ্গদের তালিক। কাগজে ছাপ। ইয় । তালিকায় হিন্দু-সমাজের রাহ্মণ-সভ। তাঙ্গাদের কি দ গু পিধfন কবেন ব৷ করিতে পারেন ? লোকদের নাম ও থাকে । ব্রাহ্মণ-সভা পণ্ডশ্রম করিতেছেন ; জা’জ টিকিবে ন!, টেক৷ উচিত নহে । লর্ড রোনাল্ড শের জাতিভেদের গুণ-গান সম্প্রতি বিলাতের এক সভায় লর্ড রোনাল্ডশে হিন্দু সমাজে জাতিভেদের তারিফ করিয়াছেন । থিওসফিক্যাল সোসাইটার অন্যতম প্রতিষ্ঠাত্রী মাদাম ব্লাভাট স্বী একবার বলিয়াছিলেন, যৈ, যতদিন , জাতিভেদ আছে, ততদিন ভারতবর্ষে ইংরেজদের প্রভূত্ব লোপের কোন ভয় নাই । স্বতরাং লর্ড রোনাল্ড শের বকৃত যে খাটি স্বজাতি-প্রেম-প্রস্বত, তাহাতে সন্দেহ নাই ।