৫ম সংখ্য। ] বিবিধ প্রসঙ্গ—কয়েকটা রাজনৈতিক চাল 인e কয়েকটা রাজনৈতিক চা’ল পাঠকের কিছু দিন আগে খবরের কাগজে দেখিয়, থাকিবেন, ঘে, মিশ:-দেশের নেতা জঘলুল পাশ চান, যে, সুদান দেশ আগেকার মত মিশরের সহিত যুক্ত থাকে । কিন্তু ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের পক্ষ হইতে ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্ৰী মিঃ রামজে ম্যাকডোনাল্ড তাহাতে রাজী নন, ইংরেজরা সুদানকে নিজেদের হাতেই রাপিতে চান । অথচ তাঙ্গার বলিতেছেন, যে, মিশরকে তাহারা স্বাধীনতা দিয়াছেন । কতকটা ক্ষমতা যে দিয়াছেন, তাহাও ঠিক। পূৰ্ব্ব হইতে মিশরের অন্তভূক্ত স্থদানকে কেন এখন । মিশরের সহিত যুক্ত হইতে দিতেছেন না, সেইজন্য ভাঙ্গর কারণ বুঝা আবশ্যক । সুদানে কাপাস ও অন্যান্য অনেক ফসল হইতে পারে । এইসব ক্লষিকায্যের সুবিধার জন্য ইংরেজবা সুদানে নীল-নদকে বধিয়। বৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ প্রস্তুত করিয় ও খাল কাটিয়া জল-সেচনের বিশাল বন্দোবস্ত করিয়াছেন । কিন্তু কৃষিকার্য্যের দ্বারা ধনবান হওয়া ইহার একমাত্র উদ্দেশ্য নহে । মিশর-দেশের নির্ভর কাপ।স-আদি চাষের উপর । নীল-নদের জলে প্রতিবােসর মিশর-দেশ প্লাবিত হওয়ায় সেই চাষ সম্ভব হয় ; প্লাবন বন্ধ হইলে চাষও বন্ধ হইবে । নীল-নদ আসে হুদান-দেশের ভিতর দিয়া। ইংরেজরা সেই স্বদানে এরূপ বাধ, কৃত্রিম হ্রদ, ও খাল নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, যে, তাহার। ইচ্ছা করিলে যে-কোন বৎসর নীলের জল তাহাতে রাখিয়া ও চালাইয়া মিশরে উহার প্লাবন বন্ধ ক<িতে পারেন . তাহা হইলে মিশরকে খুব বিপন্ন হইতে হইবে। স্বতরাং যদি সুদান ইংরেজের হাতে থাকে, তাহা হইলে মিশর নামে স্বাধীন হইলেও কাজে ইংরেজের মুঠার মধ্যেই থাকিবে। কারণ, যখনই মিশর কোন বিষয়ে ইংরেজের স্বার্থ ও স্ববিধা-অনুসারে না চলিয়া স্বতন্ত্র পথে চলিতে চাহিবে, তখনই ইংরেজ f তাহাকে জব্দ কব্লিয়। তাছার চেতনা সম্পাদন করিতে পরিবে । তা ছাড়া, হুয়েজ খালটি ও তাহার সন্নিকটবৰ্ত্তী স্থান
- ------------------------ SSASAS AAA AAAAMMMMAMAeS
ও তৎসমুদ্ৰয়ের রক্ষণাবেক্ষণের ভারও ই-রেজ নিজের হাতে রাখিয়াছেন, এবং তাহার জন্য তথায় সৈন্য রাখিবার অধিকারও রাখিয়াছেন —যদিও স্বয়েজ ও তৎসন্নিহিত স্থানসকল মিশর-দেশের অন্তর্গত। সুদানের মত স্বয়েজও ইংরেজের হাতে থাকায়, এবং উভয়ত্র ইংরেজের সৈন্ত রাথিবীর ক্ষমতা থাকায় মিশব স্বাধীন হইয়াও পরাধীন থাকিবে । মিশরকে এইরূপে পরাধীন রাখবার উদ্দেশ্য কি ? অঃ ন'ন উদ্বেগু থাকিতে পারে। কিন্তু একটা প্রধান উদ্দেশ্য ভারতবর্ষকে ব্রিটেনের অধীন রাখা । ব্রিটেনের সমুদয় ঐশ্বৰ্য্যের ও শক্তির মূল ভারতবর্ষ-- অধিকার । ভারতবর্ষ ইংরেজের হইতে গেলে ব্রিটেনের ঘরে-ঘরে হা-হুতাশ পড়িবে, ও উচার আস্তর্জাতিক শক্তির খুব হ্রাস হইবে। এই জন্য ভারতবর্ষকে স্বাধীন হইতে দেওয়া ত দূরে থাক, উহাকে সামান্ত প্রকৃত ক্ষমত দিতেও ইংরেজরা এত নারাজ । ভারতবর্ষকে হাতে রাখিতে হইলে সহজে ভারতবর্ষে যাতায়াত, এবং তথায় যুদ্ধজাহাজ, সৈন্ত ও অস্ত্রশস্ত্র প্রেরণ করা আবশ্যক। মুয়েজ খাল ও তৎসন্নিহিত স্থানসকল অন্য কোন স্বাধীন জাতির হাতে গেলে ভারতবর্যে যাতায়াতের পথে বিঘ্ন পড়িবে। এইজন্য ইংরেজ স্বয়েজ খালকে হাতে রাখিয়াছে, এবং মিশরকে নামে স্বাধীনতা দিয়াও, সুদান এবং স্বয়েজ স্বহস্তে রাখিয়া, উহাকে নিজ আজ্ঞামুবৰ্ত্তী রাখিতে সচেষ্ট ! অবষ্ঠ অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্রপথে সৈন্ত ও অস্ত্র-শস্ত্রাদি ন পাঠাইখ, আকাশমার্গে তাহা প্রেরণ সম্ভব হইতে পারে। কিন্তু আকাশতরীকেও ত কতকগুলি দেশের উপর দিয়া উড়িয়া আসিতে হয়, এবং মধ্যে মধ্যে কোন আড্ডায় তেল লষ্টতে ৪ আবশ্বকমত মেরামত আদি হাত নামিয়া কkিতে হয় । সেষ্ট-সব দেশ ইংরেজের হাতে থাকিলে, অন্ততঃ তাহারা মিত্রভাবাপন্ন থাকিতে বাধ্য হইলে, ইংরেজর স্ববিধা । সংবাদপত্র পাঠকেরা লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন, যে, অনেক আকাশ-জাহাজ মিশরের রাজধানী কায়রোতে নামে, এবং কোন-কোনট বাগদাদে নামে । এই জন্য যখন আকাশ-তরীর দিন আসিবে, তখনও মিশর এবং মেসোপটেমিয়া প্রভৃতি দেশ ইংলণ্ডের