পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} וניא* sk অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড নামক দ্রব্য জলে গুলিয়া তাহার ভিতরে ক্লোরিন গ্যাস প্রবেশ করাইলে পাত্রের নীচে একপ্রকার তৈল জম। হয় । ইহা এত বিকাৰ্য্য (sensitive) যে, স্বর্য্যের আলোর স্পশে বা হাওয়ার স্পন্দনেই ইহা বিদীর্ণ হয়। এরূপ সাংঘাতিক জিনিয বিস্ফোরকে অবশ্যই ব্যবহার করা চলে না। অতঃপর হয়ত জিজ্ঞাস্য হইতে পারে, যদি এতটুকু মণিহার q9& ডিনামাইটু বা শেলের ভিতর এত প্রচণ্ড শক্তি নিহি, আছে, তবে তাহা শুধু ধ্বংসের কাৰ্য্যে নিয়োজিত ৰ করিয়া এঞ্জিন কল কারখানা প্রভৃতি চালানোর কার্ধে কয়লা, তৈল, তাড়িত প্রভৃতির পরিবর্তে কেন ব্যবহৃত হয় না ? তাহার উত্তর এই যে, এই শক্তি ঠাণ্ড ও প্রচ\ হইলেও অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ইহা নিঃশেষিত হইয় যায়—স্থায়ী কাজ পাওয়া ইহা দ্বারা অসম্ভব । মণিহার শ্ৰী সীতা দেবী ( > ) হিমানীর কাছে আকাশটা সে-দিন যেন অস্বাভাবিক-রকম কালো হইয়া উঠিয়াছিল। আষাঢ়ের সন্ধ্য, মেঘভারাক্রান্ত ; কিন্তু আকাশের পশ্চিম প্রান্ত তখনও রক্তপদ্মের পাপ ড্রীর মত রঙীন হইয়া আছে। কিন্তু হিমানীর বিরক্ত মন তাহার দৃষ্টিকে সেদিকে ফিরিবার কোনো অবকাশই দিল না । সারাদিন তাহার কেবল খাটুনীর উপর খাটুনী, দিনাস্তে যদি-বা একটু হাসি বা আমোদের ভিতর সমস্ত, দিনের প্লানিটাকে বিসর্জন দিবার সুবিধা জুটিয়াছিল, অমনই ভগবানের চোখ আসিয়া পড়িল তাহার উপর। বৃষ্টিট আরো ঘণ্ট-খানেক আগে হইয়৷ চুকিয় গেলে, বা ঘণ্টাদুই পরে আরম্ভ হইলে বিধাতার স্বষ্টি কিছু আর উণ্টাইয়া যাইত না । গাড়ীটা মাৰ্ত্তনাদ করিয়া ঠিক এই সময়ে থামিয়া গেল। রাস্তার বাতি তখনও জলে নাই, আধ-অন্ধকারে কাদায়ভরা সরু গলি দিয়া হাটার ফলে এই তরুণীটির বিরক্তি আরো যেন দুইগুণ বাড়িয়া উঠিল। বাড়ীর সদর দরজা ভেজানো কি বধ ভাহা ভাল করিয়া লক্ষ্য না করিয়াই .সে সশব্দে করাধাত করিয়া বলিল, “সবাই কি এখন থেকে কানে তুলে গুজে ঘুমোচ্ছ নাকি ?” দরজাট ধীরে ধীরে খুলিয়া গেল। খোলা দরজার পথে শাদী থান-পরা একটি রমণী-মূৰ্ত্তিকে দেখিয়া হিমান তিক্ত-কণ্ঠে বলিল, “আচ্ছা, ছোট পিসী, রোজ বীি এখানে একটা আলো রাখতে, তা কি কিছুতেই হ’t ওঠে না তোমার দ্বারা ? আমার পা’ট খোড়া হয়ে গে:ে তোমাদেরও কিছু সুবিধা হবে না।” তাহার ছোট পিসী সাবিত্রী স্নিগ্ধকণ্ঠে বলিলেন, “ত ত জানি মা। আমি আলো দিতেই আসছিলাম, এম সময় তুই এসে পড়লি । চল উপরে ; আমি আবার কড় চড়িয়ে এসেছি। খাবার করাই আছে।” পিসীর পিছন-পিছন উঠিতে-উঠিতে হিমানী বলিল “দেখি, খাবারটা এখুনি আর খাব না, বৃষ্টি যদি না আসে তাহ’লে মৃণালের ওখানেই যাব, সে অনেক করে যেতে বলেছিল। এইটুকু হেঁটে যেতে পাচ-ছ’ মিনিটের বেশ কখ থনো লাগবে না। তা রাস্তায়, যে কাদা হয়েছে হার্টুতে ইচ্ছাও করে না । খোকার নিশ্চয়ই যাবার মতল নেই, তাকে ত ধারে-কাছে কোথাও দেখা যাচ্ছৈ না।” সাবিত্ৰী বলিলেন, “যাবার মতলব যথেষ্টই আছে বেটাছেলে নেমস্তন্ন খাবার লোভ কখনও ছাড়ে নাৰি কখন ? স্কুল থেকে এসে যেই শুনলে যে, মৃণালদের বাড় রাত্রে খাবার জন্তে বলেছে, চা নয়,অম্নি লাফাতে লাফাতে আবার বেরিয়ে গেল। এখুনি আসবে।”